অঃক মাষ্টার জগৎ মিত্র অন্যান্য স্যারদের উদ্যেশ্য করে বললেন,
ঃআপনারা দেখবেন বদর আর স্কুলে আসবে না।
সুকুমার বাংলা পড়ান এই সুবাধে তিনিও বললেন
ঃ আপোদটা বিদায় হলেই ভাল
তারপর পন্ডিত মশাই বলল,
ঃ জায়গীরদারের বাড়ি কিছুই বলে যায়নি, সকালে উঠেই বই খাতা ফেলে বাড়ি।ভগমান যা করেন মঙ্গলই করেন
সকাল থেকেই স্কুলে বদরকে নিয়ে যে যার মত বলাবলি করিতেছিল ক্লাসে এখন মধ্য বিরতি,এমন সময় হাঁপাইতে হাঁপাইতে ছুটে এলো নারায়ন ঠাকুর।তিনি এই স্কুলের সভাপতি, হেড মাষ্টার মশাই অফিস রুম থেকে বারান্দায় বের হইতেছিল। মুখোমুখি দুইজনেই নমস্কার বলল।কে আগে নমস্কার বলল তাহা ঠিক বোঝা গেল না। ঠাকুর সাহেব চেয়ারে বসেই হেড মাষ্টারকে বললেন,
ঃ তাইজ্জার ছেলেটা নাকি স্কুলে নাই,কি জানি নাম ওর-----
তার কথা শেষ হওয়ার আগেই অফিস কক্ষে হুরমুর করে প্রবেশ করলো অন্যান্য শিক্ষকগণ।
ঃনারায়ন বাবু, বিষয়টা আমি আজি শুনলাম।সকাল থেকেই স্কুলে ছাত্ররা বলাবলি করিতেছিল!
ঃ তো আপনি কি সিদ্ধান্ত নিলেন?
অফিস কক্ষে শিক্ষকদের কারো মুখে কোন কথা নেই। হেডমাষ্টার মশাই বলল,
ঃআপনি যা ভাল মনে করেন
ঃ আমি তাইজ্জা কে ভয় পাই, তাইজ্জা যদি এখানে আসে -- আমি কিন্ত বলব-হেড মাষ্টার সব জানেন, আর আপনার যদি কিছু করার থাকে তবে করতে পারেন।আমি এর দ্বায়ভার নিতে পারব না--- নমস্কার।
নারায়ন ঠাকুর অফিসকক্ষে আর কোন কথা বাড়াইল না চেয়ার ছেড়ে ঊঠে দাড়িয়েই হনহন করে ছুটে চলল, দপ্তরি ততক্ষণে ঘন্টা বাজাতেই খেলার মাঠ থেকে ছাত্ররা ক্লাসে ফিরতে লাগল।প্রায় মিনিট দুয়েকের মধ্যেই খেলার মাঠও ফাঁকা হয়ে যায়।
মাষ্টার মশাই মহাচিন্তিত কারন ছেলেটা স্কুল ছেড়েছে, কেন পালিয়েছে তাহাও কারো জানা নাই। মাষ্টার মশাই কি করবেন তাহা ভেবে ঠিক করতে পারছিলেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন স্কুল ছুটির পর শিক্ষকদের নিয়ে একটা আলোচনায় বসবেন। কথা মত ছুটির পর অফিসকক্ষে আলোচনাও হল। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত স্থির হলো না। অবশেষে শিক্ষকগণ যে যার মত বাড়ি চলে গেলেন।
০৩
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন