সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, জলরঙ-এ বিবর্না

          " জলরঙ-এ বিবর্না "                              রুদ্র ম আল-আমিন ক্যানভাসে জলরং ফুটন্ত টগবগে তন্নিমিত্ত বয়স আঠারো কি-বা উনিশ। একটা ব্রাউন পাথর, আর একগুচ্ছ ব্রাউনকেশ। তুলিতে প্রথম আঁচড়, হঠাৎ ভেসে এলো একটা দর্শণ। ক্যানভাসের এই মেয়েটি একদিন পাশে ছিল। তবে পান্থপথের সিনেপ্লেক্স এ কথা হয়, " I don't care?" রংতুলির কথা, কেন পারিব না আমিও। জলরং আজি কাঁদিয়ে গেল বলে, ফের দেখা হল ভাই। নিমিশে চক্ষু মু্ছিবার কালে বেশ করে আজি মনে পড়ে, আজি কোনখানে সে রহিয়াছো পরে? বিবর্না! কেন সলিল হইল দু'দন্ড কথা কহিবার কালে? আজি জলরং কাঁদিছে মোর মুহুর্তের  তোমার সলিল সমাধি জুড়ে। October 29.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

ধর্ম নিয়ে গোরামি

ধর্ম মানে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া অসম্ভব। ধর্ম বিশ্বাস করেনা এমন মানুষও খুজে পাওয়া কষ্ট। কিন্তু ধর্ম নিয়ে গোরামি করে এরকম মানুষ মাত্র গুটিকয়েক। এই গুটিকয়েক লোকজনই মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে থাকে। আর এর থেকে জন্ম নেয় হানাহানি ও বিরোধীতা। যুগে যুগে তাহা লই্য়াই  তর্ক  বিতর্কের দিকে আগাতে থাকে। আর এর কারনেই একদিন ধর্মের পরিবর্তন না ঘটলেও ধর্মগ্রন্থ পরিবর্তন ঘটে যায়। যার জলজ্যান্ত উদাহরন ঃ প্রতিটি ধর্মের লোকদেরই ধর্মগ্রন্থ পাল্টে গেছে একদিন। পাঠক, এই ঘটনা গুলো ঘটতে হয়তো হাজার হাজার লেগেছে। কিন্তু তাই বলে ধর্ম কিন্তু পরিবর্তন ঘটেনি। অত এব, ধর্ম নিয়ে একঘুয়েমি করা প্রত্যেকের পরিহার করা উচিত। রুদ্র ম আল-আমিন

বাবা আমিও

        " বাবা আমিও"                      রুদ্র ম আল-আমিন বাবা আজি আমিও বাবা তফাৎ তুমি আর সে, বলিঃ যেন মেরুকরণ না হয় তাহার পরে । আর্শিবাদ কর আমায় আশির্বাদ দাও বাবা তোমার পদতলে। ঈশ্বর যেন সহায় হয় কামনায় এই ত্রিভুবন জুড়ে। তোমার শস্যক্ষেতে  দানা বাধিয়াছে বলে জল ছিটাইতে প্রতিদিন ভোরে ইহা আমি দেখিয়াছি কারন জন্ম হইয়াছে মোর তোমার ঘরে। বাবা বলিতে আমায় ভূফাটিয়া একদিন উঠিবে বেড়ে ইহাই সোনা ফসল ভরিবে মাচাখানি দুলে। বোচাগণ্জের হাটে সাথে লয়ে বহন করিয়া বোঝা দুঃখ হইত সারা হাসিমুখে ফিরিতে তখুন  কাঁধে আমি বলিতাম,থাক না বাবা আমি যাই হেটে। বাবা  আমিও বাবা তবে তফাৎ আমি থাকি তাঁর থেকে বহদুরে। কেন এমন হয় বাবা,কেন তুমি আমি নই? আশির্বাদ কর বাবা আমায় নয় আজি তাঁরে। October 26.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,স্বাদ দিতে পারিব না

         “স্বাদ দিতে পারিব না”                           রুদ্র ম আল-আমিন তখুন বয়োঃসন্ধি ঘটেনি আমার যৌবনের স্বাদ সাধিল কি মনে, তাহা বুঝিতে পারিনি ব’লে আজো খুজিয়া ফিরি কারন তাহার তো বয়োঃসন্ধি ঘটিয়াছে তখুন সবে। একটা খরের চালে গড়াগড়ি করে কি সে বিষবাণে মরিল স্বাধের পেয়ালা ভরে। আমি তো বিষে জড়াইনি তখুন তাঁরে। প্রভু! আজি আমি কোনপথে রহিয়াছি প’রে। সকালের ব্যাথা বিকেলেও বহে রাত্রী হলে তারি ব্যাথা ক্ষনে ক্ষনে জাগে। ইহাই কি প্রথম প্রেম তবে? সেই দেখাই প্রথম তাঁরে, শেষ তাঁরে পরদিন প্রাতভোরে আমায় খুজিয়া ফেরে বলিলঃ “আবার দেখা হবে” ঝিনাই নদীর ঝিনুক লয়ে ফিরিয়া দেখি যাচ্ছে সে পরঘরে । ভাবিলাম,একি করিল তবে মোর সাথে। কারন, আমি না বুঝিলেও” ও তো জানিতো আমি স্বাধ দিতে পারিব না তাঁরে। প্রভু!ইহা কি ছিল শুরুতেই তবে? October 25.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,একটি চিঠি

       " একটি চিঠি "                        রুদ্র ম আল-আমিন চিঠি লিখছি তোমায় ঠিকানা জানিনা ব'লে কতভাবে খুজিলাম তাঁরে। এত এত প্রযুক্তিযুগে তবে কেন সে ইহার বাহিরে থাকে? হয়তো একদিন দেখা হবে না জানি কোনপুরুষের ঘরে রহিবে তখুন সে আপনার হয়ে। চিঠি লিখছি একটি চিঠি জানিতে ইচ্ছে করে আজো ভালবাস নাকি মোরে? বনবাসী কহিল আমায় হয়তো ভুলিয়াছো মোর ভালবাসাখানি শ্মশানের পোড়া কাঠে। স্বারদা! এত ভালবাসি তোমায় ভুলতে পারি না আজো কোনমতে। জানো, চিঠিটি পড়ছে সবাই তুমি কবে পড়িবে? কবে ফিরে পাবো তোমায় আপনার করে। October 24.2018

ড্যাপ কুড়োনো

       "ড্যাপ কুড়োনো"                    রুদ্র ম আল-আমিন ড্যাপ কুড়োবার ছলে উদম হয়ে যেতাম তখুন গাবের পাড়ার বিলে সারা বিলে শাপলা ফুলে মন কারিত যখুন তখুন বিদ্যাপীঠের সকল ছেলের বুকে। ক্লাস শেষে ফিরতো যখন সকল ছেলে মেয়ে, দিদির হাতে বইটি ফেলে যেতাম তখুন ড্যাপ কুড়োনোর দলে দলের নেতা হতাম তখুন দুই বন্ধু মিলে। ড্যাপের বোঝা ফেলে তখুন শালুক নিতাম তুলে, কালো ড্যাপে নিজের ভাগে দেইনি তবে শালুকগুলি কাউরে। সারা গায়ে কাঁদা মেখে যখন ফিরি বাড়ি পথের ধারে এ বলিত ও বলিত আমায় দিবি ক'টা ডাগর লুলি। সন্ধে বেলা শালুকগুলি  সিদ্ধ হবে বলে কাঁচা ড্যাপই মুখে পুড়ে খেতাম শালুক ভুলে, মা বকতো,, অল্প খাস পেটটি যাবে জ্বলে। ড্যাপ কুড়োবার ছলে কত্ত মেয়ে সঙ্গ দিত তখুন মোদের সাথে। October 22.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা শিশুতোষ কালে

        " শিশুতোষ কালে "                            রুদ্র ম আল-আমিন শিশুতোষ কালে খেলিয়াছি খেলা পুকুরের ধারে। সখীবর কাঁদিয়া ফিরিত বলে পাড়াশুদ্ধ বাধিয়া যাইত মাঝেমধ্যে দাঙ্গা বটে। রাত্রী হলে গ্রাম্যশালীসি বসিয়া কোলাকুলি করিত সকলই মিলে। এমনি কতক রাতে মায়ে বাপে ঝগড়া করিয়া কাটাইতো সারারাত্রী তবে। সকালে ঘুটে তুলিবার কালে মিটিমিটি হেসে সখারে কহিত সখী আর মারিস না তবে? বড় হইবার কালে সখা পড়িয়া রহিল গাঁয়ে সখীরে দেখিবার ছলে ভিনগাঁ হইতে আসিত মাঝে মাঝে বৃদ্ধ লোকেরা তবে। ডু মারিয়া সখা এইবার দু'নয়নের জল ফেলিতেছে সবে। সখা ভাবিয়া মনে মনে কয় কেন শিশুতোষ কাটিয়া গেল জীবনের মাঝে। October 22..2018

কবি কথনীয়

          "কবি কথনীয়"                     রুদ্র ম আল-আমিন খুজিয়া ফিরিতেছি একজন মাত্র কবি দেখা হইল সহস্র ভবে। ভক্ত অনুরাগী হইয়া ইহার পরে কে বা হইতে নাহি চাহে দামি কবিদের দলে ছদ্মনামে খুজিলাম তাঁরে। আমিও কবি, গীতিনাট্য ছায়তলে ভুবনে রহিয়াছি পরে ওহে কবি তোমায় খুজে নাকো হে। কবি! কবিতার চরণ নাহি জেনে বলে আমি নাকি দেবতার অারাধনায় ধ্যানযোগে। ভবে কবি আর লিখিবে  কি বা তবে? ওরা বলিয়াছে ধরাকে শ্বরা করে কবি বলিয়া তাহারে আজও গুণকীর্তন করে বলতো ভাই, কোন কবি ইহারই বাহিরে রহিয়াছে পরে? আমি বলিলেই নন্দ ঘোষাল তবে তোরা ক্যান করেছিস এই সব ভবে? October 21.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, কফিন বন্ধি ভালবাসা

    "কফিন বন্ধি ভালবাসা"                            রুদ্র ম আল-আমিন দামি কাগজের কফিনে পেরেক ঠুকে মোর ভালবাসা খানি দিয়াছি সেই কবে তাঁরে আস্তাকুড়ে। কফিন বন্ধি ভালবাসা তাঁর রহিয়ছে পরে হৃদয়ের মাঝখানে। ফের দেখা হলে কি আর বলিব তাঁরে হয়তো বা একটা কালো কাপড়ে বাঁধিব মুখখানি তবে। কেন এমন হলো বলিব না কস্মিনকালে, যদি বা সে তোবু নাহি মোরে ছাড়ে জানিতে চাহিব ইশ্বর সেইদিন কোথায় গিয়েছিল তবে? দামি কাগজে আজো লিখছি তোমায় নিয়ে কেন লিখছি, কেন লিখছি? তবে কি আজো ভালবাসি তাঁরে। ঋৃতু! বলিতে পারো কোন পাঁপে দুষ্ট তবে ইহা জানি,শরৎ আসিলে ফের বলিবে কথা মনে মনে জন্ম আমার আজন্ম পাঁপে রহিয়াছে ভরে। কবিতা! তোমায় দামি কাগজে কেন সেইদিন রেখেছি যত্ন করে? বলিতে পারো কেন সে রহিল জীবনের থেকে এতদুরে? ঋৃতু! তবে কি ভূল ছিল মোরা দামি কাগজের কফিনে পেরেক ঠুকে। কোবু আসিবে না বলিতেছি তোমায় এই শেষবার মিনতি করে। কারন রহিয়াছি তোমায় ছেড়ে অন্ধতা বয়ে। October 20.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,

" ভোট "      রুদ্র ম আল-আমিন লাঠি বন্দুক ঢাল তলোয়ার ঝনঝনানি বহুত তর বাঝে আমার ভোট কাইড়া নিলে ছাড়মু না যে তবে। গণতন্ত্র ধণতন্ত্র সমাজতন্ত্র বুঝিনারে ভাই এইবার আমি আমার ভোট টা দিবার চাই। দেখমু ব্যাটা বাপের ব্যাটা তুই যে শালা কোন শালা। হারামজাদা আমার টাকায় বাপের বাড়ি মায়রে মাইরা ঝিয়ের বাড়ি, বলিস কথা         "হেয় আমার আপন লাগি" লেন্দু মিয়ার গল্প শুনিঃ,, আমার কথা আমি বলিঃ আইবি শালা বিয়ানবাড়ি চিতায় দিমু প্রেম কাহিনী, আমি এখুন ভাতে মরি ; হায় হায় হায় নিপাতযাক হায় হায় হায় নিপাতযাক। October 17.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,,মেঘ মন

         "মেঘ মন "      রুদ্র ম আল-আমিন     মনন তাহার দুরে দুরে রয়          শ্রাবন মেঘ বারিবয়ে ঠায়    বলিঃ সংসার তাঁর কি করে হয়?   তখুন অালোর পৃথিবী মেঘে বিবর্ণ রয়       তাসের ঘর হাওয়ায় নাচে মেঘ বলে নে    আমি বলিঃ কোথায় তুমি?           যাচ্ছি আমি মেঘের ভেলায় সংসার তাঁর সাধ্যিও তাহার          মেঘ বলে যা-য-যা থাকবি কোথা   তোর সাথে তর কাছে আপনারে।        বারি বলে হাওয়ায় দুলিস প'রে যাবি যাসনে ভুলি যাচ্ছি অামি সঙগ ছাড়ি।        কেমনে ফিরি?    বরের খোজে ভ্রম্মচার‍ী থাকবি একা         সকল কিছুর বিনাশ করি, বুঝলি না? আমার সাথে যাস কিন্তু বলিঃ           করবি তখুন পরের ঘরে বাস। October 16.2018

কবিতা, কষ্টের কথা

           "কষ্টের কথা"          রুদ্র ম আল-আমিন তাঁহারে পাইনি ব''লে দুঃখ করিনা শাপ করিনা কখুনো তাঁরই তরে। বিষ জ্বালা দলি্ত যখন তিনি পথ ভূলে কষ্ট তাঁর চিরদুখী করিছে জগত ময়ে। দয়াময় কেন সেই ক'টা দিন আপনার হল তবে? কষ্টের কথা কাহারে বলিঃ নিজেকে কি সুখী করিতে, একলা পথে চলেছি কখুনো তবে? দয়াময় কেন মোরা জন্ম হল তোমার গুণকীর্তনে? October 15.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, রং নাম্বার

           "রং নাম্বার "        রুদ্র ম আল-আমিন এই রং নাম্বারখানি,,, আজি কতটা আপনার ইহা জানি। রং কথা হয়, কথা হয় অনেক কথা প্রেম হয় তখুনও সে মোর রং নাম্বারে রয়ে যায়। বিবেকের দহন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় তখুন পুরোনো প্রেমিকা হৃদয় লোপাট নয়। কথা হয় যেতে হবে একদিন তাঁরই গাঁয় সময় কেবলই বিবর্ণ হয় আসবার কহি যেতে কয় পরিবারদ্বয়। মেঘের ভেলায় উরে উরে সাঁতরায় তখুন রং নাম্বার প্রতিরাতে কাঁদে অজস্রবার। এই রং নাম্বারখানি আজি কতটা আপনার ইহা জানি। যাব যাব ব'লে কেবলই সময় ক্ষেপণ করিতেছি তবে এখুনো দেখা হয়নি কাহারো চোক্ষু মেলে। এইবার তাহার বাবার আদেশ মেয়েকে একবার দেখিয়াই যাইতে হবে বাপে। তুমি চাহিলে দাসত্ব করিব সবে।নচেৎ বিয়ে দেব দুর কোনখানে। মায়ের বাক্যবিলাপ, মেয়েকে তোমার পছন্দ হবে একবার আসো বাবা ফিরে। রং নাম্বারখানি তখুন অবিরত কাঁদে কথা দাও, কথা দাও আসিবে কাছে। কি বা চাই তুমি একবার বলো মোরে আমি যে রয়েছি কেবলি পথপানে চেয়ে। কতটা আবেগ রয়েছে প'রে বলিতে পারি না তোমায় কোনমতে। রং নাম্বারখানি,,,, আমি রং ভেবে দিয়াছি ধোকা বুঝেছি রং নাম্বার কাকে বলে। রং নাম্বারে বর আসবে একটু পরে

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,,ফোটা ফোটা মেঘ

    "ফোটা ফোটা মেঘ"              রুদ্র ম আল-আমিন আমি  বুঝেছি ইহাই প্রেম জগৎজুড়ে মোমের বাতি নিঃশেষ হলে তোবু ইহা ফুরোবার নহে। ক্যানভাসে ফোটা ফোটা মেঘ শরৎ শুভ্রতা বয়ে চলে হাজার বছর ধরে। বালির বুকে দাড়ায়ে যখন কাঁশের হাসি মানবের বারিপাত দোলে। আমি বালি কেন কাঁদি তাঁরই ভরা যৌবনে? এই তো কদিন পরে হয়তো বা রয়ে যাব দুর কোন বনে সেথায় জোনাকের বাস যদি বা থাকে তাহাও দেখিতে হবে সহস্র বছর ধরে ।, কেন বালি কেন জোনাক নয়? কেন দেখিতে হইবে ইহাই স্বাধ, স্বাদ্ধী নয়? দুবলার ফুল সেতো হাসিতে পারে পাখিরা বুকের পরে কলতান করে আমি কেন অবিনশ্বর হলাম  কেহ বলিতে পারে? লোকে বলে ইহাই প্রেম জগৎ জুড়ে বলিঃ গর্দভ জন্ম আমার ইহজগত জুড়ে। October 12.2018

ফাঁসি দেব

      "ফাঁসি দেব"     রুদ্র ম আল-আমিন ফাঁসি দেব আরো ফাঁসি,,,, দেখব আমি কার মুরোদ কে ঠেকায় কত্ত ফাঁসি। মায়ের বুকে, বউয়ের বুকে, দুর্ ব্যাটা রাষ্ট্র চলে ফাঁসির ঢলে। গদী নিবি, এই কথা যে কস আয়তো দেখি পায়ের তলে বস। সাহস কত্ত, দেখতো ব্যাটার ঠ্যাঙখানি কো পাইছি হুজুর হাওয়ায় দোলে কস কি ব্যাটা,, ল্যাংটা খাট্রা কইবি এবার মুরোদ খাটা। কইছি আমি, মুরোদ দেখা বউয়ের বুকে রাষ্ট্র যদি চাস গলায় দেব ফাঁস। আচ্ছা আচ্ছা ভাল কইছা, তয় হের পোলার ঘরে তাস,ঠেইল্লা দে,,,আক্কাএলা বাঁশ। বাঁশের দামে কাঠ,, লোকে কইব থাক। গান্জা খাইছোস,,, নাহ্,, পুটলীখানি দে কন কি বাবু,,,,, আপনিও,,,,, ঘরে আছে তাস গান্জা খাইয়া যাস ফাঁসি অইব ওই পোলাডার লাশ। আরো ফাঁসি চাস? হ -হ -হ-- মুক্তি পোলায় মানে না তো নিজের হোগায় বাঁশ ধইরা দিবি রাজাকারে যাস; তয় গেরামবাসী,,,, আমার নামে জ্য়ধ্বনি শুইনা যাইব সকল দাশী কাইন্চা নেতা, তর গায়েও যে বাস কারে দিমু ফাঁস। October 10.2018

এত বছর পর

             "এত বছর পর "         রুদ্র ম আল-আমিন ভূল ছিল তর লগে মোর শিখিলাম, জানিলাম, কিবা করিতে পারিলাম; দেখা তো হলো এতবছর পর। স্মৃতির দুয়ারে ফিরি দু কদম হেটে হেটে চলি তর কথা আর কতকাল মনে রাখি বল। গগণে বারির মিছিল বয় তর দুইহাত ধরিয়া সেইবার বলি চল্। সেইদিন যাসনে বলিয়া শিলাঘাতে মাথাখানি ফাটিয়া কেঁদেছিলি কেন আমায় ধরিয়া? বারিতে ভিজে রক্ত গিয়াছে গলে মা বকেেছিল বলে কেন কে্ঁদেছিলে মোর দুহাত ধরে। স্কুলে যাইবার কালে তর খাতা বই কতবছর বয়েছি বল আগে আগে, বয়স বাড়িল তর ,পীড়িতি মঝিলি বেহায়ার পোলার লগে সেইদিনও কিচ্ছু বলিনি তরে। তখুন অল্প বয়স বলে বাপমায় করায়নি তর সাথে বিয়ে । দুপোলার বাপের লগে এত কিছু কস কেন এত এত বছর সেথায় রহিলি পরে। তর ভাবিজান, তয় খুব খাতির করে। হেয় তো কয়, একদিন সতীন হবি তাঁরতরে। October 10.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,ব্যাথায় ব্যাথিত

     "ব্যাথায় ব্যাথিত "      রুদ্র ম আল-আমিন প্রিয়! কে আমায় এত ব্যাথায় ব্যাথিত করে? দিন কি ফুরোবার নয় তবে? আমার চন্দ্রীমা মধু জল পান ক'রে গেয়েছো গান শুনেছো তুমি তোমার কর্ণদুলে। বয়স বেড়েছে ঢের, কোনপথে যাব আমি মনে হয় ইহা যেন বয়সের হেরফের। চোখের চাহনি তাঁর কলমের কালি,, বেলা বয়ে যায় অকপটে ইহা জানি। সন্ধে নামে তখুন তাঁহারা ক'জনা মিলে কবেকার কথা বলে, আজি প্রভাতে রহিয়া স্মৃতি, জীবন তরী খানি যদি ধুলোয় লুটিয়ে যায় মোরা বহুদিন পরে তবে কি তোমার স্মৃতি আবার আসিবে ফিরে হৃদয়পটে । প্রিয়! তুমি কি বুঝিতে পারো? পরণে মোর কিবা কহে। জানিতে চাহিনা আমি আজি এই ত্রিভুবন। October 09.2018

এখুন কবিতা লিখি

     "এখুন কবিতা লিখি"       রুদ্র ম আল-আমিন এখুন কবিতা লিখি,,, আগেও কবিতা লিখতাম,আজো লিখছি তফাৎ মাত্র হাজার বছর। যেনো সহিয়া গেছে ইহা সকলের প্রাণে প্রাণে। ছন্দ আমার  মেলেনি তখুন লোকে বলিত গদ্য। পদ্যরোচণ রচনায় হাতমেলিতে গিয়া অগ্নিদগ্ধ হইয়া হাত পুড়িবার তখুন । তাল, লয় মিলিত না। একদিন সুনন্দা কহিল,,, "সারগাম করিও যত্তটুকুন পারো" গিটারে যাইয়া ওয়ান টু কহিলাম, ভাবিলাম হবে। তখুন মনে হইল, লোকে হাসিবে ইহা নয়, অন্য কোথাও যাইতে হবে। অর্গান রিডার স্পর্শন হইল,কহিল,,,,,,, এইখানে উচু নিচু বেদ আছে, মধ্যিখানে হাত রাখিও তবে। এরপর সা-রে-গা-মা,সারে-রেগা-গামা,সারেগা-রেগামা। কহিলাম বেশ কিছুদিন ভরে। বাড়ি ফিরিয়া সে'বার আমি, কবিতা লেখন গিয়েছিলাম ভূলি। এরপর অনেকদিন কলম ফাটিয়া রক্তজরিত নয়নখানি। এখুন কবিতা লিখি,,গদ্য পদ্য সবই বুঝি, তবে ইহার তরে নিজে পড়িয়াছি শতকখানি পুস্তকাদি। তাই ব'লে এখুনো কি কবিতা লিখিতে পারি? October 01.2018