সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ১১

দেখতে দেখতে এই বাড়িতে বদরের পাঁচ বছর কেটে গেল। বদর এই পাঁচ বছরে,নিজেকে কখনোই বাবা মায়ের অভাব বোধ করেনি। রমার মা বদরকে নিজের সন্তানের মত করেই লালন পালন করছে।বদরও কখনো তাদের অমর্যাদা করেনি।

এখন বিপিন বি,কম শেষ করে ঢাকায় চাকরীর পিছনে ছুটছে।বাড়িতেও খুব কম আসে।রমা ছোট থেকেই ভাল ছাত্রী, তার আশা বড় হয়ে ব্যারিস্টার হবে।সামনে মেট্রিকুলেশন পড়ালেখার প্রচুর চাপ, নিজের সম্পর্কে সব বুঝতে শিখেছে. বদরের সাথেও আজকাল খুব কম মেশে। বদর ওতটা ভাল ছাত্র না হলেও একেবারে খারাপ না।কিন্তু  এ্যামভিশন নাই। তবে অনেক পড়াশোনা করবে এই এটুকুই আশা।

পাঁচ বছরে বদর হাত গোনা কয়েকবার মাত্র বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়ির কথা এখন তেমন একটা তাঁর মনেই হয় না।বদর দেখতে এখন একজন সুদর্শন যুবকে পরিনত হয়েছে।, ক্লাসের মেয়েরা বদরের সাথে গায়ে পরে কথা বলে।রমার বান্ধবী বিথী বদরকে অনেকদিন ধরেই পছন্দ করে।বিথী জানে বদর মুসলমান,তবু একদিন টিফিনের ফাঁকে বদরের হাত জরিয়ে ধরে, বদরকে বলে যে, তাকে ভালবাসে। এরপর থেকে রমা ব্যাপার টা সহজ ভাবে মেনে নেয় না।এই নিয়ে রমা বিথী মনমালিন্য হয়।পরমুহুর্তে ক্লাসের সবাই এই কথা যেনেও যায়।
যেহেতু সবাই এখন বড় ক্লাস এ পড়ে, তাইতো সবাই এব্যাপারটা চেপে যায়।

সে দিন বদর কিছুতেই বুঝতে পারল না যে, কেন রমা এর জন্য বিথীকে অত অত খারাপ ভাষা ব্যাবহার করল।কারন রমা শুধু দেখতেই সুন্দর না় ওর ব্যাবহারও খুব ভাল। ও এত সুন্দর করে কথা বলে যে, শিক্ষকরাও তাহার প্রশংসা করে।  অথচ আজ যেরকম ব্যবহার করল তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি. বিথী রাগান্বিত হয়ে অবশ্য বলেছিল ,“বদর যদি চায় আমি মুসলমান হবো তাতে তোর কি?তুই ওকে পছন্দ করিস? 

সে দিনের পর থেকেই  রমা আর আগের মত মেশে না. বিথীর সাথেও  কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে।বদর কিছু জিজ্ঞেসা করলেই বলে,
,সামনে পরিক্ষা, পরে বলবো, এখন পারব না, ঘর গোছাতে হবে. মায়ের সাথে রান্না চড়াবে ইত্যাদি ইত্যাদি বলতে থাকে। বিথীও আর এবাড়িতে আসে না. বদরেররও মন খারাপ হয়ে যায়। তাইতো কদিন ধরে সারাক্ষন ঘরে বসে থাকে।  মা লক্ষ করছে যে, ইদানিং বদর তেমন একটা পড়াশোনা করছে না. 


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,

" ভোট "      রুদ্র ম আল-আমিন লাঠি বন্দুক ঢাল তলোয়ার ঝনঝনানি বহুত তর বাঝে আমার ভোট কাইড়া নিলে ছাড়মু না যে তবে। গণতন্ত্র ধণতন্ত্র সমাজতন্ত্র বুঝিনারে ভাই এইবার আমি আমার ভোট টা দিবার চাই। দেখমু ব্যাটা বাপের ব্যাটা তুই যে শালা কোন শালা। হারামজাদা আমার টাকায় বাপের বাড়ি মায়রে মাইরা ঝিয়ের বাড়ি, বলিস কথা         "হেয় আমার আপন লাগি" লেন্দু মিয়ার গল্প শুনিঃ,, আমার কথা আমি বলিঃ আইবি শালা বিয়ানবাড়ি চিতায় দিমু প্রেম কাহিনী, আমি এখুন ভাতে মরি ; হায় হায় হায় নিপাতযাক হায় হায় হায় নিপাতযাক। October 17.2018