সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি১২

সারাদিন শুধু ঘরের মধ্যেই শুয়ে থাকে।কিছু একটা বলবে ভাবে কিন্তু বলা হয়না।অবশেষে চিন্তা করল,রমাকে জিজ্ঞেসা করলে কেমন হয়.সংকোচন না করে রমা কে বলল,
ঃ  বদরের কি হইছে জানোস?
ঃ জানি না!
ঃ ছেলেটা ঠিকমতো পড়াশোনা করতেছে না।
রমা এবিষয়ে কোন কথাই বলল না,  মা রমাদির পড়ার টেবিলের পাশে অনেকক্ষন দাড়িয়ে রইল, রমার কোন প্রতুত্তর না পেয়ে ঘর থেকে বের হতে যাচ্ছিল। এমন সময় বদর আসল, মনে হচ্ছিলো রাতে ঘুমায়নি ছেলেটা।
চোখ দুটো লাল হয়ে আছে.এসেই বলল
ঃ মা আছেন, আমি বাড়ি যাব।


মা বলল, ঠিক আছে যেয়ো--সোজা রুমে এসেই ব্যাগটা গোছাতে থাকে।পরনের ধুতি একটানে খুলে ফেলল।পুরোনো একটা পায়জামা ছিল সেটাই পড়ল, পাঞ্জাবি গায়ে যেটা ছিল তাহাই রইল. জুতো জোড়া পাল্টানোর আর প্রয়োজন মনে করল না।রুম থেকে বের হতেই মা সামনে এসে দাড়ায়, রমা পড়ার টেবিল ছেড়ে দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে,মা বলল,
ঃবদর কি হইছে তর.কবে ফিরবি, রমা এদিকে আয় বদর বাড়ি যাইতেছে।
রমা আসার আগেই বদর উঠোন ত্যাগ করল.মা বাহির দরজায় দাঁড়াল,পিছনে রমাও দাড়িয়ে,মা আবার বলল
ঃবদর কবে ফিরবি?
: ঃজানি না মা ---
জানিনা কথাটা বলতেই বদরের চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়েে পড়ল। রমার মা একজন মাঝ বয়সী মহিলা, সে বুঝতে পারল যে নিষ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে। তা না হলে বদর এভাবে চলে যাচ্ছে না.
ঃআসি মা 

রমা কোন কথা বলল না,  মা বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল. রমা একদৌড়ে বদরের রুমে গেল। বদর ততক্ষনে অনেকদুর চলে গেছে।
রমা রুমে গিয়ে ওর বিছানায় শুয়ে পরে, মুখটা বালিশে গুজে খুব করে কাঁদছে।রমা এই প্রথম বদরের বিছানায় মাথা ঠেকায়. রমার কি হয়েছে, রমা আজ নিজেই জানে না।কিন্তু খুব করে কাঁদছে এই ভেবে যে,  বদর যদি আর কখনও না আসে। ইহাও ভাবিল যে, বদর হয়তো আমার উপর রাগ করেই চলে গেল।মনে মনে একবার বলেই ফেলল, বদর তুমি যেয়ো না.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রমাদি ০৪

স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষন কিন্ত তবুও হেডমাষ্টার মশাই চেয়ারে হেলান দিয়ে চোঁখ বন্ধ করে বসে আছেন। দপ্তরী নীলু বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে কখন স্যার বের হবে।শেষমেশ প্রতিক্ষার প্রহর কাটলো, মাষ্টার মশাই বের হলেন, দপ্তরী পাশে দাঁড়িয়ে অফিস কক্ষ তালাও দিলেন, চাবি হাতে দিতেই দেখলেন , চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে।দপ্তরী ভাবল কিছু একটা বলি, আবার ভাবল না থাক। তবু আগ বাড়িয়েই বলল, ঃ বিপিনকে পাঠাবেন স্যার?ওর বোন রমা আর বদর, একই ক্লাসে পড়ে!  বিপিনকে ডেকে আনবো?বিপিনের ছোট বোন রমা একটু ব্যতিক্রমী,কিন্ত ওই একমাত্র বদরের সাথে কথা বলে।  নীলুর ধারনা বিপিনকে বদরদের বাড়ি পাঠালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নীলুর বকবকানি শোনার পর হেড মাষ্টার সাব কি যেন ভাবল, তার পরই নিলুকে বলল, ঃযাও ডেকে নিয়ে আসো!  নিলু দেরী না করে দ্রুত চলে গেলেন বিপিনদের বাড়ি। মাষ্টার মশাই ততক্ষণ স্কুল বারান্দায় পা- চারি করছিল।যেহেতু স্কুল এর পাশেই বিপিনদের বাড়ি, সেহেতু নীলুর খুব বেশী দেরী হল না বিপিনকে ডেকে আনতে।  বিপিন, স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতেই স্যার বলল, ঃবদরদের বাড়ি চেন? ঃ স্যার, শুনেছি মাইল দশেক পশ্চিমে ঃতুমি কাল সকালে ওদের ওখানে একটু য