সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তোমার জন্য

তোমার জন্য             রুদ্র ম আল-আমিন তোমার জন্য হাজারটা রাত অপেক্ষা করি তোমার জন্য রাতের সবগুলো নক্ষত্র  চাইলে ব্যাবিলন শহর টাও আজ কিনতে পারি গ্রাম শহর নদী পাহাড় পর্বত যা কিছু আছে সব এনে দিতে পারি যদি একবার বলো ভালোবাসি- ভালোবাসি। তোমার জন্য সবকটা দিন অপেক্ষা করি তোমার জন্য বছরের সবগুলো মাস একই নাম দিতে পারি যদি চাও বছরের সবগুলো দিন একই নাম হতে পারে  সে নাম তোমার তোমারই তবুও যদি একবার বলো ভালোবাসি-ভালোবাসি। তোমার জন্য অনন্তকাল দাড়াতে পারি তোমার জন্য ঝরেপড়া পাতা আবার ঊর্ধ্বমুখী তুলতে পারি। যদি বল রংধনুর সাত রং এক করে দিতে পারি চাইলে আকাশে ঘর বাঁধতে পারি, যদি একবার বলো ভালোবাসি-ভালোবাসি। তোমার জন্য সাধনাও করতে পারি তোমার জন্য হাজারটা পাখির বাসায় রাত্রি যাপন করতে পারি। চেনা প্রকৃতির রং বদলে দিতে পারি কারন সংসার মানে তুমি আর তুমি তবুও যদি একবার বলো ভালোবাসি-ভালোবাসি। February 13.2021

কাব্য-৩

শুন্য খাতাটি তার হাতে                     রুদ্র ম আল-আমিন অনেকটা বছর অংক কষিনাই তাঁর ভয়ে কারন,থাকুক না সে, একটু না-হয় আমার উপরেই। এখন দেখি একেবারেই অংকে গলদ, আমার আর কি-বা দেখাবার আছে তার কাছে, তবু আজ শুণ্য খাতাটি দিলাম তাহার হাতে।  ইহা দেখিবার পর চোঁখের জল দু'কোণায় টলমল নড়ে, বললাম,তোর থেকে আমি কি আর বহুদুরে? সরল,যৌগ,ভাগ,গুণ থাকুক না ওসব, বিয়োগ তো করতে পারিস তোর খাতাখানা জুড়ে। অথচ এই খাতাটির পাতা দেখ  এইখানে ভুলে ভূলে সব যোগে যোগ হয়ে গেছে তবে।  এবার তো অংকটা মেলায়ে নে আমার আর তোর খাতাটির পুরো পাতা ভরে।  আমি না-হয় অংক কষি নাই  তাই বলে কি এমন হয় কিছুই পাবো না পুরোখাতা জুড়ে? তোর খাতাটির পাতা দিলাম আকাশের পাণে ছুড়ে  এবার যা হবার হোক আমাদের দুজনের যোগ,বিয়োগ,ভাগে। February 12.2021

কাব্য-২

০০১ আজ রাতে আঙ্গিনায় এসো                  রুদ্র ম আল-আমিন আজ রাতে আঙ্গিনায় এসো হাওয়ায় দোল খেলাবো তোমায় নিয়ে। মাঘের কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায় উষ্ণ রক্ত ঢলিয়া পরিবে হয়তো আজ রাতে তোমার  বুকে। আঙ্গিনার পাশে একটা জারুল গাছ,  তার নিচে ছনেপাতা ঘর  ওইখানে বাস করে এক জোড়া পাখি। আসিও আসিও কিন্তু  না হলে যে কনকনে হাওয়ায়  উষ্ণ রক্ত ও শীতল হইয়া ঢলিয়া পরিব আমি।  হয়তোবা ভেড়ার পালে শব্দ করিতে পারে তাহাতে বিচলিত হইয়ো না বিন্দুমাত্র তবে। বেড়ার ধারে কুসুমের গাছ ঘাপটি মেরে বসে আছে ভয় পেয়োনা কাটার খোচর খাবে বলে। অমাবস্যার চাঁদ খুব তাড়াতাড়ি ঢুবে যাবে  শিয়ালের ঝাঁক হুক্কাহুয়া বলবে কিন্ত--- আমি কিন্তু তবুও থাকিব পোতা আম গাছটির মগডালে বসে। আসিও আসিও কিন্তু না হলে যে স্বপ্নগুলো ভোঁতা হয়ে যাবে। দিঘির পারে বুড়ো গাছটায় একজোড়া দাড়কাক ওরাও স্বপ্ন বুনে আমাদের মিলন হবেই হবে। জানোতো কাকেদের স্বপ্ন মিথ্যে নয,় ওরা একবার ঘর ভেঙে গেলে  আর ঘর বাঁধে না কারো সাথে।  ঘোষালের বাড়ির টগর তুলিয়া সাভার করেছি আজ রাতে তুমি আসিবে বলে। কুয়াশার চাদরে মোড়া ঘর তার মাঝে ধবধবে বিছানা তার মাঝে ধবধবে একটি ফুল তুমিই বল ত

উপ-৮

১০৫ ইয়াজ্জাদের এখন সুসময়, লোকজনের কাছে সময়টা এখন মুক্তিযুদ্ধ, আর ওদের জন্য এই সময়টা হচ্ছে আখের গোছানো।এরা নদীপথে নৌকা নিয়ে ওৎপেতে বসে থাকে,অপরিচিত  নৌকায় লোকজন দেখলেই তাহাদের সর্বশ্য কাড়িয়া নেয়।  রমা,বদর এবং টুনি রাত্রিতে খাওয়া দাওয়া শেষে মায়ের মুখে  নানার বাড়ি মাটিকাটার গল্প শুনতেছিল।হঠাৎই বাড়ির বাহিরে বাজানের কন্ঠ শোনা যায়।টুনি বলল, ঃমা- বাজানে আইছে। বদর দ্রত ঘর থেকে বের হল। বাজানের নিকট দাঁড়াতেই সে কহিল, ঃ মাটিকাটা আর মানুষ নাইরে বাবা, গ্রাম ফাঁকা অইয়ে গেছে।পাকবাহিনী শয়ে শয়ে মানুষরে গুলি কইরা মারতাছে।  টুনি বাবার হাত ধরে এগিয়ে চলল বাড়ির উঠোনে।এরপর, মা বদনায় পানি দিল অজুর জন্য। রমা কোন কথা কহিতে সাহস পাইতেছিল না।  বাবার জন্য গামছা নিয়ে তাহার পাশেই দাঁড়িয়ে রইল।অজু শেষ করেই জিজ্ঞেস করিল, ঃতুমি এহানে কবে আইছো?তোমার মায় বাপে কোনে?তোমগোর গেরাম তো শুনছি জ্বালায়ে দিছে। ঃ  ওনারা ভারতে গেছে, কিন্ত আমি যাই নাই।  টুনির মা কহিল, ঃমাইয়াডা গেল না, ওর বাপ মায় আইছিল। ঃহ-- মায়া ছারুন যায় না। বদরে অনেক বছর ওগো ওহানে থাকলো, আমাগো চাইতে অরাই  বেশী আপন অইয়া গেছে অর।  বাবা রমার সহিত তেমন কোন কথা কহিল না।

উপ-৭

৯১  জয়াদের বাড়ির পূর্ব পাশে একটি বিশাল বওলা গাছ, বদর তাহার নিচে  দাঁড়াইয়া দক্ষিণের হাওয়ায় শরীর জুরাইতে ছিল।জয়া কহিল, ঃ  দাদা এই বাড়িতে আইসে না, তুমি বুজি সাথে নিয়ে এলে? দাদা আমার কথা কয় ? জয়ার মা সে সময় চুলোয় লাকড়ি ঠেলছিল, হয়তো তিনি কিছু একটা রান্নাা করিতেছে। মনে মনে ভাবিল, এই সুযোগে তাঁর সহিত খোলামেলা আলোচনা করা যেতে পারে। যদিও তাহাদের দুজনার এই প্রথম দর্শন।তথাপি  ইনিয়ে বিনিয়ে শেষমেশ  জানিতে চাহিল, ঃবদর তোমার ছেলেবেলার সাথী কিন্ত তোমার সাথে যোগাযোগ নাই কেন? ঃ দাদাকে জিগাইও এই উত্তরটা পেয়ে যাবে।দাদাকে তুমি পছন্দ করে? রমাদি  বুঝিতে পারিল,জয়ার মুখ থেকে এই রহস্যের জট খুলিবে না। তাই তো জয়াকে প্রসংগ পাল্টে বলিলঃ বদরদা একা বসে আছে চলো আমরাও যাই। জয়া  ইতস্তত করিল। একবার মায়ের মুখের দিকে তাঁকাল, পরমুহুর্তে  যাইতে উদ্যত হইল। ঠিক সেই সময় বদর বওলা গাছের নিচে মাচালে বসিয়া ছেলেবেলার স্মৃতি মনে করিয়া একা একা হাসতে ছিলো।  তাহারা উপস্থিত হইতেই  মুখের হাসি পেটের মধ্যে প্রবেশ করিল।রমাদি মাচালে বসিলেও জয়া উদাস দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে রইল। কিস্ত সে বসিলো না । রমাদির মনে হইতে লাগিল, তাহার মনটা যেন অন্য কোনখানে পর

উপ-৬

৮১ রমা চোখ মেলে তাঁকাতেই  ঠোটখানি কামরে ধরল,রমাদি এক দৃষ্টিতে  তাঁকিয়ে রইল।মা তখুন মাথায় হাত বোলাইতে ছিল। বদর যখন দেখল যে, রমাদি মোটামুটি এখুন ঠিক আছে আর অসুবিধে নেই তখন তার রুমে ফিরতে চাইল। কিন্ত মা তখুনও যেতে দিল না। পড়ার টেবিল থেকে চেয়ার খানি টেনে রমাদির মাথার শিয়রে বসে রইল।রাত যখন প্রায় শেষ হয়ে এলো তখুন রমাদি বিছানা ছেড়ে উঠতে চাইল, মা বদরকে বলল তাঁকে বাহিরে নিয়ে যেতে।  বদর কোন কথা না বলে তাকে বিছানা থেকে হাত ধরে টেনে তুলল, খাটিয়া থেকে নেমে বদরের কাঁদে হাত রাখল। এর পর  রমাদিকে নিয়ে চলল ্উঠোনের দিকে। মা সারারাত জাগার ফলে বিছানায় চোঁখ বন্ধ করে ঝিমাইতে ছিল।রমা  ইন্দিরার দিকে যেতে চাইল কারন তাহার প্রসাবের প্রচুর বেগ পাইতেছিল।তাহা বুঝতে পেরে ইন্দিরার কাছাকাছি গিয়ে বলল,ঃ রমা আমি উঠোনে দাড়াই ঃ না তুমি এখানেই থাকো ঃ আমি থাকব হু হু হু ঃ না তুমি যাবে না ঃ কি বলছো এসব তোমার মাথা ঠিক আছে? ঃএক পা নড়বে না,, চুপচাপ দাড়িয়ে থাকো। মানুষের আদিম প্রবৃত্তি হলো কারো না করো উপর আস্থা অর্জন করা। আর তাহা থেকেই মানব মানবী অদ্যাবধি প্রর্যন্ত আমরা লক্ষ করছি যে, যৌবনপ্রাপ্ত হলেই সকলেই সঙ্গী নির্বাচনের জন্য জীবন

উপ-৫

৬৫ বাড়িটা যেন ক'দিনেই নির্জন একটা ভূতরে বাড়ি হয়ে গেল।এবাড়ির প্রানচঞ্চল তিনটে মানুষ অন্ধ কুঠোরিতে বসে যে যার মত কাঁদছে। এ কান্না যেনো থামাবার কেও নেই।বিধাতা মানুষের সাথে মানুষের কিছু বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয় যা কোন নিয়মের তোয়াক্কা করে না। আবার যখন কোন ঝড় বয়ে দেন, তাও যেন কেউ মেনে নিতে চায় না।এই ভাংগা গড়ার খেলায় বিধাতা হয়তো বা জিতে যায়। কিন্ত বুকের মধ্যে কষ্ট গুলো রয়ে যায় কারো কারো জীবনে অনন্তকাল।রমাদি বদরের সামনে এই কদিনে একবারও যায়নি। তাঁকে আটকানোর কোন পথ তাঁর জানা নাই। সে ভাবল,তার কাছে একটা পথ খোলা আছে। আর তা হলো সামনে কোন ভাল কলেজে একসাথে ভর্তি হওয়া। কিন্ত সমস্যা হলো রমাদের পরিবার অতটা সচ্চল না। আর কতদিনই বা বদরের বাবার উপর নির্ভর করা যাবে। কিন্তু এ বাড়িতে বদরকে ধরে রাখার মতো মায়ের কাছে কোন পথই আর খোলা নেই।  মা একবার ভাবল যে,বদরের সাথে একবার কথা বললে কেমন হয়। কিন্তু পরমুহুর্তেই এও চিন্তা করল , বদর তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান । আর ও একজন মুসলমান। একজন মুসলমানকে ধরে রাখার তার কাছে কোন পথই খোলা নেই।কদিন ধরেই এই তিনটে মানুষের নাওয়া খাওয়া আর চোঁখে কারোরই ঘুম নেই। রাতে রমাদি কিছুই খেল না