সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ১৬

বাড়ির পাশেই পুকুরপাড়, সাধারনত এ সময় পুকুরে কেউ থাকে না। রমা আস্তে আস্তে পুকুরপাড়ে নামল, রমা এই প্রথম অন্যের কাপড় ধৌত করতে যাচ্ছে।কেননা (বিপিন) তাঁর দাদার কাপড় চোপড় গত তিন বছরে স্পর্ষ করেনি। আজ যাচ্ছে বদরের কাপড় ধৌত করতে। 

পাঠকগণ,তবে কি রমা বদলে যাচ্ছে নাকি এর মধ্যে কোন গুপ্তধনের রহস্যে জরিয়ে যাচ্ছে। 
পরদিন হাটবার, এখানে এই একটাই হাট  বাড়ি থেকে অল্প একটু দুরে। মা সকাল বেলা নারায়ন ঠাকুরের বাড়ি গিয়েছিল।কারণ, ঠাকুর যেন বদরকে আসবার জন্য পাটহাটে লেকজনকে ব'লে দেয় তার জন্য। 
রমা চলে যায় স্কুলে। টিফিনকালে বিথী বলল,
ঃকি রে দুগগা বদরকে খবর দে --পারলি না তো -তুই ওকে ধরে রাখতে।
ঃহেড মাষ্টার মশাইকে বলে দিবো 
ঃডরাই -না
রমা বিথী কে ভয় দেখাইতে চেয়েছিল, কিন্তু বিথী ভয় পেল না। রমা ক্লাসেই বসে রইল, বিথী কে আজকাল সহ্য করতে পারেনা। বিথী ক্লাস ছেড়ে বাইরে গেল।আজকাল রমার এসব শুনতে ভাল লাগে না কারণ কথায় কথায় সবাই বদরের প্রসঙ্গ টানে
বদরের অনুপস্থিতি তে রমাও নিজেকে আর আগের মত স্থির করতে পারতেছে না।  দপ্তরী ছুটির ঘন্টা বাজালো, ছুটি হলে বিথী ইচছে করেই রমার পিছু নিল,বলল
ঃ রমা, তুই ছোটবেলার বন্ধু আমার জন্য কিছুই করবি না?
ঃ  না-না- না- না
ঃকিন্তু কেন
ঃজানি না--
ঃবল আমাকে বাঁধা দিবি না।
ঃ দেবো -
ঃকেন
ঃ বললাম তো, জানি না।
ঃ আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাস?
রমা বিথীর আর কোন কথার জবাব দিল না। হেটে হেটে বাড়ির পথ ধরল, 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রমাদি ০৪

স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষন কিন্ত তবুও হেডমাষ্টার মশাই চেয়ারে হেলান দিয়ে চোঁখ বন্ধ করে বসে আছেন। দপ্তরী নীলু বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে কখন স্যার বের হবে।শেষমেশ প্রতিক্ষার প্রহর কাটলো, মাষ্টার মশাই বের হলেন, দপ্তরী পাশে দাঁড়িয়ে অফিস কক্ষ তালাও দিলেন, চাবি হাতে দিতেই দেখলেন , চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে।দপ্তরী ভাবল কিছু একটা বলি, আবার ভাবল না থাক। তবু আগ বাড়িয়েই বলল, ঃ বিপিনকে পাঠাবেন স্যার?ওর বোন রমা আর বদর, একই ক্লাসে পড়ে!  বিপিনকে ডেকে আনবো?বিপিনের ছোট বোন রমা একটু ব্যতিক্রমী,কিন্ত ওই একমাত্র বদরের সাথে কথা বলে।  নীলুর ধারনা বিপিনকে বদরদের বাড়ি পাঠালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নীলুর বকবকানি শোনার পর হেড মাষ্টার সাব কি যেন ভাবল, তার পরই নিলুকে বলল, ঃযাও ডেকে নিয়ে আসো!  নিলু দেরী না করে দ্রুত চলে গেলেন বিপিনদের বাড়ি। মাষ্টার মশাই ততক্ষণ স্কুল বারান্দায় পা- চারি করছিল।যেহেতু স্কুল এর পাশেই বিপিনদের বাড়ি, সেহেতু নীলুর খুব বেশী দেরী হল না বিপিনকে ডেকে আনতে।  বিপিন, স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতেই স্যার বলল, ঃবদরদের বাড়ি চেন? ঃ স্যার, শুনেছি মাইল দশেক পশ্চিমে ঃতুমি কাল সকালে ওদের ওখানে একটু য