সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,,, বাবা

             " বাবা "      রুদ্র ম আল-আমিন হাত ধরে নিয়ে চল বাবা ওই পথে আবার ফিরব তোমার সাথে আমি যে অনেক দুর যেতে চাই হেটে হেটে ক্লান্ত পথে ঘুমিয়ে গেলে আমি কি হারিয়ে যাব তোমায় ছেড়ে বাবা, ওই খানে তোমার কে আছে? যখন রাত্রি হয় বকেরা তখুন কোথায় লুকায় আমায় দেখাবে তার ঘুমোনোর বাড়ি কোথায়? পাখিরা কেন তবে মাঠের ধান খায় রেলগাড়ি মেলাদুর যায়, আমায় কেন উঠায় না তায় মায়ের বাড়ি, বাবা আমাদের বাড়ি নয় কেন মায় একা একা রয়। ওইখানে ভাই থাকে, ভাই কি আমার নয়? বাবা আমায় কিন্ত রাখিও হাত ধরে। বড়  হলে ফেরাতাম মাকে তখুন তুমি আর মা একসাথে আমরা এক ঘরে এক সাথে। আর কতদুর, পথ কি ফুরোবার নহে ভাগ্যিস ছোট্র দিদি সংগে আসেনি তবে রৌদুরে পুড়ে কাঁদতো আমায় ধরে তোমার কোলে মা মা বরে ডাকতো সারাক্ষন ভরে। বাবা মা কেন একা থাকে আমাদের ফেলে? বাবা আমি ডাক্তার হলে মায়ের অসুখ আমি কি ভালো করিতে পারিব তবে। কেন মানুষের অসুখ হয় মায়ের কিসের ব্যাথা জাগে তায়। বাবা মায়ের নাকি ভৃতে ধরেছে তায়। May 27.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,,,,একটা পাখি

                "একটা পাখি "                    রুদ্র ম আল-আমিন একটা পাখি ছিলো মনের মধ্যে যত্ন করিতাম তাঁরে মনের মত করে সকাল বেলা প্রথম প্রহরে তাঁরে উড়িয়ে দিলাম মনের মত করে।পাখিটির পায়ে গুঙুর রয়েছে পরে। সাদা কালো  নীল, আরো হরেক রংয়ে এসেছিলো, এমনি পৌষের রাতে উড়ছে হয়তো আজি মুক্তমনে। আমায় ছেড়ে কেমন আছে পাখিটি বনে বনে। অনেককাল কেটে গেল তাঁর সাথে,,, মুক্ত পাখিটির মুক্তি মেলে, বন্দিনী আমি করিনি ব'লে, বডড অভিমানী সে কদিন ধরে। খাচার দুয়ার খুলেছি  তোবুও সে র'য়ে যায়  বহুক্ষন ধরে, আমার কি সাধ্য আছে? কোন বনে তারে রাখিব যতনে যতনে। খাচার মধ্যে উরন্ত লাফালাফি বকাবকি কত করেছি দুজন মিলে, কেন এত কথা আজ মনে পড়ে? পাখিটির গায়ে ম্যাগনেটাইট বেধেছি বলে কোথায় আছে দেখিতে পারি আমি কি মুক্তি দিয়েছি তাঁরে? এ কেমন ভয়ানক চিৎকারে মরে আমি কি দেখিতে পারি, এত এত সুখ আমায় ছেড়ে। একটা পাখি ছিলো মনের মধ্যে,, কেন সে উরে গেল খাচা ছেড়ে আমায় একা করে? আমি কি ধরিতে পারিব আর  কোনক্ষনে? May 23.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা রুদ্রাক্ষ

     "রুদ্রাক্ষ"            রুদ্র ম আল-আমিন ভালবাসা এখানেই সমাপ্তি আজি প্রশ্নবাণে জর্জরিত কেউ একজন।। তাঁর থেকে আজ আমি অনেক দুরে পথ হেটে ক্লান্ত বন্ধু আমারও সমাধি এখানেই হয়তো বা হতে পারে। এই সেই রুদ্রাক্ষ তুমি এনেছিলেএতদুর ব'য়ে, এত এত সাধনা আমি কি ভুলিতে পারি তোমায় ছেড়ে। আমায় বিদায় দাও মরন ঘনিয়ে গেছে। বিষবাণে আমি যে জলছি ধিকে ধিকে আমায় আর কে বাধিতে পারে বলো, আমার যে যেতে হয় বন্ধু। এই যে রুদ্রাক্ষ,  বৃক্ষের মালা আজো রেখেছি দেখ,, কেন ভুলে যাই তোমায়  ? এই শেষবার আর বলবো না কখুন বলিবো আর, খেয়াতরী ডাকিছে যে বারেবারে আমায়, বব্ধু আমি আজো তোমার অপেক্ষায়। May 17.2018

করতোয়া

                 "করতোয়া"              রুদ্র ম আল-আমিন করতোয়া! সেই কবে এসেছিলে একদিন নিলিমার ঐ দু’চোখ ভরে দেখেছে কে বা কারা । তোবু ও শুনিলাম, এই যে অশথ বহুপায়ে দাড়িয়ে নিরিবিলি তোমাকে সোনালী আগুনের ঢেউ, দুর নক্ষত্র এ পথে আসবে কি কোন দিন আষাঢ়ের বৃষ্টি ছোয়া, হালকা বেগুনী রঃ নীলাভ পৃথিবী, ছোট্র একটা মন নিরিবিলি কথা, খোপায় তারাফুলের গন্ধ নিয়ে বৃষ্টি বারে এসো! এসো হে করতোয়া! ভোতা মাটির মতোন, কখুনো বা ডুমাপড়া কিশোরীর হাঁসির মতোন শুধুই একটি কচি ধানের শীষ করতোয়া! ফিরে এসো নিলিমার ঐ দু’চোখ ভরে দেখে যাও করতোয়া ফিরে আসো!

অনিন্দ্যনা

                  "অনিন্দ্যনা "            রুদ্র ম আল-আমিন অনিন্দ্যনা কেন এমন হলো,,,,, তুমি এতকাল পরে আবার সেই এলে আমি শাপলার ফুল কুড়িয়েছি অনেক আগে, এখুন মাঠে ঘাটে এক ফোটাও জল নেই কোথাও তোমায় কোথায় নিয়ে যাব? পুকুরপাড়ে জারুল গাছের নিচে কত কথা বলতে আমায় ; বাশঝাড়ে ডাহুকের আনাগোনা এখুনো রয় মনে পড়ে,,,,ফাগুনের শেষে চৈত্রীমেলাায় হাত ধরে হেটেছিলে পুরো মাঠে এরপর আর যাওয়া হয়নি কোথাও আজ আর কোথায় যাবো বলো? তুমি নিরুদ্দেশ বকুলতলায় অনেকদিন যাইনি,, বিচ্ছেদ করেছে আমায় জানো আমি আর যেতে পারি না কোথাও অনিন্দ্যনা কেন এমন হলো? May 11,2018