সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

The leader of the hungry

The leader of the hungry Rudro M Al-Amin Speaking to the hungry, I stood behind the leader. There were also many minor leaders behind the stage. The hunger pangs. The leader in the back pocket was a revolver. Hundreds of police guards in front. The jarring statement was taking my heart away. I couldn’t tell you why the leader lied. I do what the leader has taught me. I think now, there is no cost to starving the hungry. Because there is nothing I can do for them. But when I get out on the road, I see the leader screaming as he is the leader. I ask myself, am I a real leader? Leader, why did you bring me this way? When will be released, me and the hungry. October 30.2019

মনফানুস

"মন ফানুশ " --------রুদ্র ম আল-আমিন সুমিষ্টঘ্রাণ তাহার ধমনীশিরায় বাজে মাদল ধ্বনি আজি অবিরত কেঁদে চলে মন ফানুশ। সতীর অঙ্গার দেহ চিতায় ভশ্ম, তবু তাহারে পড়িছে মনে। বন্ধু!  মানুষ হয়তো এমনি করিয়া দুঃখের পরিতাপ দিনের পর দিনমান ধরে বহিয়া চলে। জানিনা, ঈশ্বর কোনখানে বসিয়া, এমন করিয়া কতজনারে কলকাঠি নাড়ে। April 16.2019

রঙ্গস্বাধ

" রঙ্গস্বাধ "   রুদ্র ম আল-আমিন বন্ধু! তুমি কি আমায় রেখেছো মনে? তখুন শৈসবকাল যৌবনের স্বাধ বুঝিবার বয়স হয়নি আমার। চৈত্ররথের মেলায় দেখা হয়েই প্রথমবার বলিলে আমায়, "আমাদের বাড়ি যেও" হঠাৎ আবার একদিন দেখা হলো মন্দিরাদ্বারে, তখুন ঘুম ঘুম চোখে রাত্রী হয়তো সে'দিন দ্বিপ্রহর হবে। বয়স হয়নি বলেই কি নিয়ে গেলে তোমার গৃহে বয়স তখুন কতই বা হবে আমার ? ধরিলাম হয়তো বা বারোর ঘরে। এখুন বয়স হইয়াছে ঢের তখুন কি জানিতাম,, যৌবনের রঙ্গস্বাধ কতভাবে মেলে। সেই প্রথম প্রথম দেখা মাঝবয়সী একটা অঙ্গার দেহ এখুন হয়তোবা তোমার পৌর হবে। আমি কি আজো ভুলেছি বন্ধু,,, তোমার নরম শরীর খানি তবে। জোয়ারে তালমাতাল হ'লে বন্ধু!কেন ভেসে গেলে সেইদিন আমায় নিয়েই সমুদ্রজলে? May 12. 2019 "

অদেখার রহস্য

অদেখার রহস্য কানিজ ফাতেমা খুশী সময় কখনো কখনো অসময়ও হয় রোদের স্পর্শও কখনো কখনো আড়াল হয় নিয়তির নির্মম কিছু বিধান রয়েছে পাকা হলদির মত কাল বিলম্ব না করে কখনো কখনো ঝরে পড়ে কিসের এত আকুতি তোমার ঝরা বকুল তলায় ! শূন্য হস্ত শূন্য হৃদয় ভাণ্ডার, তবু --- কম্পিত হৃদয় আমার ভুল বশত নড়ে ওঠে এত আবেগ ঢালো, কোথায় পাও তাও ! নিবিড় কোনো বন্ধন নেই যে ইন্ধন যোগাবে নিবিড় কোনো কথন নেই যে মায়ায় আঁকড়ে থাকবে নিবিড় কোনো দৃশ্য নেই যে মনের মণিকোঠায় জায়গা নেবে তবে কিসের এত আকুতি তোমার বছরের তিনশ পঁয়ষট্টি দিনই ! কোথা হতে আসে তোমার হৃদয় নিংড়ানো যাপিত প্রেম অনুভূতির অনুভবশালা ! বিস্মিত হে প্রেমময় দুর্বিনীত অনুভব আমার অদেখার রহস্য সত্যি কি বিস্ময়কর ! ১৭ মে ২০১৯ ধানমণ্ডি, ঢাকা |
" এই কে তুমি? "       রুদ্র ম আল-আমিন এই কে তুমি? আমি তো তোমায় সারাক্ষণ সাজগোজ দেখি। যখন উনুনে ভাতের হাড়ি, কিম্বা রোদ্দুরে ধানের খরকুটো ঝারতে দেখি, মনে হয়, এ নারী আর যাই হোক সেই নারী নও তুমি। একখানা শাড়ী কিনিবার ছলে যখন লয়ে যাই কেজির মোড়ে, লোকের ভীরে জরসর হয়ে থাকো যেনো আলগোছে। বাড়ী ফিরে মূর্তবেশে বিমুখী হইয়া যাও লাল শাড়ী নজর কাড়িবে বলে। বিছানায় ওপাশ ফিরিয়া চোক্ষের দুইকোণে জলদানা গরিয়ে পরে সতী! তবে তোমার মধ্যেও কি,, আর কেহ বা বসবাস করে? June 01.2019

বন্ধু

" বন্ধু " রুদ্র ম আল-আমিন বন্ধু!  তুমিও এতটা স্বার্থপর,,,,, জানো, আজকাল সবকিছু হঠাৎ হঠাৎ ভূলে যাই, এসব আমি শিখেছি তোমার কাছে। রাত্রী গভীর হয় তারা-রাও লুকোচুরী খেলে,,,,,,,, একদিন আমিও ঠিক এই রকম,,,,, আচ্ছা বন্ধু! তোমার ওখানে অমাবস্যা হয়? সেইরাতে, যে রাতে আমায় দেখেছিলে এখুন সেসব কষ্ট এই যেমন ধরো,, রবি ঠাকুরের  কষ্ট লাল, নীল, কাচা হলুদের কষ্টের কথা লিখেছেন। বন্ধু!  আমি কোন কষ্টের কথা লিখবো তোমায়? June 16.2019

কবিতার খাতায় আজো তুমি

"কবিতার খাতায় আজো তুমি "       রুদ্র ম আল-আমিন দু'চরণ লিখিবার ছলে আজো কবিতার খাতা খানি খুলে, বসে আছি দখিনের কাচারী ঘরে। ঘনকালো লম্বা কেশে সেইদিন তোমার মুখমণ্ডল বারবার যায় ঢেকে, তোবুও চোখ ফেরাতে পারি নাই,, তোমার রুপগুণে। কবিতার খাতায় আঁকছি ছবি হঠাৎ সেইদিন পেন্সিলখানি যায় ভেংগে। চোক্ষের দুইকোণে বেয়ে নিমিষেই রক্তকনা, ফোটায় ফোটায় ভিজেছিল কবিতার খাতাখানা জুড়ে। আষাঢ়ে মেঘ হঠাৎ বারিপাত ঘটে গেল, যেনো হৃদয়খানি জুড়ে। রাত্রী দ্বিপ্রহরবেলা লন্ঠন হাতে লয়ে, তোমার আঙ্গিনার দোরে অবশেষে  হলো দেখা । এরপর বলেছিল আমায় সে,, "বধুবেশে নেবে কি আমায় তুলে?" দখিনের কাচারী ঘর আজো রহিয়াছে সেইখানে প'রে, আমিও আছি কিন্তু,, কিন্তু সে আর নেই এই ত্রিভুবনের কোনখানে। July 01.2019

ঠিকানা বিন্দুবৃত্ত রোড

"ঠিকানা বিন্দুবৃত্ত রোড"     ---রুদ্র ম আল-আমিন ঠিকানা,,,বিন্দুবৃত্ত রোড ক্যানভাসে ফুটে উঠে আজো ধপাধপ তাহার স্মৃতি। ছেড়াপাতার  স্পর্শে আজি চোখে মুখে জ্বলমলে নতুনত্ব কারন,তাহার স্পর্শক রহিয়াছে ডায়েরীর পাতাভরে। কবিতার খাতাখুলে আজও আনমনে  ব'সে থাকি কেন দেখা হহয়েছিল সেইদিন তাঁর সাথে। স্মৃতিবিজড়িত দুপুরবেলা ন্যাপকিন হাতে ভ্রূু টেনে একবার মাত্র তাঁকালো ফিরে কিন্ত পরক্ষনে চলিয়া গেল,, কিন্ত আমি কি জানিতাম, আমি তাহারেই খুজিতেছি  এত এত বছর ধরে। বন্চনার কালিমা লয়ে একদিন এই শহরে নতুন আমি,,, একজন বলিল আমায়,, এই ঋতু!! ঋতু  তো চলিয়া গেল; মুখখানি তাৎক্ষনিক বিমূর্ত  রুপ। তারপর অনেকক্ষণ বিন্দুবৃত্ত রোড়ে ঠায় দাড়িয়ে,, ভাবছি,, আমায় হয়তো সে আর কখুনোই চিনিতে পারিবে না,, কারন,আমরা যে দুই পৃথিবীর দু'জন। আপন হলেই কি আপনার হয়? আমাদের হয়তো বা তাহা কখুনোই সম্ভব নয়। July 10.2019

হাতখানি ধরে নিমন্ত্রণ চাহিয়া

" হাতখানি ধ'রে নিমন্ত্রণ চাহিয়া "                       রুদ্র ম আল-আমিন হাতখানি ধ'রে  নিমন্ত্রণ চাহিয়া একদা চোক্ষের জল ফেলে। প্রতিমা জানে না,, কেন অমন করিয়া অধরা কাঁদিয়া বেড়ায় রোজ রোজ তাহার ঘরে? রথযাত্রায় পরিচিতিপ্রাপ্ত হইবার কালে দুদন্ড কথা কহিতেই প্রতিমা বেহুশা হইলো রথখোলার মাঠে। ধম্ম ধম্মান্ধ তীর্থপটে প্রতিমা কাতর হইয়া ভাবিতে থাকে লাজনম্র জানিতো তাহারে বহুকাল ধরে। অধরাকে দান কি করিয়া প্রান, দেবে আজি অন্যের বোনা জালে। সন্ধের শাখ বাজিবার তরে রথযাত্রা সাঙগ হইয়া তখুন যে যার ঘরে। কি কথা কহিল অধরা বাড়িসুদ্ধ লোকেরা ইহার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষনে মরে। হৈচৈ বাধিল দুগাঁয়ের ছেলেবুড়ো মিলে রাত্রীগভীর হইয়া মিটিমিটি তারা জ্বলিবার কালে বিভেদ চুকিয়া গেলো সবে। বাঁধসাদিল প্রতিমা সকলেরে মিনতি করে, কিন্ত সেইরাত্রেই অধরা রাজ্যজয়ের আনন্দ বিরাগভাজন করিল ঢোলডাঙগর লয়ে। প্রতিমা আজো খুজিয়া ফেরে,, একদা অভীষ্ট মনোবাসনা পূর্ন করিবার লাগি,, মাঝবয়সী এই নমনীয়া, হয়তো ধর্ম্মান্ধ ব'লে সকলেই তাহারে সেইদিন  দিয়েছিল ফাঁকি যে। July 20.2019

প্রথম দেখায়

"প্রথম দেখায় "           রুদ্র ম আল-আমিন সেই প্রথম দেখেছিলাম একদিন আমি তাঁরে; হালকা পাতলা ধবধবে গরণে, পরনে তাঁহার একফালি নেভীব্লুর শাড়ি, সেইদিন সখ ক'রে পড়েছিলো বটে । গাঁয়ের মেয়ে অল্পভাষী,তবুও মৃদু কন্ঠে বলেছিলো আমায়" সে"ঃ "যেতে পারি আপনার দেশে" তাঁহার ঠিকানা জানিবার তরে দরকষাকষি হইলো অনেকক্ষন তবে, প্রথম দেখায়, প্রথম ভালবাসা আপনার হইলো সেইদিন শাখ বাজিবার তরে। পরদিন ব্যাকুলা হইয়া দাড়ায়ে রহিলাম রাজবাড়ী'র নিমতলায় বেন্চিখানার পাশে। ভোরের শিশির গা ধুুইবার কালে ফের আসিয়া সে জিজ্ঞাসু করিলঃ "কবে যাইবেন চ'লে" রাজবাড়ী ছাড়িবার কালে, চোখের কোনায় ফোটায় ফোটায় জল তখুন  বাতাসে শুকাইলো চশমার ফাঁক গলে। ভালবাসা! একদিন ধাওয়ার জলে, অতঃপর  ধুয়ে যায় সেইক্ষনে তাহা পদ্মারবাণে। প্রথম ভালবাসা যাহা আজো ভুলিবার নহে, বন্ধু! কেন তাঁর স্মৃতি মনে পড়ে যায় ক্ষনে ক্ষনে? August 05.2019

ঘাসফুল

” ঘাস ফুল ”     রুদ্র ম আল-আমিন আবার যদি ফিরে পাই তোমায় সোনালী মাঠের ঘাসে,,, সর্ষের ফুল গুজে দেব তোমার চুলে। নাকের নোলক ভেংগে ঘাস ফুল দেব তোর নাকে। পায়ে জরানো কাদায়,,কাঁদাবো তোকে। দুরের শালিকেরা বলিবে কথা; পালাবো না পেঁচার ভয়ে। সিথিতে ভুলিবো না সিধুর দিতে,,,,, সাদা শাড়ি খানা সোনালী ফুলে, গড়াগড়ি দিয়ে তেলাইটা বানাবো, ফের যদি ফিরে পাই তোমায় আমি। ০২/০৮/২০১৬

মন্দোদরী

“মন্দোদরী” রুদ্র ম আল-আমিন আজি পার্বতী নাই ঘরে ,,, মন্দোদরী-র গায়ে বিষ দিলো ঢেলে, ফিরিয়া দেখিল সে, সারা গা কালি লেগে গেছে। বিষবানে তখন,,,, বারো বছর কাটিল যখন ফিরিলো আবার! মধুরা এখুন রাবনের পত্নীরূপে। রক্ত পিপাসু করিয়া পান,, জন্ম নিলো নতুন ধন, জনকের ঘরের আশির্বাদ রাম কে করিলো সমার্পন। পূরাণে কহে,, কাম চরিতার্থ পুণ্য করিবার ছলে, ধরিয়া আনিল জায়া কে তাহার ঘরে। বাদসাধিল আকুতি করিলো,,,, মন্দোদরী প্রেম ছিল প্রাণে, বানরেরা তাই ভুল করে বসে, কে আসল কে নকল,, ধরিত্রী গৃহে অবশেষে চিনিতে পারে। যুদ্ধ হইলো যবনিকাপাত,,, রাবন হইলো বধ, মধুরা বিভীষন,,,, হইলো একে অপরের আলিঙগন। January 16.2018

বিচ্ছেদের রঙ

" বিচ্ছেদের রঙ "    রুদ্র ম আল-আমিন বিচ্ছেদের রঙ মেখে দেবে ব'লে কত কথা বলিতে চাহি না তোমায় আজিকার মতো করে। তুমি বাড়ি ফিরিলেই গন্ধগোকুলের ঘ্রাণ ফের ভেসে আসে নাকেমুখে। ওকে দেখলেই  বড্ড হিংসে জাগে মনে হয়, না জানি, কত কালের শত্রু সে মোরে। হয়তো বা এইখানেই এক জীবনের গল্প, পরিসমাপ্তি ঘটেও যেতে পারে  চিরতরে। রোজ রাতে শরীরে তোমার এতো পারফিউম মেখে, নড়োবরে খাটখানি তবু ভরে দাও আনন্দ আর উল্লাসে। তবুও- গন্ধগোকুল ; টিনের চালায় মিটিমিটি পা ফেলে কেন ছুটে আসে প্রতিরাতে ? দহনে বিষক্রিয়া তখুন জ্বলিছে গা খানি জুড়ে, এই আমি, তোমায় ছেড়ে যেতে পারি না বলে, গাঁয়ের যত্তসব মূর্খ্যেরদল,হয়তো-বা ঠাট্টায় মরে। হয়তো বা বাঁকের এই মেঠোপথ খানি ধরে আমিও চিরকাল থাকিব না চেয়ে, প্রেয়সী! তুমি কি ভূলে যেতে পারো,তাঁকে  চিরতরে? August 19.2019 rudromalamin.wordpress. com

চিঠিপত্তর

"চিঠিপত্তর"           রুদ্র ম আল-আমিন আর একটি চিঠি লিখিবো না বলে, কতবার প্রতিজ্ঞা করেছি মনে মনে। শেষতক তবু দেখা হলো হয়তো-বা কুড়ি বছর পরে। স্মৃতিরোমন্থন দিনে কত করে বলেছি  তোমায়, উজানের ঘরে কখুনো যাবে নাকো একলা হেটে। কারন, ঐখানে শকুনের দলেরা দিনে রাতে ডানা ঝাপটা মেলে। তোমায় ছাড়া বিরাগী মন, নিভৃত কেঁদে চলে, প্রভাত ফেরির উষার দুয়ার, আজি শুন্য রহে, আমায় কে দেখিবে বলো, আজি আপনার করে? তোমার চিঠি যত্নে ভরি তবুও ফিরিতে পারি না, মনে হয়, যেন রক্তক্ষরণ করিয়া একদিন  লিখেছিলে আমায় সেই সব চিঠি। প্রিয়! আমি এখুনও মাতালের মতো চিঠি লিখি তবে  চিঠি গুলো কেবলই পোষ্টকার্ডে বন্ধি ভূলেও ডাকপিয়ন অবধি যায়না ছুটে। আমি জানি, একলা থাকো, আমিও তবে কি আবার পাঠাবো তোমায়, তোমাকে লেখা বস্তাবন্দী চিঠি? August 21.2019
আমি আজ আবারো একগুচ্ছ রজনীগন্ধার ডাগর, হাতে নিয়ে এসেছি, তোমায় প্রেম নিবেদন করবো বলে। এটা জানি,আমায় তুমি কখুনোই ভালবাসবে না। কিন্ত, আমি তোমার ভালবাসা চাই-ই -চাই। বিয়ে করতে বলছি না, ,, একসাথে না থাকলেও চলবে, কিন্তু তোমার এলোচুলের গন্ধ, আমি রোজ পেতে চাই,। আমায় উন্মাদ ভেবো না, কারন তোমাকে চাওয়ার অধিকার থেকেই বলছি পুরুষ এতে তো কমতি নেই। ভালবাসা, দেবে তো যাকে তাকে, সেটা আমি পেলে ক্ষতিটা কোথায়? এই দেখো, একদম সাদা পাপড়িযুক্ত কিন্ত পাপড়িতে গন্ধ নেই তাই কি কদর কম তার, আমি না হয় কালো কিন্তু দেখো,, অন্যের চেয়ে আমি রাখিবো তোমায় বেশ ভাল। এবার তো বলো, ভালবাসিবে কি না? আমি কিন্ত তোমার ভালবাসা চাই-ই চাই। August 23.2019 রুদ্র ম আল-আমিন
বসন্তরাগে দূরস্মৃত কথন করিয়া নিমিষেই হইল অন্তরণ, দেহত্বক সন্তর্পণ যেই হইলো যবে উরন্তপাখি মুক্তি লইয়া ছুটিল বিজন বনে। মর্তলোকে মিলনসন্ধি করিবে পণে খুজেছুনু তাহার আরাধ্য প্রয়াণ বরে। নেমত্বক দান অঙ্গারীয় দেহে ফুলেল সমাধি তাহা দেখিতে ভূলিবার নহে। ক্রন্দনধ্বনি গগণে বহে, রহে পরে স্মৃতি বাল্যবেলে। মনুষ্যালয় দ্বারস্থ হইবার ছলে শকুন গৃহে গৃহদেবী অনন্তকাল রহিল পরে। August 24.2019 রুদ্র ম আল-আমিন

সুরলেখা

“সুরলেখা” রুদ্র ম আল আমিন সুরলেখা! আমি তোমাকে ভালোবাসি তৃমি কি আমায় ভালোবাসো? এই শেষ মেষ হয়তো একদিন দেখিবে চিতায় চন্দন কাঠের ঘিয়ের গন্ধে জালিয়ে দিয়ে ঢোল নিয়ে বসে আছো। দুরে,,,,অনেক,,অনেক দুরে থেকে,,,,,,,,, ওরা ক জনা,,,তুমিও থাকতে পারো, সেথায়,,,,,,,,,,,, হয়তো লুটায়ে দেবে আমায়।। শালিক বকেরা হয়তো থাকবে না, ভেরেনডার ফুলে ফুলে ভাসবো আমি ঢের হ্দয়ে,গহীন ঝোপের আরাল হতে ধারাজ সাপের খোলস পাবে তুমি।। সুরলেখা! তুমি কি আমায়, ভালোবাসতে পারো না? কাফনে মোড়ায়ে নাই বা দিলে জলে এই যে আমার হৃদয় মন্দির খানি শস্মানেই নাও তুমি টেনে ।।

ঈস্বর থাকে ভদ্রপল্লী

” ঈশ্বর থাকে ভদ্রপল্লী ” রুদ্র ম আল-আমিন ঈশ্বর থাকে ভদ্রপল্লী একদিন আপত্তি করিল, যাইতে হবে তাঁর বাড়ি। আমি বললাম, যা-যা-যা আমি খুব ব্যাস্ত আছি, তাহারে ফেলি, কোথাও যাইবো না চলি। একলা চলো! বললাম, আমি তাঁরে খাতির যত্ন ভরি, সারাদিনমান সে উপোস করিছে পৌরষকাল ধরি,, আমায় ছেড়ে কোথাও যায়নি কোনখানে চলি: চারপুরুষের ঘর, আজ তাহা তো ভাংগিবার নহি। আলখেল্লা সাজবেস আপত্তি তাহার, যাইতে হবিই হবি, বললাম, দুরব্যাটা তাহারে কেমনে নিবি? গায়ে আর কত জোর আমার থেকি। রগেরগে তবে পা দুটো দেখিতে পাইনি কিন্তু ডাকিল সে’বার যমের বাড়ি। শেষমেষ সে যাত্রায় ফিরিল আমায় ছাড়ি। ঈশ্বর! ভদ্রপল্লী থাকে তাহা তো জানি, কিন্ত আমায় নিয়ে সে কি, সান সোওকত গড়ে দেবে নাকি? ব্যাস এটুকুই তাঁরে বলি। এই কথা শুনি,,, চোয়ালের দাঁত খেঁচকে চ’লে গেল বাড়ি। September 04.2019

অঙ্কিতাকে ছেড়ে

"অঙ্কিতাকে ছেড়ে " রুদ্র ম আল-আমিন ঘুঙুর বাঁধিয়া ছুটাছুটি করি, আগে কি জানিতাম, বাদরের দল উকি মারিত তাঁরি লাগি। জুই, চামেলী শেফালির ঘ্রাণে কত না ছুটেছি একদিন এই চেনা পথটির আনাঁচে কাঁনাচে জুড়ে । তখুন ধারাজ সাপের ভয়ে পা ফেলিতাম দুজনোই একই সাথে। ডোবায় স্নান করিবার কালে একদিন বাদরেই প্যান্টখানি লইয়া ছুটিল গাছের সাখে সাখে। অঙ্কিতা তখুন কাঁদিয়া অঙ্গার হইল  দু'নয়ন জুড়ে। ঝোপের আড়ালে দাড়াইয়া কহে এখুন বাড়ি ফিরিব কি করে তবে? সারাদিন মগডালে তাড়া  করিয়া তবে প্যান্টখানি ছিনিয়া নিয়েছিলাম সেইদিন  বাদরের হাত থেকে। বড় হইবার তরে শিখিলাম অনেককিছু তবে, কত বড় হইয়াছি জানি না ব'লে,,,, একদিন দুটো চরথাপ্পর খেয়ে সেই তো হইলাম বনবাস তাহারে ছেড়ে। আজো সুবাতাস বহিয়া চলে মাঝখানে ব্যাবধান তবে সে নিঃচয়ই রহিয়াছে স্বর্গের অধিপতি হয়ে। November 05.2018

জুলফিকার

” জুলফিকার ” রুদ্র ম আল- আমিন জলরঙ একেঁছি ব’লে,, ক্যানভাসে ফুটে উঠে তোমার ছবি, কেন এমন হয় বারবার? আমি দেখেছি তোমায় বাংলার সবুজ ঘাসে তখুন সোনালী বিকেল রক্তিম আলোর ঝলকানি ব’য়ে চলে। বন্ধি আত্মা অপরাধ ছেড়ে নেশায় মগ্ন তখুন। হঠাৎ বদলে যায় পৃথিবী হয়ে যায় হাতের তরবারি জুলফিকার ধরায় তখুন শান্তির জলধারা, স্লোগানে স্লোগানে মুখর, আমার রাজপথ আমি অগ্রভাগে,,,,, আমাকে রাজমুকুট পরানো হলো,, কৃতদাসের শেষ সংলাপ আমি বলতে লাগলাম। আমার ডানে বামে হাজারো প্রস্ন ঘূূনায়মান কে আমায় বলবে, তুমি কে? কেউ একজন বলেছিলো তাঁকে আমি আমার শেষ রুপ দেখিয়েছি, এখন বলার মতন কেও নেই,কেও নেই। May18.2018

স্রোতস্বিনী

” স্রোতস্বিনী ” রুদ্র ম আল-আমিন স্রোতস্বতী তখুন তুমি উপ, হঠাৎ-ই কেন যে তেমায় নাম দিলাম জানি না। এই আমি,খুজিতে যাইনি কখুনো তাহা জানি। তথন একেবারেই বুঝতে চাইনি,তুমি কেমনে চলিতে চাও আমায় ছাড়ি। এখুন ভরা যৌবন হঠাৎ-ই বদলে গেলে, দু’কূল ছাপিয়ে হয়ে গেলে স্রোতস্বিনী। স্রোতস্বিনী! আমায় কি চিনিতে পারো? আমি ক্রমপরম্পরা, একদিন আমারই ছিলে। কবে ফিরবে স্রোতস্বিনী? আমায় গ্রাস করো, এ আমি চাইবো না কেন বলো? আমার যে মৃত্যু নাই তুমি দেখো,,, আমিতো বার্ধক্যেও থাকিব অনন্ত যৌবনা। তুমি স্রোতা, তোমার কন্ঠস্বর একদিন বিজনে দেবেই পাড়ি,এও জানি,,, হয়তো তখুন, আমিও থাকিব আড়াআড়ি। স্রোতস্বিনী! তুমি থাকিবে কি আমার খুব কাছাকাছি? September 10.2019

ভালবাসা

” ভালবাসা ” —————— রুদ্র ম আল-আমিন ভালবাসা! আজি দামি সাঁটের ট্রাই হয়ে ঘুরিতেছে অফিসের চেয়ার টেবিলে টেবিলে।। সাদাকালো সার্ট ছাড়িছে কখুনো সখুনো বেলা শেষে।। যত নির্বুদ্ধির খেয়াল রয়েছে পরে হঠাৎ কেহ তা দেথিলে অবাক হইতে হবে। তোমায় ছাড়িয়া চলিতে পারি না কেন আজি ছাড়িতে চাহি তবে ? কখুনো বা মার্কিনীদের মতন কখুনো ব্রিটিশ। হাঁসতে পারিনি মুখের কথা মুখেই,, ,,, ভালবাসা, একটা ফিকে ভালবাসা রহিয়াছে পরে। আজি ছাড়িতে চাহি কেন চাহি তোবুও বলিতে পারিনা কোনমতে? শুধু দুদন্ড কথা কহিবার চাই আর কিচ্ছু চাইনা তোমায় ছেড়ে। ভালবাসা! তোমার ভালবাসা তাহা আজি আমার দামি ট্রাই এ বন্দি রহে। November 12.2018

ধ্রুপদী

ধ্রুপদী     রুদ্র ম আল-আমিন আমি এখুন ভূমধ্যসাগরে দাড়িয়ে,, সাহিত্যের রঙ্গস্বাধ, হয়তো তোমাদের হাজারো  প্রাণে। বুকে জরাজীর্ণ ভালবাসা আজি আবেগে ভরিছো তুমি প্রণয়ের খাতাখানি খুলে। দ্রৌপদী! এমন অবিনশ্বর প্রেম, কতকাল রহিবে তাহাদের মনে? আমি কথা বলছি, তুমি শুনতে পাও, আমিও,,, হোমারকে দেখ ; আমায় কত রং মেখে দিচ্ছে গায়ে। আমি কি তবু থাকিব? একদিন যৌবনাদের ঠোটের তটে? বস্রহরণ করিবার ছলে ওরা এসেছে,,, ওরা আসছে,,,, দ্রৌপদী! আমি কি হারিয়ে যাচ্ছি, তবে আমি আমার মতোন করে? ধ্রুপদী হয়তো থাকিবে চিরকাল প্রণয়ে প্রনয়ে, আমিও হয়তো থাকিব,,, আমায় কিন্ত সাক্ষী করিও, না হলে বাচিব বা কার প্রানে ? আমি যে, তোমারই দ্রৌপদী ,তোমাদের---ধ্রুপদী। September 23.2019     রুদ্র ম আল-আমিন আমি এখুন ভূমধ্যসাগরে দাড়িয়ে,, সাহিত্যের রঙ্গস্বাধ, হয়তো তোমাদের হাজারো  প্রাণে। বুকে জরাজীর্ণ ভালবাসা আজি আবেগে ভরিছো তুমি প্রণয়ের খাতাখানি খুলে। দ্রৌপদী! এমন অবিনশ্বর প্রেম, কতকাল রহিবে তাহাদের মনে? আমি কথা বলছি, তুমি শুনতে পাও, আমিও,,, হোমারকে দেখ ; আমায় কত রং মেখে দিচ্ছে গায়ে। আমি কি তবু থাকিব? একদিন যৌবনাদের

রুদ্রাক্ষ”

রুদ্রাক্ষ” রুদ্র ম আল-আমিন ভালবাসা এখানেই সমাপ্তি  আজি প্রশ্নবাণে জর্জরিত কেউ একজন।।  তাঁর থেকে আজ আমি অনেক দুরে পথ হেটে ক্লান্ত  বন্ধু আমারও সমাধি এখানেই হয়তো বা হতে পারে। এই সেই রুদ্রাক্ষ  তুমি এনেছিলেএতদুর ব’য়ে, এত এত সাধনা আমি কি ভুলিতে পারি তোমায় ছেড়ে। আমায় বিদায় দাও মরন ঘনিয়ে গেছে। বিষবাণে আমি যে জলছি ধিকে ধিকে  আমায় আর কে বাধিতে পারে বলো, আমার যে যেতে হয় বন্ধু।  এই যে রুদ্রাক্ষ, বৃক্ষের মালা আজো রেখেছি দেখ,, কেন ভুলে যাই তোমায় ?  এই শেষবার আর বলবো না  কখুন বলিবো আর, খেয়াতরী ডাকিছে যে বারেবারে আমায়, বব্ধু আমি আজো তোমার অপেক্ষায়। May 17.2018 ” রুদ্র ম আল-আমিন ভালবাসা এখানেই সমাপ্তি  আজি প্রশ্নবাণে জর্জরিত কেউ একজন।।  তাঁর থেকে আজ আমি অনেক দুরে পথ হেটে ক্লান্ত  বন্ধু আমারও সমাধি এখানেই হয়তো বা হতে পারে। এই সেই রুদ্রাক্ষ  তুমি এনেছিলেএতদুর ব’য়ে, এত এত সাধনা আমি কি ভুলিতে পারি তোমায় ছেড়ে। আমায় বিদায় দাও মরন ঘনিয়ে গেছে। বিষবাণে আমি যে জলছি ধিকে ধিকে  আমায় আর কে বাধিতে পারে বলো, আমার যে যেতে হয় বন্ধু।  এই যে রুদ্রাক্ষ, বৃক্ষের মালা আজো রেখেছি দেখ,, ক

রুদ্রাক্ষ”

রুদ্রাক্ষ” রুদ্র ম আল-আমিন ভালবাসা এখানেই সমাপ্তি  আজি প্রশ্নবাণে জর্জরিত কেউ একজন।।  তাঁর থেকে আজ আমি অনেক দুরে পথ হেটে ক্লান্ত  বন্ধু আমারও সমাধি এখানেই হয়তো বা হতে পারে। এই সেই রুদ্রাক্ষ  তুমি এনেছিলেএতদুর ব’য়ে, এত এত সাধনা আমি কি ভুলিতে পারি তোমায় ছেড়ে। আমায় বিদায় দাও মরন ঘনিয়ে গেছে। বিষবাণে আমি যে জলছি ধিকে ধিকে  আমায় আর কে বাধিতে পারে বলো, আমার যে যেতে হয় বন্ধু।  এই যে রুদ্রাক্ষ, বৃক্ষের মালা আজো রেখেছি দেখ,, কেন ভুলে যাই তোমায় ?  এই শেষবার আর বলবো না  কখুন বলিবো আর, খেয়াতরী ডাকিছে যে বারেবারে আমায়, বব্ধু আমি আজো তোমার অপেক্ষায়।

কবি স্বপন

কবি স্বপন Date:  October 9, 2019 Author:  Rudro M Al-Amin 0 — এখুন, তোর মাথায় দেখি, পানের ঝাঁকা! ঝাঁকড়া চুল, দাঁতগুলোও তোর খয়েরি রং, এ্রখুন তুই করিস কি-রে? পরনে তোর পান্জাবী তাও দেখি পানের পিক। ক্ষমা করিস বন্ধু, এই বুঝি তোর রোজগেরে? আমি জানি তুইও জানিস,সুপ্রীতি আজ পরের ঘরে। নাই বা ছাঁপলো কগজে লেখা, এখুন কি আর কাগজ পড়ে? বানান ভুল এটা আর নতুন কি-রে? কবির কাছে বানান কোন মানে না রে। কাগজওলা খুকখুকানি তাদের কথায় লেখাই ছাড়লি? , কলেজের দেয়ালে দেয়ালে, নিজের কবিতাখানি টাংগাবে ব’লে তখুন তো ছুটেছিস সবার আগে। কবি স্বপন! আরও একবার দৌড়া না, ঠিক তেরই মত করে। October 09.2019 রুদ্র ম আল-আমিন Advertisements Occasionally, some of yo

বৃক্ষের পত্রঝরা দিনে

বৃক্ষের পত্রঝরা দিনে রুদ্র ম আল-আমিন এমনই বৃক্ষের পত্রঝরা দিনে,,, ক’টা শেফালিকা এনেছিলে আমায় দেবার তরে। তোমার নরম হাতের ছোয়া যাহা আজো ভুলিবার নহে। খোঁপায় দুলিছে তোর হিমঝুরি,তখুন আমি তাহা লয়ে কেবলই নিমগ্ন রহি। ঝিলের ধারে একখানা কুঁড়ে ঘরে আপন মনে কাটাইতাম নিজেকে বেশ করে। তোকে দেখেই সেইপ্রথম প্রেম জাগিল মনে। হঠাৎ-ই দেখি,,, শরতের কাঁশ ফুল গা ঘেষে দাড়িয়ে রহে। কাঁশফুলে, তোকে বরন করিবার তরে,,,, কাঁশের নরম ছোয়া,,, তোর কপোল বেয়ে বক্ষ ভিজিয়ে দিয়াছিলাম সেইদিন তবে। এরপর আর দেখা হয়নি তোর সাথে। শরৎ তুই আর একবার ডেকে দে না তোরই মতো করে,,,। October 06.2019

নয়নতাঁরা

নয়নতাঁরা Date:  October 3, 2019 Author:  Rudro M Al-Amin 2 — ঠাকুর মন্ত্র পাঠে নিমগ্ন তিলক কাঠি নোয়াইবার কালে কহিলাম সুভাস দা,, সুভাস ঠাকুর, বয়সে আমার চেয়ে অনেক বড়। নম্র স্বভাবী, দোকানে দোকানে ঘুরে রোজই হরেক রকমের ফুল জল দিয়ে থাকে। আমায় দেখলেই না হেঁসে পারে না। আমিও নাছোর বান্দা, সুভাস দা-র হাতের ফুল আমি চাই-চাই। বেতের ঝুড়িখানায় নরম হাতে আলগোছে নয়নতাঁরা খুজিয়া বাহির করে। নয়নতাঁরা আমার প্রিয় ফুল অমন সাদা ফুলে কার না লোভ জাগে বলো। একদিন সুভাস দা- প্রশ্ন করিলঃ নয়নতাঁরা আপনার এতটা প্রিয় কেন? October 03.2019 রুদ্র ম আল-আমিন