ঘোড়ার উচ্চস্বব্দে বাড়ির ভিতর থেকে বিপিনের মা ও রমা এগিয়ে এলো, কিন্ত বিপিনদাকে ঘোড়ার পীঠে দেখে রমাদির মায়ের মুখ অনেকটা ভীতসন্ত্রস্ত মনে হইল তবু আস্তে করে জিজ্ঞেস করল,
ঃ বিপেন তুই ওখানে কেন?
ঃ মা, উনি বদরের বাবা
ঃ নামতে ক- বাড়ির মধ্যে নিয়া আয়
বাবা ঘোড়ার উপর থেকেই বিপিনকে বলল,
ঃবাবাজি ওই মাইয়াডা ক্যাডা
ঃ আমার বোন,বদরের সাথে পড়ে
ঃএই মছল্লা,মাছ গুলা ভি,ত,রে দে
তাইজুদ্দিন ঘোড়া থেকে নামলেন,কিন্ত ততক্ষনে স্কুল মাঠে শত শত লোক জমা হয়ে গেছে। কেউ কোন কথা বলছে না। স্কুল এর হেড মাষ্টার ও সভাপতি নারায়ন ঠাকুর সামনে এসেই নমস্কার করলেন।এরপর মাষ্টার মশাই বিপিনদের বাড়ি নিয়ে গেল। সাধারনত মুসলমানদের এই গোঁরা সমাজে কেহ ঘরের মধ্য প্রবেশ করান না। কিন্তু নারায়ন ঠাকুর বিপিনদের থাকার ঘরে নিয়ে গিয়ে বসতে দিলো আর বললেন,
ঃতাজভাই বিপিনের বাবায় ঢাকায় থাকে অসুবিধা নাই। আপনে যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে
ঃ আমি দেরি করুম না, অহনি যামু পোলাডারে দিয়াই যামু,ওই কাইন্ছা ডা হারামজাদা, ওর কল্লা-ডা কাডবার চাইছিলাম, পোলাডারে দেই হা রাহে না।
মাষ্টার মশাই বললঃ আমি দেখে রাখব চিন্তা করবেন না।
ঃ বিপেন বাবাজি,বদরে তোমার এই খাইনেই থা'ক?
তাইজ্জাকে লোকজন সিংহপুরুষ মনে কে । শোনা যায়,একবার আসাম প্রদেশের একটা গ্রামের সমস্ত মালামাল লুট করেছিল এবং ঐদিন তিনি গ্রামের সমস্ত মা ও মেয়েদের পরনের কাপড় পর্যন্তও খুলে এনেছিল।ঐ সময় কলকাতার উগ্রপন্থী হিন্দু পত্রিকা আনন্দ বাজার,তাইজ্জা ডাকাতের লোমহর্ষক কাহিনী, পত্রিকাটিতে বেশ কয়েকদিন শিরোনাম করেছিল।সে'সময় পুরো ভারতবর্ষ কেঁপে উঠেছিল, তার নামে একাধিক মামলা থাকা সত্যেও পশ্চিমারাও তাঁকে ধরার সাহস পায়নি।তাইতো তার কথার অবাধ্য হওয়ার সাধ্য কারো নেই।
০৭
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন