সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কাব্য-২

০০১
আজ রাতে আঙ্গিনায় এসো 
                রুদ্র ম আল-আমিন



আজ রাতে আঙ্গিনায় এসো হাওয়ায় দোল খেলাবো তোমায় নিয়ে।
মাঘের কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ায়
উষ্ণ রক্ত ঢলিয়া পরিবে হয়তো আজ রাতে তোমার  বুকে।
আঙ্গিনার পাশে একটা জারুল গাছ, 
তার নিচে ছনেপাতা ঘর  ওইখানে বাস করে এক জোড়া পাখি।
আসিও আসিও কিন্তু 
না হলে যে কনকনে হাওয়ায়  উষ্ণ রক্ত ও শীতল হইয়া ঢলিয়া পরিব আমি। 
হয়তোবা ভেড়ার পালে শব্দ করিতে পারে তাহাতে বিচলিত হইয়ো না বিন্দুমাত্র তবে।
বেড়ার ধারে কুসুমের গাছ ঘাপটি মেরে বসে আছে ভয় পেয়োনা কাটার খোচর খাবে বলে।
অমাবস্যার চাঁদ খুব তাড়াতাড়ি ঢুবে যাবে 
শিয়ালের ঝাঁক হুক্কাহুয়া বলবে কিন্ত---
আমি কিন্তু তবুও থাকিব পোতা আম গাছটির মগডালে বসে।
আসিও আসিও কিন্তু না হলে যে স্বপ্নগুলো ভোঁতা হয়ে যাবে।
দিঘির পারে বুড়ো গাছটায় একজোড়া দাড়কাক
ওরাও স্বপ্ন বুনে আমাদের মিলন হবেই হবে।
জানোতো কাকেদের স্বপ্ন মিথ্যে নয,় ওরা একবার ঘর ভেঙে গেলে
 আর ঘর বাঁধে না কারো সাথে। 
ঘোষালের বাড়ির টগর তুলিয়া সাভার করেছি
আজ রাতে তুমি আসিবে বলে।
কুয়াশার চাদরে মোড়া ঘর তার মাঝে ধবধবে বিছানা তার মাঝে ধবধবে একটি ফুল
তুমিই বল তোমার প্রিয় টগর ছাড়া কেমনে হয় আমাদের বাসর। 
তুমি কিন্তু আসিও আসিও কিন্তু, না হলে হাওয়ায় দোল খেলাবো কারে সাথে নিয়ে?
মনে রেখো, আমি কিন্তু মগডালে বসে আছি পড়ে গেলে মরে যাব চিরতরে।
আসিও আসিও কিন্তু ঘূঙুর পায়ে শব্দ করে।
কারন, আজ রাতে মগডালে বসে আছি হাওয়ায় দোল খেলিবার তরে। 




১০২


কবে আসিবে কবে?
রুদ্র ম আল-আমিন


ক্যানভাসে চেয়ে দেখি তার ছলছল দুটি আঁখি
তবু ডাগর চোখে চিরজনমের মত  সে দিয়াছে মোরে ফাঁকি।
কবে আসিবে কবে? আর কত অপেক্ষা করিব তবু সারাটি জনম ভরে।
সেইতো ছোট্টবেলা বাবার হাতটি ধরে
খুব করে কেঁদেছিলে একদা আমার সঙ্গে থাকিবে বলে। 
বয়েসটা আমার আমার মধ্যে ছিল না
আমি কী বুঝিতাম, ইহাই একদিন তোর আমার ভালোবাসা হবে । 
তুমি-সাঁতার জানো না আমায় কেন বললে না তা আগে?
বাচ্চা ছেলে মাফ করে দাও-বাবু!
আমরা ওর হয়ে পরিবারে সবাই মিলে মাফ চাইছি তোমাদের পা ধরে। 
বাবু বললো থাম বে-টা,আগে জানলে পা রাখতাম না তোদের এই অজো পাড়াগাঁয়ে।
আমার খাস আমার পরিস রাজা হইবার সাধ জাগে?
নালন্দা দেখতো ওর চামড়ায় কত জোর আছে,আজি ওর চাম তুলে নে সব্বাই মিলে।
বাবু! আমার গায়ের চাম তুলিয়া লইল
আমি কি জানিতাম, ইহার জন্যই তুমি একদিন আমায় ভালোবাসিবে  আপনার করে। 
বাবায় আজ গত হইয়াছে বেশকাল ধরে
যাইবারকালে কয়েছিল মোরে বসুধার হাতখানি ধরিস কিন্ত শক্ত করে। 
তোর ডাগর ডাগর চোঁখে ভূলিয়া গেছিলাম সবকিছু তবে।
কবে আসিবে কবে? 





১০৩
চোঁখগুলো লাল
     রুদ্র ম আল-আমিন




তোমার শরীরেও বিদঘুটে গন্ধ, চুলগুলোও এলোমেলো, 
চোঁখ দুটো লাল টকটকে ,আজ কেমন যেন লাগছে তোমায়।
এই তো একটু আগে মীরা এসেছিলো,
মাত্র অল্পসময়ে তাঁর চোঁখ দুটোও লাল টকটকে হয়ে গেল।
আমরা কি এমন করি? যে আমাদের চোঁখগুলো লাল হয়ে যায়,
 আর হঠাৎই বদলে যায় আমাদের শরীরের রং।
আমার খুব হিংসে হয় কারণ ও আসে আর তুমি ওখানে যাও,
আমরা কি এমন করি, যা বলি না কারো কাছেই কেউ।
 আসবার সময় কহিল,তোমায় না দেখে থাকতে পারিনা।
বলল দিদি কোথায়? 
আমি বললাম বাইরে গেছে, এই তো আসবার সময় হয়েছে,
 ততক্ষণে আমার জন্য এককাপ চাও বানাতে পারো। 
বলল,ভীরু! 
আমি আজ দিদি হতে চাই----
এই আমি দিদির বিছানায়,এবার তো আমায় দিদির মত লাগছে! 
আমার আর কিচ্ছু বলবার ছিলনা,কারন আমি তখন ক্লান্ত।
ও আমায় বলল, দিদি বাড়ি ফিরলে তুমিও দেখো,সেও আজ ক্লান্ত,
আফসোস করিও না---
 কারণ তোমার কাছে ও কিচ্ছু চায় না। 
যা কিছু আমি চাই, যা কিছু আমি তোমার থেকে পাই।
ভীরু!
মনে কর,মনে রেখো দিদিও হয়তো তাই।

January 24.2021





১০৪

পাখনা জোড়া
রুদ্র ম আল-আমিন



পশ্চিমের সূর্য হেলান দিয়েছে উত্তরে
                      যেন ঠিক তোমারই মতোন,
তুমি ভাবো সারসের দল চলিয়া যা'বে উত্তরে। 
মেঘের ভেলায় কে-না চড়িতে চায় বলো 
                   আমি চড়িলেই মন্দ  বলো।
আমি বুঝি না, কেন তুমি আমি নই,
                         আমিও তুমি নও।  
ভেসে যাচ্ছি, ভেসে যাচ্ছে পাখনা জোড়া  হিমেল হাওয়ায়,
                তবু বলো উত্তরে চলো উত্তরে। 
মেঘেদের লুকোচুরি আর আমি দেখি, চাঁদ সূর্যি খেলিতেছে নতুন কুঁড়ি।
                তুমি বল ওসব বরফে ঢাকা, 
আমি দেখি দু-দু-দু বালি, তবে কি আমি মিথ্যে মিথ্যে বলি?
 লোকে বলে উত্তরে হিমালয়, আমি বলি  কেন তবে পাখনা জোড়া হিমেল হয়।
   মর্ত ছুঁয়েছে গগন,আমি ছুঁলে দোষ কি? 
                       লোকে যা বলে বলুক না-
 পশ্চিমের সূর্য উত্তরে যায় আমি গেলে কার কি? 
                        আমি তো আর তুমি নই
ভেসে যাচ্ছি আমি ভেসে যাচ্ছি মেঘের হাওয়ায় শুধুই লুকোচুরী খেলিবার।
                     প্রিয়! আমি কি মন্দ সবার। 



১০৫
               উষ্ণতায়
       রুদ্র ম আল-আমিন




আধপোঁড়া ঘর গোয়ালের গরু সবকিছু ধুয়ে-মুছে  কর সাফ
তবুও না জানি কত কাজ পড়িয়া থাকে তোমার উঠোনের বাঁকে।
আন্ধার রাইতে জড়ায়ে ধরি,তবুও মনে হয়, 
এখনো লেগে আছে গুবরের গন্ধ তোমার নাকে মুখোজুড়ে।
উষ্ণতায় ভরে ওঠা শরীর লয়ে তবু বলিতে থাকো
এই রে তাড়াতাড়ি ছাড়ো,
মিঠে আলু হেঁসেলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল তবে।
তত্ত্ব দেহ পুড়ে ছাই হয়ে যায,
তবু মিঠে আলুর গন্ধ লেগে থাকে রোজই তোমার নাকে মুখে।
ঘরে ফিরিবারকালে যখন শুনিতে পাও অনাথ শিশুটির কান্না
নরম বুকে মাথা নোয়ায়ে বলতে থাকো,
মাইয়া মানুষ মানুষের জাত নয়,
অমন দুধের বাচ্চা রাইখা কেমনে তারা অন্যের হাত ধরে?
তার কথা শুনি,
মগজের সুক্ষ তার কাটতে থাকে একে একে তবে।
নরম বুকে কান্দিয়া কয়
আমাদের ছেলে পুলে এইসব দেখে কি করে মানুষ হবে?
January 27.2021




106
বুনোহাঁস
                          রুদ্র ম আল-আমিন



শব্দেরা আসে যায় নিয়মের কাঁচাপাকা চুল ফিকে করে,
তবু যেন ইহা কাশফুলে শিশিরে শব্দ পতন বহে। 
মনে হয় যেন হাজার বছর পর আবার এলো সে এইখানে এইখানে।
নরম ঘাসে পা রাখে একজোড়া বুনোহাঁস
সেইক্ষণে তপ্ত বালুতেও 
ফিটটি-ফিটটি ফিটটি বলে ডাকে কেউবা আবার।
কৃপণের ধন সোনা রোদে হেসে চিকচিক করিতেছে তবে
দেখিলেই মনে হয় ভূতেদের বাড়ি তার থেকে একটু দুরে।
শৈবাল নিংড়ায়ে় ধরি মাছ, 
মাথার উপরে গাংচিল তখন অনায়াসে ঘুরে ফেরে।
গোধূলি কালে গরুদের পাল হেটে যায় ব'লে 
রাখালেরে দেখি লম্বা পা ফেলে ছুটে চলে তাহাদের চেনা পথে।
এইসব বসুধা দেখিতেছে ব'লে,
তবু আপনার মনে তাহারে বলি আমি কি আর আসিব ফিরি?
  January 30.2021


১০৭
যদি ফের দেখা হয় ভালবাসিবে তো আমায় 
একখানা চিঠি দেবো হয়তো বা সেইদিন আবার তোমায়।
লাল নীল ব্লু কফিতে মোড়ানো চিঠির বুকে 
বাঁধিয়া রাখিব স্মৃতি একবার যদি আসো মোরা ফিরে। 
হয়তো নতুন স্মৃতি আঁকড়ে ধরিতেও পারে মনে
তবু বলিও তারে,না হলে স্বাধের ঘর অগ্নিগৃহ হইতে পারে। 
চিঠির ভাষা জানি তুমি বুঝিবার নহে 
তবু আমি কি বলিতে পারি,ভালবাসা থাকিবে কি বুকে?
ক্যানভাসে আঁকা-আঁকি, ফটোগ্রাফ আজি সব রংতুলি
এমন চিত্রকর 

০৮
আমার কাছে স্বপ্ন মানে 
            রুদ্র ম আল-আমিন 


আমার কাছে স্বপ্ন মানে রেল লাইনের কাঠের চেয়ার
ইচ্ছে হলে বসতে পারি, ইচ্ছে হলে হাওয়ায় দুলে চলতে পারি। 
স্বপ্ন মানে সবুজ ঘাসের ঘাসফড়িঙের দলে আমি
ইচ্ছে হলে ধানের ডগায় থাকতে পারি,
যখন-তখন তোমায় নিয়ে ঘর বাঁধিবার স্বপ্ন দেখি।
আমার কাছে স্বপ্ন মানে আকাশছোঁয়া ভুবন দেখি
ইচ্ছে হলে মেঘের জলে ভিজতে পারি,নয়তো আমি মরতে পারি।
স্বপ্ন মানে
অন্ধকারে ঘাপটি মেরে আবার আমি নতুন আলোর স্বপ্ন দেখি।
আমার কাছে স্বপ্ন মানে 
সাগর জলে ভাসবো আমি, চলছি আমি দিগ্বিদিকি।
স্বপ্ন মানে জন্ম আমার মৃত্যু আমার, 
আমার মধ্যে থাকবে কে আর? থাকতে পারে কাঠের চেয়ার।
বসতে পারি উঠতে পারি হাওয়ায় দুলে উড়তে পারি,এই তো আমার।
আমার কাছে স্বপ্ন মানে ঝরাপাতার দুঃখ বাণী,
লাল ফাইলে বন্দি ভরা রাতদুপুরে ছন্নছাড়া জীবনখানি। 
আমার কাছে স্বপ্ন হলো 
তোমায় ছেড়ে যাচ্ছি আমি,তোমায় ছেড়ে যাবোই আমি।
February 08.2021



নন্দিনী ও আবির" 
        রুদ্র ম আল-আমিন

নন্দিনী!
হঠাৎ আকাশে মেঘ দেখেছো,,,
দেখ দে্খ এই চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেল,
কেন এমন হচছে, আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। 

আবির!
তুমি ভয় পাচছ?

নন্দিনী!
না মানে সেরকমই কিছু আভাশ
এই সবুজের মাঠে তখুন আমি একা
হঠাৎ তোমায় পেলাম
আর কিচছু চাই না তুমি সব দিয়েছ আমায়। 
আমি কিন্ত  অপেক্ষায় থাকবো?

আবির!
 চোখের জল ফেলো না, মাত্র তো কটা দিন,
দেখতে দেখতে বেশ কেটে যাবে।

নন্দিনী!
 দুরেরপথ রেল ভ্রমন খুব আরামদায়ক, শিলিগুরি পৌছেই ফোন করো,, 
জানো আমি তোমায় খুব মিস করবো।

আবির! 
 আমার যেতে ইচছে করে না
ওখানে আপন বলতে কেউ নেই,,,, 
থাকার কোথায় থাকার মত কোন যায়গাও নেই???

নন্দিনী!
৩০২/৫ নেতাজি লেন , পুরোনো বাড়ি,,,  
আমার বন্ধু খুব ভালো মানুষ
গল্প নয় সত্যি বলছি , অনেককাল থেকেছি একসাথে
আমি আর ও,  ঢাকার মতিঝিলে।

আবির!
 বিনয় দার কথা বলছো ? তাঁর ঘরে কি করে থাকবো বলো?

নন্দিনী!
 ওসব তুমি ভেবো না,,
দোতলায় একটা কামরা, তোমার জন্য বরাদ্দ।

আবির!
রেলগাড়ি নটা বেজে পাঁচ 
তুমিও চলো স্টেশন থেকে ফিরবে,,,  
তুমি বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমি তখুন অনেকদুর।

নন্দিনী!
এ কেমন কথা বলছো,,
যতদূর যাও না কেন
মনে ক'রো আমি আছি, আমি থাকবো,,

আবির!
 চলো চলো আর সময় নেই।

নন্দিনী!
এই রে বারিবর্ষণ শুরু হয়ে গেল,
 ভিজতে ভিজতে একাকার হয়ে যাবো 
কি যে করি
ছাতাটারও বাট ভাংগা এখন উপায়?
                 (চলবে)
May 12.2018


১০

চাই না, শান্তি চাই
রুদ্র ম আল-আমিন

আমি যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই
আমি আজ ষোল কোটি মানুষের মুক্তি চাই।
আমি, 
আমার ভুখা মানুষের পাশে আজ আবার দাড়াতে চাই।
ওরা তাবেদারী বোঝে না
ওরা বাচার মত বাচতে চায়।
এরা হায়েনা পিচাশ দেখেছে
গর্জে উঠেছে বারবার,বারবার।
নেতা! 
আর ভূল করো না,,,
তোমার ছোট্র ভূলে,, দেখ দেখ দেখ,
ওরা আবার রাজপথে নেমেছে 
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে যাচ্ছে রাজপথ রন্জিত করে। 
নেতা! তুমি ওদের ফেরাও না,,,,?
আমি যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই
আমি আজ ষোল কোটি মানুষের মুক্তি চাই।
ষোল কোটি মানুষের হাহাকার থেকে বলছি,, 
নেতা তুমি চুপ হও,, তুমি আজ দুর হও।
কারন, তোমাকে আমাদের দরকার নাই।
December 13.2019


১১

কৈলাস যাবি"
,,,,,,,,,,রুদ্র ম আল- আমিন

কতদূর যাওয়া যায় একলা পথে,,
কতদূর, কতদিন দেখিনি তোমায়
আবার কি দেখা হবে।
কৈলাস যাব ভেবে ছেড়েছি আঙগিনার দার
পায়ের পাতা ফসকা পরেছে
এবার না হয় থাক।
একলা যাব, একলা পথে,,
সঙ্গী হবে ওপারের ডাক যে এসেছে আমার, 
তুই না হয় এপারেই থাক।
দিঘির জলে এবার লাল পদ্ম ফুটেজে কেবল
শালুকের ড্যাব কুড়িয়েছি ছেলেবেলা
এখন কি আর সাধ্য আছে।
ঝিনুকের মুক্তা কুড়িয়ে দিয়েছি তোমায়
বড় হয়ে আমায় তার শোধ দেবে ব'লে,
কোথায় রে তুই ঝিনুক মতি।
কৈলাস যাবি আমার সাথে,,,   
কতদূর, কতদূর
যতটা না পথ তার থেকে যে বহুদুর।
OCTOBER 19.2017

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,

" ভোট "      রুদ্র ম আল-আমিন লাঠি বন্দুক ঢাল তলোয়ার ঝনঝনানি বহুত তর বাঝে আমার ভোট কাইড়া নিলে ছাড়মু না যে তবে। গণতন্ত্র ধণতন্ত্র সমাজতন্ত্র বুঝিনারে ভাই এইবার আমি আমার ভোট টা দিবার চাই। দেখমু ব্যাটা বাপের ব্যাটা তুই যে শালা কোন শালা। হারামজাদা আমার টাকায় বাপের বাড়ি মায়রে মাইরা ঝিয়ের বাড়ি, বলিস কথা         "হেয় আমার আপন লাগি" লেন্দু মিয়ার গল্প শুনিঃ,, আমার কথা আমি বলিঃ আইবি শালা বিয়ানবাড়ি চিতায় দিমু প্রেম কাহিনী, আমি এখুন ভাতে মরি ; হায় হায় হায় নিপাতযাক হায় হায় হায় নিপাতযাক। October 17.2018