বদরের বাবা রমার মাথায় হাত রেখে আশির্বাদ করতে করতে বলল,
ঃভাল কইরা পড়া লেহা করবা, তুমি যাও মা।মাষ্টার তাইলে আমি যাই গ্যা। কাম ফালায়া আইছি
ঠাকুর বলল,ঃনা খেয়ে যেতে পারবেন না ভাই
ঃঠাকুর, আমি বা'তেই খাই,বাইরে খাই না
বৌদি আমি যাইগ্যা, বদরে থাকল আপনেগো এহানে আবার একদিন আসমু।
বিপিনের মা ঘাড় বাঁকিয়ে বিদায় দিলেন।বাড়ির বাহিরে তখন গ্রামের শত শত লোক, হা করে দাঁড়িয়ে আছে। কখন তাইজ্জা ডাকাত বের হয়, অার চেহারাটা কেহ-বা এক নজর দেখবে বলে।বাবা বাড়ির বাহিরে বের হয়েই একলাফে ঘোড়ার পিঠে চঢ়ে বসলেন, ঘোড়া চি-চি-চিং বলে লাফিয়ে চলল। দুই এক মিনিটের মধ্যে স্কুল মাঠ ফাঁকা হয়ে গেল।বিপিনের মা অতিথি রুমে নিয়ে গেলেন আমাকে--
ঃএই রুমে থাকবা। পাশের রুম বিপিনের, কিছু দরকার হইলে আমাগো কইবা, আর আমি তোমার মাসী লাগী, মাসী কইবা, তোমার বাবা অত মাছ আমাগো জন্য আনছে?
ঃ জানি না
রমা সোনার মালা গলায় দিয়ে খুশিতে উঠোনে লাফাচ্ছিল।একবার গলা থেকে খুলছে আর পরছে ।রমাদির মা বলল
ঃওটা দে হারাইয়া যাইব।
বলা মাত্রই রমাদি লক্ষী মেয়ের মত তাহা মায়ের হাতে দিল। দিয়েই বদরের দিকে এগিয়ে গেল। রুমের মধ্যে প্রবেশ করতেই,
ঃ বদর দা,তুমি গিয়েছিলে কেন? বাড়িওয়ালা কি খারাপ লোক?
ঃ না!------ঃতবে যে পালালে---তোমার বই কোথায়?
ঃ জায়গীরদার বাড়ি,
ঃবই আনবে না? ঃসব্ধে বেলা যাব
ঃআমাকেও সাথে নিয়ে যাবে?ঃ বিপিনদা জানে
পাঠকগণ!
বদর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রমাদের পরিবারে মিশে গেল। বদরের বাবা রমাদের পরিবারে চাল, ডাল, মাছ, সবজিসহ টাকা পয়সা পাঠাতে শুরু করল নিয়মিত।রমাদের পরিবার এখন বেশ সচ্ছল। রমার বাবা মাঝে একবার বাড়ি আসে।কিন্ত বদর সম্পর্কে সব কিছু জানার পর তিনিও আর অমত করলো না।
শুরু হল বদরের নতুন পথচলা। পায়জামা ছেড়ে, অন্য দশটা হিন্দু ছেলের মত সেও ধুতি পাঞ্জাবি পড়া শিখে গেল।
০৯
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন