সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ০৩

অঃক মাষ্টার জগৎ মিত্র অন্যান্য স্যারদের উদ্যেশ্য করে বললেন,
ঃআপনারা দেখবেন বদর আর স্কুলে আসবে না।
সুকুমার বাংলা পড়ান এই সুবাধে তিনিও বললেন
 ঃ আপোদটা বিদায় হলেই ভাল
তারপর পন্ডিত মশাই বলল, 
ঃ জায়গীরদারের বাড়ি কিছুই বলে যায়নি,  সকালে উঠেই বই খাতা ফেলে বাড়ি।ভগমান যা করেন মঙ্গলই করেন 

সকাল থেকেই স্কুলে বদরকে নিয়ে যে যার মত বলাবলি করিতেছিল ক্লাসে এখন মধ্য বিরতি,এমন সময় হাঁপাইতে হাঁপাইতে ছুটে এলো নারায়ন ঠাকুর।তিনি এই স্কুলের সভাপতি, হেড মাষ্টার মশাই অফিস রুম থেকে বারান্দায় বের হইতেছিল। মুখোমুখি দুইজনেই নমস্কার বলল।কে আগে নমস্কার বলল তাহা ঠিক বোঝা গেল না। ঠাকুর সাহেব চেয়ারে বসেই হেড মাষ্টারকে বললেন,
ঃ তাইজ্জার ছেলেটা নাকি স্কুলে নাই,কি জানি নাম ওর-----
তার কথা শেষ হওয়ার আগেই অফিস কক্ষে হুরমুর করে প্রবেশ করলো অন্যান্য শিক্ষকগণ।
ঃনারায়ন বাবু, বিষয়টা আমি আজি শুনলাম।সকাল থেকেই স্কুলে ছাত্ররা বলাবলি করিতেছিল!
ঃ তো আপনি কি সিদ্ধান্ত নিলেন?
অফিস কক্ষে শিক্ষকদের কারো মুখে কোন কথা নেই। হেডমাষ্টার মশাই বলল,
ঃআপনি যা ভাল মনে করেন 
ঃ আমি তাইজ্জা কে ভয় পাই, তাইজ্জা যদি এখানে আসে -- আমি কিন্ত বলব-হেড মাষ্টার সব জানেন, আর আপনার যদি কিছু করার থাকে তবে করতে পারেন।আমি এর দ্বায়ভার নিতে পারব না--- নমস্কার।

নারায়ন ঠাকুর অফিসকক্ষে আর কোন কথা বাড়াইল না চেয়ার ছেড়ে ঊঠে দাড়িয়েই হনহন করে ছুটে চলল, দপ্তরি ততক্ষণে ঘন্টা বাজাতেই খেলার মাঠ থেকে ছাত্ররা ক্লাসে ফিরতে লাগল।প্রায় মিনিট দুয়েকের মধ্যেই খেলার মাঠও ফাঁকা হয়ে যায়।
মাষ্টার মশাই মহাচিন্তিত কারন ছেলেটা স্কুল ছেড়েছে, কেন পালিয়েছে তাহাও কারো জানা নাই।  মাষ্টার মশাই কি করবেন তাহা ভেবে ঠিক করতে পারছিলেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন স্কুল ছুটির পর শিক্ষকদের নিয়ে একটা আলোচনায় বসবেন। কথা মত ছুটির পর অফিসকক্ষে আলোচনাও হল। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত স্থির হলো না। অবশেষে শিক্ষকগণ যে যার মত বাড়ি চলে গেলেন।
০৩

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রমাদি ০৪

স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষন কিন্ত তবুও হেডমাষ্টার মশাই চেয়ারে হেলান দিয়ে চোঁখ বন্ধ করে বসে আছেন। দপ্তরী নীলু বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে কখন স্যার বের হবে।শেষমেশ প্রতিক্ষার প্রহর কাটলো, মাষ্টার মশাই বের হলেন, দপ্তরী পাশে দাঁড়িয়ে অফিস কক্ষ তালাও দিলেন, চাবি হাতে দিতেই দেখলেন , চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে।দপ্তরী ভাবল কিছু একটা বলি, আবার ভাবল না থাক। তবু আগ বাড়িয়েই বলল, ঃ বিপিনকে পাঠাবেন স্যার?ওর বোন রমা আর বদর, একই ক্লাসে পড়ে!  বিপিনকে ডেকে আনবো?বিপিনের ছোট বোন রমা একটু ব্যতিক্রমী,কিন্ত ওই একমাত্র বদরের সাথে কথা বলে।  নীলুর ধারনা বিপিনকে বদরদের বাড়ি পাঠালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নীলুর বকবকানি শোনার পর হেড মাষ্টার সাব কি যেন ভাবল, তার পরই নিলুকে বলল, ঃযাও ডেকে নিয়ে আসো!  নিলু দেরী না করে দ্রুত চলে গেলেন বিপিনদের বাড়ি। মাষ্টার মশাই ততক্ষণ স্কুল বারান্দায় পা- চারি করছিল।যেহেতু স্কুল এর পাশেই বিপিনদের বাড়ি, সেহেতু নীলুর খুব বেশী দেরী হল না বিপিনকে ডেকে আনতে।  বিপিন, স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতেই স্যার বলল, ঃবদরদের বাড়ি চেন? ঃ স্যার, শুনেছি মাইল দশেক পশ্চিমে ঃতুমি কাল সকালে ওদের ওখানে একটু য