সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রমাদি ১৬

সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

রমাদি ১৫

ঃবিথী বদরকে ডিস্টার্ব করে ঃ তুই কি করছিস ঃআমি রাগ করে কথা বলি না. ঃ মা জানে? ঃ না  ঃ মাকে ব'লো না তুমি ঃ কি করবি ঃতুমি বলে দাও আমার কি করা উচিত ঃও আসলে ক্ষমা চাইবি, ও তোর বড়-দার মতন ঃ আর যদি কখুনো না আসে? ঃআসবে রে আসবে, অনেকদিন হলো আছে, মানুষ সব কিছু ভুলে যায় না কয়দিন পর আবার আসতেছি,গয়নার জন্য, এই কয়টা দিন দেখ, ঃপীষি---মাকে কিন্তু বলো না ঃ আচ্ছা বাবা তুই যা--- যা স্কুলের সময় হয়ে গেল। রমা বাড়ি ফিরতেই মা বলল, ঃস্কুলে কাল যাস  ঘরদ্বোর পরিষ্কার করতে হবে,  রমা সোজা বদরের রুমে গেল।চেয়ারটাতে বসতে ইচ্ছে করছিল,পরক্ষনে ভাবল যে, না থাক এটায় বদরকেই মানায়।ঘরটা গোছাতে লাগল, সব কিছু এলোমেলো, জুতো, মোজা, ধুতি, পাজামা, পান্জাবি, বই, খাতা, কলম ইত্যাদি, বিছানার চাদরে সব জমা করল,বই খাতা গুলো টেবিলে সাজালো. জুতো মোজা রেকের নিচে রাখল, ধুতিটা হাতে নিতেই মনে হলো, বদরের শরীরে গন্ধ।হঠাৎ-ই ধুতিটা বুকে চেপে ধরেই কেঁদে ফেলল, চোঁখ দিয়ে জরজর করে জল গড়িয়ে পড়লো কয়েক ফোঁটা। তারপর রুমের দরজা বন্ধ করল রমার মা উঠোনেই ছিল, দরজা বন্ধ করতে দেখেই বলে উঠল , ঃকি করতেছিস ওখানে প্রথমে কোন সারাশব্দ করল না, তার পর আ

রমাদি ১৪

এমন সময় রমার পীষি এসে উঠোনে দাঁড়াল, দাড়িয়েই বলল ,ঃ রমা -- রমা কোথায় রে--?  মা বললঃতিথি তুই এত সকালে ,,,? ঃআর বলোনা বৌদি, তোমাগো বাঘিলে পূন্যদার কাছে, অনেকদিন হয়ে গেল গয়নাটা দেয়় না। ঃবৌদি রমা কোথায়?  ঃ ঘরে চল সব বলছি ওপড়তেছে ঃচলো চলো-- এই রমা পীষি ঘরে গিয়ে রমার  গলা জরিয়ে ধরল। কিন্তু রমা খুব করে কাঁদছে,  ঃআরে আরে বোকা মেয়ে কাঁদছিস ক্যান।তোর পীষি সবসময় তোদের সাথেই আছে। পীষি মাথায় হাত বোলাতে লাগল, পীষির শশুর বাড়ি গালা ইউনিয়নে পাল বাড়ি, পালবাড়ির বড় ছেলে সুকুমার কেরানির চাকুরী করে, সচ্ছল একটা পরিবার হলেও সুকুমার কোনদিন এ বাড়িতে আসেনা। তিথি সুকুমার কে ভালবাসতো কিন্তু সুকুমার পাল বংশ এটা রমার বাবা মেনে নিতেই পারেনি আজ অবধি।শেষমেষ তিথি পালিয়ে সুকুমারদের বাড়ি যায় ,বিয়ে হয়েছে প্রায় শতেরো বছর ,এই সতেরো বছরে রমার বাবা একবারও দেখতে যায়নি। তিথির একটা মেয়ে আছে নাম শকুন্তলা, সবাই শুকলা নামে ডাকে।শুকলার বয়স পনেরো, গালা হাই স্কুলে পড়ালেখা করে।তিথি বছরে এক আধবার আসে।  মা তিথিকে নিজের সন্তানের মতই মনে করে। মা জিগ্গেস করল, ঃশুকলার শরীরটা ভালো আছে,? দেইখা রাখিস  মাথা নেড়ে বলল

রমাদি ১৩

মা ঘরে ফিরে রমাকে দেখতে পেল না , অবশেষে বদরের রুমের দিকে পা বাড়াতেই দেখল রমা বদরের বিছানায় ওখানে ওকে  দেখেই হতভম্ব হয়ে যায।এক নজর দেখেই না দেখার ভান করে চলে এলো়। মা অনুমান করল যে, রমা হয়তো বদরকে কিছু একটা বলেছে, আর সে জন্যই বদর বাড়ি চলে গেছে। রাতে খাবর খেতে বসে মা দেখল রমা খাবার ঠিকমতো খাইতেছে না।কি যেন মনে মনে ভাবছে।রমার মা খুব বুদ্ধিমতী মহিলা, বদর আজ নেই,মায়ের মনও খুব খারাপ।কিন্ত কি করে রমাকে জিজ্ঞেস করবে ভেবে পাইতেছিল না।তাইতো একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলল , ঃমায়ের কথা মনে পরছিল মনে হয়.তরে কিছু একটা কইছে? রমা মাথা নেড়ে বোঝাল যে, না।এবং একটা দীর্ঘনিশ্বাস নিল। রমা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে, মায়ের সাথে কথা বলতে মন চাইছে না। কি বলবে মাকে. মাকে কি এটা বলা যায় যে, মা, বদর আমার কারনেই---- সকালে ঘুম থেকে উঠেই রমা মন্দিরে গেল়. বাড়ির পাশেই কালী মন্দির, ঠাকুরের কাছে মনে মনে কি চাইল তা জানা গেল না. প্রনাম করে চোঁখের জল মুছতেই দেখল,তার পাশেই দাঁড়িয়ে ঠাকুরকে প্রনাম করছে বিথী।,মনে মনে খুব হিংসে হচ্ছিলো। পা বাড়াতেই বিথী বলল , ঃ বদর চলে গেছে-না? ঃ তোর কারনেই ঃ ঠাকুরের দিব্যি, ওকে না পেল

রমাদি১২

সারাদিন শুধু ঘরের মধ্যেই শুয়ে থাকে।কিছু একটা বলবে ভাবে কিন্তু বলা হয়না।অবশেষে চিন্তা করল,রমাকে জিজ্ঞেসা করলে কেমন হয়.সংকোচন না করে রমা কে বলল, ঃ  বদরের কি হইছে জানোস? ঃ জানি না! ঃ ছেলেটা ঠিকমতো পড়াশোনা করতেছে না। রমা এবিষয়ে কোন কথাই বলল না,  মা রমাদির পড়ার টেবিলের পাশে অনেকক্ষন দাড়িয়ে রইল, রমার কোন প্রতুত্তর না পেয়ে ঘর থেকে বের হতে যাচ্ছিল। এমন সময় বদর আসল, মনে হচ্ছিলো রাতে ঘুমায়নি ছেলেটা। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে.এসেই বলল ঃ মা আছেন, আমি বাড়ি যাব। মা বলল, ঠিক আছে যেয়ো--সোজা রুমে এসেই ব্যাগটা গোছাতে থাকে।পরনের ধুতি একটানে খুলে ফেলল।পুরোনো একটা পায়জামা ছিল সেটাই পড়ল, পাঞ্জাবি গায়ে যেটা ছিল তাহাই রইল. জুতো জোড়া পাল্টানোর আর প্রয়োজন মনে করল না।রুম থেকে বের হতেই মা সামনে এসে দাড়ায়, রমা পড়ার টেবিল ছেড়ে দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে,মা বলল, ঃবদর কি হইছে তর.কবে ফিরবি, রমা এদিকে আয় বদর বাড়ি যাইতেছে। রমা আসার আগেই বদর উঠোন ত্যাগ করল.মা বাহির দরজায় দাঁড়াল,পিছনে রমাও দাড়িয়ে,মা আবার বলল ঃবদর কবে ফিরবি? : ঃজানি না মা --- জানিনা কথাটা বলতেই বদরের চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়েে পড়ল। রমার ম

রমাদি ১১

দেখতে দেখতে এই বাড়িতে বদরের পাঁচ বছর কেটে গেল। বদর এই পাঁচ বছরে,নিজেকে কখনোই বাবা মায়ের অভাব বোধ করেনি। রমার মা বদরকে নিজের সন্তানের মত করেই লালন পালন করছে।বদরও কখনো তাদের অমর্যাদা করেনি। এখন বিপিন বি,কম শেষ করে ঢাকায় চাকরীর পিছনে ছুটছে।বাড়িতেও খুব কম আসে।রমা ছোট থেকেই ভাল ছাত্রী, তার আশা বড় হয়ে ব্যারিস্টার হবে।সামনে মেট্রিকুলেশন পড়ালেখার প্রচুর চাপ, নিজের সম্পর্কে সব বুঝতে শিখেছে. বদরের সাথেও আজকাল খুব কম মেশে। বদর ওতটা ভাল ছাত্র না হলেও একেবারে খারাপ না।কিন্তু  এ্যামভিশন নাই। তবে অনেক পড়াশোনা করবে এই এটুকুই আশা। পাঁচ বছরে বদর হাত গোনা কয়েকবার মাত্র বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়ির কথা এখন তেমন একটা তাঁর মনেই হয় না।বদর দেখতে এখন একজন সুদর্শন যুবকে পরিনত হয়েছে।, ক্লাসের মেয়েরা বদরের সাথে গায়ে পরে কথা বলে।রমার বান্ধবী বিথী বদরকে অনেকদিন ধরেই পছন্দ করে।বিথী জানে বদর মুসলমান,তবু একদিন টিফিনের ফাঁকে বদরের হাত জরিয়ে ধরে, বদরকে বলে যে, তাকে ভালবাসে। এরপর থেকে রমা ব্যাপার টা সহজ ভাবে মেনে নেয় না।এই নিয়ে রমা বিথী মনমালিন্য হয়।পরমুহুর্তে ক্লাসের সবাই এই কথা যেনেও যায়। যেহেতু সবাই এখন বড়

গাঙশালিক ২

গাঙশালিক--১৭ পরদিন হইতেই সাবিত্রী ছেলের বিবাহর জন্য ব্যাস্ত হইয়া পরিল। ঘরদ্বোর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া পরদিন হইতে ধোয়া মোছা  কাপড় চোপড় দৌত করার কাছে নেমে পরল। নিতাই বাপ দাদার একমাত্র উত্তরাধিকার হওয়ায় এই ঋষিপল্লীতে তাহার আপন কেহ নাই। সমাজের কালচার মানুষ সহজে ছাড়িতে পারে না।যদিও এরা সনাতন ধর্ম পালন করে তবু ঋষিপল্লীর একটা নিজস্ব সংস্কৃতি রহিয়াছে । এই সংস্কৃতির এর আদি অন্ত খুঁজলে ঋষিগণ হিন্দুদের প্রধান মনে হইবে। যেহেতু সনাতন ্রধর্মালম্বীদের পন্ডিতগণ জাতপাত বলিয়া এদের খাটো করিয়া রাখিয়াছে সেই হেতু আমরা তাহা লইয়া বিশ্লেষন করিতে চাহি না। তবে এদের এই নিজস্ব সংস্কৃতি বংশপরোশপর মেনে আসিতেছে। তাহার মধ্যে বাল্যবিবাহ রেয়াজ র্রীতিতে পরিগনিত। এদের প্রধান পেশা পায়ের জুতো মেরামত করা। লেকে ইহাদের মুচি বলিয়া সম্ভোদন করিয়া থাকে।  নিতাইসহ ঋষিপল্লীর সকলেই অধ্যবধি এই পেশায় নিয়োজিত। গোপালের বাড়িতে যদিও ছেলের বিয়ে তবু সে রোজকার ন্যায় আজো কাজের জন্য খুব ভোরবেলা কাঠের বাক্স কাঁধে নিয়েই বাহির হইয়াছ। যাইবার পর বাসুদেব আসিল কৃষ্ণ তখন বাড়ি ছিল না। কৃষ্ণর চেয়ে বাসু বেশ লম্বা চওড়া দেখতে একটু স্বাস্থ্যকর বটে। তাহাকে দ