সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রুদ্র ম আল-আমিন এন কবিতা শকুন্তলা

                   " শকুন্তলা "           রুদ্র ম আল-আমিন পাটনীতে ডিঙগা বায় ,,,, ওপাড়ের গাঁয়, ধরলা নদের বাঁকে, বালিহাঁস এ পাড়েতেও যায়. কাননে তখুন ফুুটেছে কুসুম কৃষানীর পাল, ঘরে নাহি রয়. সরোবর মানস থেকে ব্রহ্মযজ্ঞ করে কেবলই ফিরেছে ,,, শকুন্তলা -র গাঁয়. তাহাদের পথরোধ করে, বলিছে সে ব্রহ্মা তাহার মাথার উপরে রয়. খেয়া পাড়েই ক'জনা বলিল, বাহে মাথাটা একেঁবারেই গেছে. ধরলার বাঁকে বলিছে জনে জনে কি-বা- বল তটে. ধরিত্রী টানিছে মোরে কার বা সাধ্য মেলে বুঝিবার তরে. February 01.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা

             "হা-হা-কা-র"         রুদ্র ম আল-আমিন কতবার কমু তোমায় ,, এই বেশ ভাল আছি উজানের নায়. বারিতে ভিজিয়া যাই তাও কি আবার কমু তোমায়. গাঙচিল মাথার উপরে নিত্য বেড়ায় ধুসর মেঘ এই বুজি আমাগো ডোবায়. নায়োর আছো বেশ থাক পোলা অইলে খবর দিয়ো. দস্যুরা যায় দুএকবার দেখা হয়, তয় আমাগো দেইখ্যা ওরা ডরায়. গাঙ্গের পানি নাইয়ে খাই, দুই বেলা খাই আরেক বেলা অবাই. রাইতে শরীরডা আগলাইয়া নামাই একখানি গামছা ওই লইয়াই যাই. পরাণডা কান্দে তরে দেহুনের আইজগা রাইতে খোয়াবে আইছিল কেডা চিনবার পারি নাই হেডা, তরে কি ব্যাবাক কথা কয়ন যায়. শিশিররার জর তয় বাঁচে কি আর আমারই কোনদিন না জানি কি অয়. January 24.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এরকবিতা

                 "হারিয়ানী "          রুদ্র ম আল-আমিন হারিয়ানী!           সুমাত্রা- র কোন পাদদেশস্থ বা বাস,                কোনদিনও হবে না তাহার  দাস।        এই সব গিরিপথ পেরুবে আর কে,                    যাহারে নিয়াছো আপন মনে।           দুর বহুদুর যায়,,,                  একটা পাখি খোজে অন্নময়               তাহারে দিও না ফাঁকি,            এ জীবন ক' আনা আছে বা বাকি।           সকালের ঘুম বিবেক বিকেল হয়                 তার চেয়েও ভাল,,,           অনন্তকাল সে যেন পাশে রয়।               ক'ফোটা চোখের জলে          তাঁর কথা অবিরত পরে যে মনে,            কি যে সবে বলেছ তুমি,,               তাহার বিবেক বোধি          পথ ভুলে নতুন পথেই হাটি। হারিয়ানী!            তাহারে দিয়াছো মন,,                  বৃথাই জীবন তাঁর এ নয়ন,             নিয়মের গতিপথ বদলে দিলে,,                  সকলের তরে, আজি সকলে মোরা পথ ভুলে। January 27.2018

রক্তে ভেজা

             রক্তে  ভেজা          রুদ্র ম আল-আমিন মা গো মা,নীল ক্ষেতে পেয়েছিলা তাঁরে চালতা গাছে পাখির ঝাক বাসা বাঁধে। অমাবস্যা চাদ আমায় খুব করে ডাকে ফিরিঙ্গীরা দল বেধে যাচ্ছে তারা সবে। লাটাই হাতে ইচছে মত দৌড়ে গিয়ে বাড়ি ধান খেয়েছে ঘু-ঘু-ঘুর দলে করবে কি? হরিয়ানা দোকানখানি ভাঙগছে তবে, বাবায় নাকি আছে তবে দেখুক সবাই। পাশের ক্ষেতে ধান পেকেছে কাটবে কে? বাবায় আছে বৃন্দা বনে মার কাছে তো যা। মাচায় ভরা গুড়ের হাড়ি বেচবো কোথা, গঙ্গা নদী রক্ত ভেজা বাবার নাকি লাশ। সিকল ভাঙ্গার সাহস নেই মারছে যারা হন্তদন্ত খুজে ফিরি ফিরিঙ্গি আছে  কি? January 19.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা রথমেলা

            রথমেলা       রুদ্র ম আল-আমিন বউ কথা কও, বনটিয়াদের নিত্য মেলে ডুমুরগাছের ডালে। একটা লাটিম দিবে কিনে পৌষ মেলাতে গিয়ে। মামাবাড়ি মাঝির ছেলে ধরল বুজি বায়না ''আমিও যাব তোদের সাথে '' কিচছুতেই আর রয়না। দাদাঠাকুর বলল এবার,,, এবার তুই থাক, আবার যখন আমি যাব, জিলাপী আর রসগোল্লা কিনে দেব। মেলার পাশে ধান্দাবাজি, আমি কি আর সে বয়সে, সে সব বুজি। মেলায় দেখি শহুরে মাসী মামার টাকা করল বাসী, লাটিমখানি কিনল মাসী হাতখানা মোর ধরে। মেলার খাওয়া মাঠে ব'সে মামায় তারে বাড়ি নেবে, বলছে কথা বারেবারে। একটু পরে সন্ধা নামে, মাসী তখন যাচছে চলে, মামায় বলে,,,, থাক,,, আমি বলিঃ যাক। বড় হয়ে রথের মেলায়,,, ভাবছি একা মনে, পাশেই দেখি সেই মাসীমা তাঁর মেয়েকে নিয়ে। মামায় এখন সর্গবাস,মেষো কি তা জানে, এবার যদি দাও গো মাসী স্বপ্ন মোরা দাও,,, আবার যখন দেখা হবে তোমার পাশেই নাও। January 18.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা মন্দোদরী

          মন্দোদরী”     ,,,,রুদ্র ম আল-আমিন আজি পার্বতী নাই ঘরে ,,, মন্দোদরী-র গায়ে বিষ দিলো ঢেলে, ফিরিয়া দেখিল সে, সারা গা কালি লেগে গেছে। বিষবানে তখন,,,, বারো বছর কাটিল যখন ফিরিলো আবার! মধুরা এখুন রাবনের পত্নীরূপে। রক্ত পিপাসু করিয়া পান,, জন্ম নিলো নতুন ধন, জনকের ঘরের আশির্বাদ রাম কে করিলো সমার্পন। পূরাণে কহে,, কাম চরিতার্থ পুণ্য করিবার ছলে, ধরিয়া আনিল জায়া কে তাহার ঘরে। বাদসাধিল আকুতি করিলো,,,, মন্দোদরী প্রেম ছিল প্রাণে, বানরেরা তাই ভুল করে বসে, কে আসল কে নকল,, ধরিত্রী গৃহে অবশেষে চিনিতে পারে। যুদ্ধ হইলো যবনিকাপাত,,, রাবন হইলো বধ, মধুরা বিভীষন,,,, হইলো একে অপরের আলিঙগন। January 16.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, একটা আলো দাও

         "একটা আলো দাও"    ,,,,, রুদ্র ম আল-আমিন    একটা আলো দাও,,, পূবালী বানে নিভু নিভু জলে,         আধারে পথ, কেওটের দল, বাস করে পথের দু'ধারে।        ফনিমনসার ঝোপে কথা কয়, রাত্রি দুপুর সারাক্ষন ভরে ;    আমি ডরাই না, ডরাই শুধু অন্ধকার যেখানে মেলে।      জোনাক বাতিও আলো দেয় মোরে,      বনবিড়াল তোবুও মাঝে মাঝে ছো মারে,         যতসব বাদুড়চোষা   আর ডাহুকের প্রতিধ্বনি। একটা আলো দাও,,,,     ওপারে মা মুখ তুলে ব'সে আছে, বিন্নি ধানের খই আর দই        নিয়ে যাব দিদির কাছে। প্রাতঃরাস সেরে ফিরিব দখিনা ধারে ছলছল চেয়ে থাকে দুজনা মিলে     "পথ ভুলে যাব নাহি মোরে " দেবী পূজা পার্বনে, এমনই কথা হয় রুদ্রের বাড়িতে ব'সে। January 11.2017

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা আবাবিল

              আবাবিল   ,,      রুদ্র ম আল-আমিন আবাবিল,চিল দুরে রয় হেথা     ক'দিন আগেও একটা জেলে গাঁ থাকিত সেথা।      একটা জাগতিক সুখ হাঁসিছে ভ্রম্মান্ধের     কাঁদিছে বুক দুরে দেখি শুধুই ধু-ধু-ধু বালির স্তুপ।    একটা মরুময় দ্বিপ ভাসছি কুয়াশায় ধিকে ধিকে     লো হাওয়া আর ক্যাকটাস       যৌবনের সমস্ত পাপ তাঁর তরে দিয়েছি ঢেলে। নরাধম বাস      লোহার শিকলের দাস পথপানে দেখি সকলই উটের জকি।     দুরে দেখি শেফালী'র ঘ্রানে ধরা দেয় প্রাণে       অপেক্ষারত মনঃপ্রাণ আজি কেঁদে চলে, আছি তব দুরে January 09.2018

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা সঃসারেক

" সঃসারেক "         রুদ্র ম আল-আমিন সঃসারেক দেবতার কাছে বিভেক বিসর্জন দিয়েছি ক্ষনিক  আগে। নুলো পুতুলের ঘরে একটা জারজ জন্মেছে বলে ওপাড়ায় বৃদ্ধ আবাল কোলাহলে মরে। রিক্ত বেদনার জালা জুরোবার নেই তো কেহ, সকাল হলেই চায়ের কাপে ঝড় তুলে মাগো। তিমিরের পিঠে চ'রে দিয়েছি সাগর পার তাই বলে কি ভেঙেগ যাবে, মাগো আজন্ম পাপ। সঃসারেক দেবত্বা ঘরে আছে মোরে পরের কথায় ভুবনেশ্বর কি পচে যাবে গলে। সোনার খাচায় ভরি করেছি পণ বিশবাঁও করে মাগো জয়ী হবে আমারই ধন। নুলো পুতুলের ঘর ওরা ন্যাড়া করে গেছে তোবুও সঃসারেক এসেছে আমার কছে। January 04.2017

রুদ্র ম আল- আমিন এর কবিতা,, "ধ্রুব তারা"

         "ধ্রুব তারা" ,,,,,    রুদ্র ম আল-আমিন     ১৯ বছর বয়সের প্রেম,,          শরতের দূৃর্বাবনে,     আলোর মিছিলে তখুন।    একটা সাধীনতা       দে- না - মা আমায়,            তাঁর শরীরের গন্ধ, ঝিকিমিকি আলো,     ঝি-ঝি-ঝি  পোকাদের আনাগোনা,    চড়ুই ভাতির গল্প,,,           আর ধ্রুব তারা    নিমিষেই ফাঁসির দড়ি গলায়।         সকাল সন্ধা ,,     দার কাকের প্রতিধ্বনি,         আবার ফিরিবে কি তুমি? জল আর জলের ধারা,     বারিতে ভিজেছি আমি         সাদা সারস,    প্রভাতের আলোর রেখা,,,        ফুটন্ত গোলাপ,   ঝরিছে বাতায়ন হ'তে      সখ্যতা, জলপ্রপাতে ভিজিতেছে অবিরত। January 02.2018