সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, মাতাল

  " মাতাল "       রুদ্র ম আল-আমিন যদি আজি শিক্ষিত না হয়ে মূর্খ হতাম,,, তবে প্রতিরাতে মদ খেয়ে মাতলামি করিয়া যেতাম। রাত্রী হলেই হয়তো বুদ হয়ে থাকিতাম তোদের মাঝে। গায়ের গায়ের কাপড় আলগা করিয়া হয়তো পড়িয়া থাকিতাম বেশ্যাখানার পাশে। সকাল হলে না জানি কতলোকে নাক ছিটকাতো আমায় দেখে। বউয়ের ঝগড়া মিটে যেত যখন শুনিত তোমার নাগর পড়িয়া রহিয়াছে সরাইখানার পাশে। মায়েবাপে হয়তো এরুপ দেখিয়া কথা কহিবার  চাহিত এক বা দুদিন পরে হয়তো কিছু বলিতেই তেড়ে উঠিতাম তাহাদের দিকে। কারন, ইহাতেই আমার যে বেশ শান্তি মেলে। পাড়ার লোকেরা জড়ো হয়ে হয়তো বা যখন হইতো বাদী দলে দলে সকালেই তাহার বিচার করিত মাতবরে তবে। নিরুপায় হ'য়ে হয়তো বলিতামঃ নেশার ঘোরে তখুন বুঝিনাই আমি। উঠোনভরি দুকান মলে দিতো এর চেয়ে আর কি-বা করিবে সকলই। হয়তো দুদিনও থাকিতো না মনে এর পর ঘর দোর দিত যদি মূর্খ হইতাম তবে। এখুনো রাত্রী হয় সরাইখানায় যাই ও বটে লোকে ভাবে বাসীপচা মদ গিলে ফিরিতেছে সেই ছেলেটাই বটে। কিসের শিক্ষিত হলাম ভবে, কেন পারি না মাতালের মতন বকা দিতে? তবে কি আমি শিক্ষিত নই? November 29.2018

মুক্তিকামী

স্বাধীনতা ! এটা আমার, কখুনোই এটা তোদের নয়,,, ওটার জন্য যুদ্ধ করেছি আমি নিজে তুই কখুনোই না,,, আমি কারা ফটকে দাড়িয়েও বলবো আমার মুত্যু হলেও বলবো,, ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়ে হাসবো, হা-হা-হ-হ কারন, মুক্ত হবেই একদিন সোনার বাংলাদেশ। November 20.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর, লন্ঠনের আলো

      "লন্ঠনের আলো "                   রুদ্র ম আল-আমিন হয়তো দেখা হবে একদিন তোমার সাথে,, হয়তো বা কল্পনার সমস্ত রঙ মিলেমিশে, একাকার হতেও পারি  আপনার হয়ে। জোৎস্নার মাঝরাতে হয়তো বা তোমার  বুকের পাজরখানিওভেংগে দিতে পারি,,, তোমায় ইহাও জানাতে পারি ধুম্রজালে তাকিয়ে থেকো না শুধু শুধু আমার দিকে।  নয়তো বা আস্মিনের শীতের রাতে যখন পালাবে তুমি বলিতেছো মোর কাছে তখুন লুট হয়ে যেতে পারে যা কিছু  রহিয়াছে । হয়তো দেখা হবে, তখুন বিশ্বাস ভংগ হবে কারন, তুমিও তিলতিল করে ভাংগিতেছো তাহার  ঘরের লন্ঠনের আলোটারে। প্রতিমা! আমিও তো রহিয়াছিঅন্ধ কুঠুরীতে,,,,, যাইবার কালে একটা হোচট খেয়েছি দোরে তখুন সে যেন কান্নায় আকুতি করে। তোমায় দেখিব বলে আজি  নির্জনপথে,,, হয়তো দেখা হবে, হারাবো কি সর্বস্য তবে? November 20.2018

মেঘ আসিবে বলে

      "মেঘের আসিবে বলে"              রুদ্র ম আল-আমিন মেঘ আসিবে বলে রহিয়াছি চেয়ে, কখুন দেখা হবে তোমার সাথে ? তোমায় দেখিবো বলে আজো চাহিয়া থাকি চাতকের দলে । নদীর দুকূল জুড়িয়া তপ্তবালুর উষ্যবহে বালিহাস ছানা লয়ে তখুন এধারে ওধারে চোক্ষের সামনে ঘুরিতেছে আপন মনে। ডাহুক ডাহুকীরে ডাকিতেছে বারেবারে, ঘুঘূগণ আপনার মনে ধান খেয়ে যায় কার যেন আমন ক্ষেতে। বংশীবাদক নিভির মনে মন কাড়িতেছে, বধুর স্নেহের ছায়ে। গাঙগের ধারে গোয়ালের গরুটারে যতনে ভরিছে নারী সেবাটুকু তাঁরেই ফাকি দিয়ে। একবার দেখা মিলিবে বলে ঠায় দাড়িয়ে রহি, কেন গগন জুড়িয়া মেঘ বহিতে নাহি পারে ? November 19.2018

কবিতায় প্রেম

" কবিতায় প্রেম "               রুদ্র ম আল-আমিন কবিতায় কতকথাই না বলা যায় অকপটে,, সেও তাহা দেখতে পায়, শুধু বুঝিতে পারে না, কি বা বলিতেছি তাঁকে। ভাইরাল হয়ে যায় কখুনো তাহা  ইচ্ছেমত সকলের দরজায় ঢু মারে দুএকবার শুধুই আকাংখায়। এমনি পরশু রাতে লিখেছি কবিতা বলিতেছে সে,, আর কে কে ছিল তোমার মাঝে? বিচ্ছেদ ঘটিয়া গেল তাহার সাথে প্রেম টুকু তোবু যেন কবিতায় দেখা মেলে। মেঘের পরে মেঘ বহে হৃদয় ফাটিয়া চৌচির হয় মাঝে মাঝে কষ্ট পাই তবুও কিচ্ছু বলিনা তাঁরে কারন সে রহিয়াছে পরের ঘরে। November 14.2018

চুপিসাঁরে, রুদ্র ম আল-আমিন

          " চুপিসাঁরে "       রুদ্র ম আল-আমিন কবি! ভালবাসা কাহাকে কয়,, জানি না ব'লে তোবু একদিন প্রেম হইল তাহার সাথে। রাত্রী গভির হলো চুপিসারে পা ফেলে তখুন চলিল সে  সকলের অগোচরে। অবোধ শিশুটির ন্যায় জরায়ে যায় সে তো  মোর বাহুডোরে। কবি! ইহাই কি প্রেম তবে? আস্মিনের রিমঝিম বৃষ্টিবারে ফের দেখা হয় তাহার সাথে। একটা জাফরানি ওড়নায় নিতম্ব ঢেকে গায়ে পশমির শাল তখুন রহে আমায় কহিল, চল যেতে হবে আমার সাথে অনেকদুরে । ঘুমের ঘোরে আলগোছে কয় একখানি স্বপ্ন দেব, দেখিস কোনদিন ভুলি বি না মোরে। কবি!  ইহা নিঃচয়ই ভালবাসা হবে। ভালবাসা বুঝি না বলে পকেটের পয়সাকড়ি নিয়েছিল একজন কেড়ে, লোকে বলে ওটা নাকি ধোকা ছিল সবে কবি! ইহাও প্রেম নয় কেন তবে? স্বাতীজল ঝিনুকের মত আহোরণ ক'রে একদিন উঠিল বেড়ে মুক্তোরদানা। তারপর গৃহস্থ্য কাড়াকাড়ি করে নিয়ে নিল সবকিছুই উজার করে সেবার কহিল, আর চলিতে পারি না ক্ষমা চাইছি এইবার তোর কাছে। কবি! প্রেম আমি বুঝি না কেন? ফের যদি দেখা হয় আবার আবারো তবে কি ভালবাসিব তাঁকে, তাঁদের। November 13.2018

কবিতা, নুরুলআমিন

" নুরুলআমিন "        ------------ রুদ্র ম আল-আমিন ইতিহাসের পাতায় একজন দেশপ্রেমিক কারো বা কাছে বেইমানের রাজহংস। আমরা নেতাজির কথা বলিঃ আমরা ব্ঙ্গবন্ধুকে জানি, মার্কস,মাওসেতুং,আমরা হিটলারকেও মনে রাখি। সরার্দী ,হক,ভাষানী,জিয়া এদের কতবার চিরতরে মু্ছিবার চাহি। নুরুলআমিন! আজি বঙ্গ ছাড়ি,তাঁকে কেও আজো চিনিতে নাহি পারি, হে জন্ম ভূমি কি বা পাপে দুষ্ট আমি তোবু জন্মাবো আবার ভাবি,, আমি আবার বলিব একদিন এইসব সত্যের বাণী। সকলি গুণিজন আজি এভাবেই পড়িয়া রহে আমার সোনার বাংলা, কি করিয়া আজি বাচিয়া থাকে? প্রভু! রক্ষা কর,আজি একজন নুরুলআমিনকে খুব দরকার। November 07.2018 rudromalamin.wordpress. com

অঙ্কিতাকে ছেড়ে রুদ্র ম আল-আমিন

"অঙ্কিতাকে ছেড়ে " রুদ্র ম আল-আমিন ঘুঙুর বাঁধিয়া ছুটাছুটি করি, আগে কি জানিতাম, বাদরের দল উকি মারিত তাঁরি লাগি। জুই, চামেলী শেফালির ঘ্রাণে কত না ছুটেছি একদিন এই চেনা পথটির আনাঁচে কাঁনাচে জুড়ে । তখুন ধারাজ সাপের ভয়ে পা ফেলিতাম দুজনোই একই সাথে। ডোবায় স্নান করিবার কালে একদিন বাদরেই প্যান্টখানি লইয়া ছুটিল গাছের সাখে সাখে। অঙ্কিতা তখুন কাঁদিয়া অঙ্গার হইল  দু'নয়ন জুড়ে। ঝোপের আড়ালে দাড়াইয়া কহে এখুন বাড়ি ফিরিব কি করে তবে? সারাদিন মগডালে তাড়া  করিয়া তবে প্যান্টখানি ছিনিয়া নিয়েছিলাম সেইদিন  বাদরের হাত থেকে। বড় হইবার তরে শিখিলাম অনেককিছু তবে, কত বড় হইয়াছি জানি না ব'লে,,,, একদিন দুটো চরথাপ্পর খেয়ে সেই তো হইলাম বনবাস তাহারে ছেড়ে। আজো সুবাতাস বহিয়া চলে মাঝখানে ব্যাবধান তবে সে নিঃচয়ই রহিয়াছে স্বর্গের অধিপতি হয়ে। November 05.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, মাতব্বরি

        " মাতব্বরি " রুদ্র ম আল-আমিন আমি কিচ্ছু করিতে পারিব না যা হবার তা-ই হবে? ঘাবরে গেছিস এই শুণি বুঝি পাড়ার চেংড়া ছেলেপেলে নিয়া করিবি কি সবই? আমরা আছি, থাকিব তয় কিসের লাগি ঘরখানে থাকতে দিস, পানের বাটেতে চুন খসিবার আগে বলছি ক্থা চলে যাবি উঠোনের বাঁকে। সত্য কইলেন এই যদি হয় যুয়ান মাইয়া দিসু কহিলাম তুলে। কথা কইতে বেবাকেই পারে কইরা দ্যাহাস তর কথা শুনিমু পরে। পাড়ায় গিয়া  আজই কইবি সবেরে রুদ্র আইতে কইছে, যতপারে লোক নিয়ে। এরপর তুষার পড়িল সারাগা ঘর হইতে তখুন কেহ বাহির হইতে নাহি পারে সুযোগ বুজিয়া মাতব্বর একদিন ঠেংগাইল সকলেরে। সেইদিন তয় যোয়ান মাইয়া লাঠিটি ধরে নাকানিচুবানি খাওয়াইল মাতব্বরি তবে। November 03.2018

সোনার খাঁচায়

      "  সোনার খাঁচায় "        রুদ্র ম আল-আমিন সোনার খাচাটি ছাড়িয়া পাখি একদিন যাইবে চলে, এই বলে ধ্যানমগ্ন হইল বহুকাল ধরে। একদিন উড়াল দিবার স্বাধ জাগিল মনে তখুন পড়ন্ত বিকেলবেলা এরপর রাত্রী হইল হৈ চৈ পড়িল সকলের মনে কেউ বা কহিল আহ্ আহ্ পিন্জর ছাড়িয়া সোনার খাচটি তখুন  রহিল উঠোনের বায়ে। ধরাধরি করে বাহির করিল যা কিছু সবে চিতায় ভস্ম করিবার লাগি সোয়াইল সবি যন্ত্রণায় কাতর ইহা দুর হতে অনুভবে মরি। মাথায় বজ্রাঘাত করিল যে বার ভূমন্ডল ছাড়িয়া হেথা একটা উড়াল দিতেই দেখিলামঃ আসিয়াছি এইবার আমি আঙ্গিনার দোড়ে। সোনার খাচাটিতে আবারো ফিরিতে জাগিছে ফের মনে মনে। পাখি তুই কেন উড়াল দিলিই ভবে? November 03.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর,কষ্টের জীবন তরী

" কষ্টের  জীবন তরী"                রুদ্র ম আল-আমিন আজি দুর হতে চাহিয়া দেখি কষ্টে কষ্টে নিঃশেষ হইয়া গিয়াছে মোর সোনার জীবন তরী। যখুন আন্ধার রাইতে উঠিয়া নিজে মুগুরখানি ধরি, তখুন বাজানের পায়ে দেখিয়াছি  সোনার প্রলেপ মাখিয়া ফিরিতেছে বাড়ী। গোয়ালের পাড়ে দাড়াইয়া জননী নিভীর মনে আলগোছে কয়, এই রে তর বাজানে বুঝি আইলো বাড়ী। সোনার প্রতিমার হাতখানি ভরি গুবরের ঝাঁকা লয়ে ছুটিছে সে তখুন ফাঁকা বাড়ী। চোক্ষের দুই কোণে মুদিয়ায় জল নিমিশে রক্ত চক্ষু হইয়া গেছে তখুন আঁখি ভরি। এমনি একদিন কুয়াশার রাতে প্রতিমা গিয়াছে সেইদিন বাপের বাড়ী চলে। ঘুমের ঘোরে শ্বপ্নে পড়িছিল তাঁরে  মনে সাজবেলায় সেইদিন বাবায় খুব করে বকাঝকা করেছিল তবে। মায় কথা কহিবার কালে, শ্বপাং স্বপাং মেরেছিল পোষালাঠি খানি দিয়ে তাঁরি । এখানেই শেষ নয় গো বাবু এরপর মায়রে দিয়াছিল বাপে ছাড়ি। আজি দুর হতে কষ্টে কষ্টে কত কিছুই ভাবি। November 02.2018