এমন সময় রমার পীষি এসে উঠোনে দাঁড়াল, দাড়িয়েই বলল ,ঃ রমা -- রমা কোথায় রে--?
মা বললঃতিথি তুই এত সকালে ,,,?
ঃআর বলোনা বৌদি, তোমাগো বাঘিলে পূন্যদার কাছে, অনেকদিন হয়ে গেল গয়নাটা দেয়় না।
ঃবৌদি রমা কোথায়?
ঃ ঘরে চল সব বলছি ওপড়তেছে
ঃচলো চলো-- এই রমা
পীষি ঘরে গিয়ে রমার গলা জরিয়ে ধরল। কিন্তু রমা খুব করে কাঁদছে,
ঃআরে আরে বোকা মেয়ে কাঁদছিস ক্যান।তোর পীষি সবসময় তোদের সাথেই আছে।
পীষি মাথায় হাত বোলাতে লাগল, পীষির শশুর বাড়ি গালা ইউনিয়নে পাল বাড়ি, পালবাড়ির বড় ছেলে সুকুমার কেরানির চাকুরী করে, সচ্ছল একটা পরিবার হলেও সুকুমার কোনদিন এ বাড়িতে আসেনা। তিথি সুকুমার কে ভালবাসতো কিন্তু সুকুমার পাল বংশ এটা রমার বাবা মেনে নিতেই পারেনি আজ অবধি।শেষমেষ তিথি পালিয়ে সুকুমারদের বাড়ি যায় ,বিয়ে হয়েছে প্রায় শতেরো বছর ,এই সতেরো বছরে রমার বাবা একবারও দেখতে যায়নি। তিথির একটা মেয়ে আছে নাম শকুন্তলা, সবাই শুকলা নামে ডাকে।শুকলার বয়স পনেরো, গালা হাই স্কুলে পড়ালেখা করে।তিথি বছরে এক আধবার আসে। মা তিথিকে নিজের সন্তানের মতই মনে করে। মা জিগ্গেস করল,
ঃশুকলার শরীরটা ভালো আছে,? দেইখা রাখিস
মাথা নেড়ে বললঃ হ -
ঃসুকুমার আমাগো কথা কয়.
ঃওসব থাক বৌদি,আমি দেরি করব না , বদরকে তো দেখছি না বৌদি
ঃ গতকাল বাড়ি গেছে
ঃছেলেটা মুসলমান, কিন্তু খুব ভাল তাই না বৌদি.
ঃতিথি - রমাকে সাথে নিয়ে খাবি, তার পর যাস
মা ঘর থেকে বের হতেই তিথি রমাকে বলল,ঃবদর ছেলেটা এখন কেমন রে?
রমা শুধু মিটিমিটি হাসল।
তারপর, তিথির সাথে রমাও পুন্য কর্মকারের বাড়ি অবধি যায়।ফিরবার কালে রমাকে বলে যে,ঃবাড়িতে শুকলা একা, তুই কিছু বলবি?
ঃবদর,আমার উপর রাগ করেছে-
ঃ কেন রে? চল হাটতে হাটতে কথা বলি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন