সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, রং নাম্বার

           "রং নাম্বার "
       রুদ্র ম আল-আমিন

এই রং নাম্বারখানি,,,
আজি কতটা আপনার ইহা জানি।
রং কথা হয়, কথা হয় অনেক কথা
প্রেম হয় তখুনও সে মোর রং নাম্বারে রয়ে যায়।
বিবেকের দহন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
তখুন পুরোনো প্রেমিকা হৃদয় লোপাট নয়।
কথা হয় যেতে হবে একদিন তাঁরই গাঁয়
সময় কেবলই বিবর্ণ হয়
আসবার কহি যেতে কয় পরিবারদ্বয়।
মেঘের ভেলায় উরে উরে সাঁতরায়
তখুন রং নাম্বার প্রতিরাতে কাঁদে অজস্রবার।
এই রং নাম্বারখানি
আজি কতটা আপনার ইহা জানি।
যাব যাব ব'লে
কেবলই সময় ক্ষেপণ করিতেছি তবে
এখুনো দেখা হয়নি কাহারো চোক্ষু মেলে।
এইবার তাহার বাবার আদেশ
মেয়েকে একবার দেখিয়াই যাইতে হবে বাপে।
তুমি চাহিলে দাসত্ব করিব সবে।নচেৎ বিয়ে দেব দুর কোনখানে।
মায়ের বাক্যবিলাপ,
মেয়েকে তোমার পছন্দ হবে একবার আসো বাবা ফিরে।
রং নাম্বারখানি তখুন অবিরত কাঁদে
কথা দাও, কথা দাও আসিবে কাছে।
কি বা চাই তুমি একবার বলো মোরে
আমি যে রয়েছি কেবলি পথপানে চেয়ে।
কতটা আবেগ রয়েছে প'রে বলিতে পারি না তোমায় কোনমতে।
রং নাম্বারখানি,,,,
আমি রং ভেবে দিয়াছি ধোকা
বুঝেছি রং নাম্বার কাকে বলে।
রং নাম্বারে বর আসবে একটু পরে
আমি যাব
অপেক্ষারত পরিবারদ্বয় মিলেমিশে মনের গহীনে তাহাদের রক্ত টগবগে।
আমি যাইনি, যেতে পারিনি বলে সারাবাড়ি কান্নায় রোল পরে,
ইহাই শুনেছিলাম আমার কর্ণে লাউড স্পীকারের তরংগ ধ্বনিত রাগে।
বুঝেছি সেইদিন রং নাম্বার কাহাকে বলে।
তাহার শ্বপ্ন ভাংগা শেষ কথা,,
"রং নাম্বারে, রং ভেবেছেন মনে?
ভূল করিলেন ইহাই যাতনা রহিল মনে।
হয়তো সুখী হব, তবে চিরদিন থাকিবে মনে। রং নাম্বার রং হয়ে গেছে সেইদিন তবে।
October 14.2018

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।