স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষন কিন্ত তবুও হেডমাষ্টার মশাই চেয়ারে হেলান দিয়ে চোঁখ বন্ধ করে বসে আছেন। দপ্তরী নীলু বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে কখন স্যার বের হবে।শেষমেশ প্রতিক্ষার প্রহর কাটলো, মাষ্টার মশাই বের হলেন, দপ্তরী পাশে দাঁড়িয়ে অফিস কক্ষ তালাও দিলেন, চাবি হাতে দিতেই দেখলেন , চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে।দপ্তরী ভাবল কিছু একটা বলি, আবার ভাবল না থাক। তবু আগ বাড়িয়েই বলল,
ঃ বিপিনকে পাঠাবেন স্যার?ওর বোন রমা আর বদর, একই ক্লাসে পড়ে! বিপিনকে ডেকে আনবো?বিপিনের ছোট বোন রমা একটু ব্যতিক্রমী,কিন্ত ওই একমাত্র বদরের সাথে কথা বলে।
নীলুর ধারনা বিপিনকে বদরদের বাড়ি পাঠালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নীলুর বকবকানি শোনার পর
হেড মাষ্টার সাব কি যেন ভাবল, তার পরই নিলুকে বলল,
ঃযাও ডেকে নিয়ে আসো!
নিলু দেরী না করে দ্রুত চলে গেলেন বিপিনদের বাড়ি। মাষ্টার মশাই ততক্ষণ স্কুল বারান্দায় পা- চারি করছিল।যেহেতু স্কুল এর পাশেই বিপিনদের বাড়ি, সেহেতু নীলুর খুব বেশী দেরী হল না বিপিনকে ডেকে আনতে। বিপিন, স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতেই স্যার বলল,
ঃবদরদের বাড়ি চেন?
ঃ স্যার, শুনেছি মাইল দশেক পশ্চিমে
ঃতুমি কাল সকালে ওদের ওখানে একটু যেতে পারবে?
ঃ আমি তো বাড়ি চিনি না স্যার--
ঃযে কাউকে বললেই দেখিয়ে দেবে, বলবে হেড মাষ্টার পাঠিয়েছে!
তাহলে বিপিন, এই কথা রইল--
জ্বি স্যার বলতেই হেড মাষ্টার মশাই আত্বতৃপ্তিতে ভরে উঠলেন।
এখন ফাল্গুনের মাঝামাঝি সময় দুপুরবেলা গরমের ভাব একটু বেশী তাছাড়া পথ ঘাটও জানা নাই তাইতো পরেরদিন বিপিন খুব ভোরবেলা বাড়ি থেকে বের হল। দুপুরের কিছুকাল আগে মাথার উপর তখন খাড়া রোদ, প্রখর রোদে ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে সে হাজির হল বারবয়লা গ্রামে। তাইজুদ্দিন সাহেব ঠিক সেই মুহুর্তে বাড়ির ভেতর উঠোনের পাশে আমগাছের নিচে একটা চেয়ারে বসে ছিলেন।এমন সময় বাড়ির সামনে গিয়ে বিপিন একজন মাঝবয়সী মহিলাকে জিজ্ঞেস করল,
ঃএটাই কি বদর,তাইজ্জার বাড়ি?
০৪
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন