সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হাতখানি ধরে নিমন্ত্রণ চাহিয়া

" হাতখানি ধ'রে নিমন্ত্রণ চাহিয়া "
                      রুদ্র ম আল-আমিন

হাতখানি ধ'রে  নিমন্ত্রণ চাহিয়া একদা চোক্ষের জল ফেলে।
প্রতিমা জানে না,,
কেন অমন করিয়া অধরা কাঁদিয়া বেড়ায়
রোজ রোজ তাহার ঘরে?
রথযাত্রায় পরিচিতিপ্রাপ্ত হইবার কালে দুদন্ড কথা কহিতেই
প্রতিমা বেহুশা হইলো রথখোলার মাঠে।
ধম্ম ধম্মান্ধ তীর্থপটে
প্রতিমা কাতর হইয়া ভাবিতে থাকে
লাজনম্র জানিতো তাহারে বহুকাল ধরে।
অধরাকে দান কি করিয়া প্রান,
দেবে আজি অন্যের বোনা জালে।
সন্ধের শাখ বাজিবার তরে
রথযাত্রা সাঙগ হইয়া তখুন যে যার ঘরে।
কি কথা কহিল অধরা
বাড়িসুদ্ধ লোকেরা ইহার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষনে মরে।
হৈচৈ বাধিল দুগাঁয়ের ছেলেবুড়ো মিলে
রাত্রীগভীর হইয়া মিটিমিটি তারা জ্বলিবার কালে
বিভেদ চুকিয়া গেলো সবে।
বাঁধসাদিল প্রতিমা সকলেরে মিনতি করে,
কিন্ত সেইরাত্রেই
অধরা রাজ্যজয়ের আনন্দ বিরাগভাজন করিল ঢোলডাঙগর লয়ে।
প্রতিমা আজো খুজিয়া ফেরে,,
একদা অভীষ্ট মনোবাসনা পূর্ন করিবার লাগি,,
মাঝবয়সী এই নমনীয়া,
হয়তো ধর্ম্মান্ধ ব'লে
সকলেই তাহারে সেইদিন  দিয়েছিল ফাঁকি যে।
July 20.2019

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।