সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রুদ্র ম আল -অামিন এর ছোট গল্প,একটি ভ্রুণ

রুদ্র ম আল-আমিন এর ছোট গল্প
         "একটি ভ্রুণ "

মিশরীয় ও মেসোপটেমীয় সভ্যতাগুলি রোমান সাম্রাজ্যের সময়ে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এই এলাকাগুলি ইসলামের অধীনে আসে। ফলে এলাকাগুলির বর্তমান সভ্যতার সাথে প্রাচীন সুমেরীয় বা মিশরীয় সভ্যতার কোন মিল নেই। অন্যদিকে ভারতীয় সভ্যতা প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মোটামুটি অবিকৃত রয়ে গেছে।
বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ লোকের বাস এখানে। এই বিশাল এলাকাটি ইতিহাসের খুব কম সময়ের জন্যই একটিমাত্র শাসকের অধীনে ছিল এবং তা-ও পুরোপুরি নয়। বর্তমানে এলাকাটি পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভূটান,বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমার রাষ্ট্রগুলিতে বিভক্ত।
বাংলাদেশ মাত্র ৬৮ হাজার বর্গ মাইলের একটি দেশ সভ্যতা আর বিবর্তনে কোন অংশেই কম নয় এই দেশের একজন সাধারন লোক যার জন্ম
বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী,  একজন ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন।
তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। কিন্তু এটি ততটা প্রসিদ্ধি লাভ করেনি। যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে তা নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্রমশঃ উত্তর দিকে সরে আসে। সে সময় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী ১৮০৯ সালের দিকে খয়রাতি মহল রূপে জমিদারি সেরেস্তায় লিখিত ভূতের দিয়ার মৌজা নিলামে ক্রয় করেন। তিনি এই স্থানটিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান স্থানরূপে বিশেষ সহায়ক মনে করেন। এমন সময় তাঁর নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি পুনরায় নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়। তিনি ভূতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে নামকরণ করেন। ফলে ভূতের দিয়ার মৌজাই ‘সিরাজগঞ্জ’ নামে স্থায়ী রূপ লাভ করে।
বেলকুচি পরবর্তিতে তাঁত সমৃদ্ধ এলাকায় পরিনত হয়, এই অঞ্চল রাতরাতি পরিবর্তনের হাওয়া বইতে থাকে। এখানেই জ্ন্ম  হয় তানজিয়া পিয়াস নামে একজন মেয়ে তার বাবা দবির মিয়া একজন  তাঁত ব্যাবসায়ী। তানজিয়ার জন্মের পর থেকেই বাবা দবির মিয়ার সংসার রাতারাতি পরিবর্তন হতে থাকে, এক সময় হয়ে উঠে নামকরা তাঁত ব্যাবসায়ী।তিনি তানজিয়া কে পড়ালেখার জন্য ঢাকা ভার্সিটিতে  এ পড়তে দেন। তানজিয়া পিয়াস ফিজিক্স এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী,,
রোকেয়া হলে উঠেছে প্রায় দুবছর। বাড়ীতে খুব একটা আসে না, তারেক নামে একটা ছেলেকে ভালবাসে, তার  বাড়ি ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার কোন এক গ্রামে।
পরিচিত হয় ভার্সিটি থেকেই।
তানজিয়া পিয়াস রোকেয়া হলের সেরা সুন্দরী মেয়েদের মধ্যে একজন,।
আজ অনেকদিন পর সে বাড়ি ফিরছে, আধুনিক হাল ফ্যাশনে চালচলন তাঁর অনেকদিন ধরেই। বাড়ি আসে জিন্স প্যানট আর টি সার্ট পরেই। তার মা সেকেলের গ্রাম্যধর্মী মানুষের একজন। তার এই সকল পোষাক পরিচ্ছেদ মোটেই পছন্দসই নয়।
দবির মিয়া অল্প শিক্ষত হলেও শহুরে পোশাক নিয়ে তার কোন দিমত নেই। কারন সারা পৃথিবীতে এখন আধুনিকতার ঝড় বইছে এ আর নতুন কিছু নয়।
তানজিয়া সারাক্ষন ল্যাপট্যাব নিয়ে সময় কাটায়  Internet এখন তার জীরন সংগী।
খাওয়ার টেবিলে বসেও খেতে খেতে সে Internet ব্যাবহার করতে  থাকে, ঠিক এমনি
সময় তার মামা তানজিয়ার বিয়ের প্রসংগ টেনে তুলেন, ছেলে ভাল সুদর্শন এয়ার ক্রাফট এর প্রশিক্ষক মতিঝিল এ নিজের বাড়ি আছে। তানজিয়ার কাছে জানতে চায় সে সম্মত কি না।
তানজিয়া একবাক্যে বলে দেয়,,
ঃআমি কখুনো কোনদিনও কাউকে বিয়ে করবো না
বাড়ির সকলেই হতবাক হয়ে যায় কেও কোন কথা বাড়ায় না তার সাথে। পরেরদিন তানজিয়া আবার রওনা হয় ঢাকার উদ্দেশ্য। তার মা পিছু পিছু েগিয়ে যায় বাসস্টপ পর্যন্ত। সেখানে আরেকবার মেয়েকে বলে যে
ঃসমন্দ টা ভেবে দেখতে
তানজিয়া তার মাকে শুধু এটুকু বলে যে
ঃ আমি আমার সিদ্দান্ত পরিবর্তন করব না।
তার মা বাড়ি ফিরে যায়, তানজিয়া চলে য়ায় রোকেয়া হলে।
তার ঠিক দুদিন পর টি এস সিতে কথা হয়,
তারেক ও তানজিয়া পিয়াসের কথারছলে উঠে আসে বিয়ের প্রসংগ।
তারেক পাশে বসে কখা সুনতেছিল
হঠাৎ তানজিয়া বরে উঠল,,
ঃতারেক তোমার একটা ভ্রুন আমাকে দিতে পার?
তারেক যেনো  হতচকিত হয়ে যায়।
ঃ ভ্রুন,আমাকে বিয়ে করতে পারো এখুনি।
ঃ না,,, আমি ল্যাবে গিয়ে আমার শরীরে নিতে চাই, আমি মা হবো,,,,
কিনতু তোমাকে বিয়ে করে না।
ঃপিয়াস তুমি কি পাগল হলে
ঃকালকের মধ্যেই তুমি আমাকে জানাবে?
পরদিন তারেক তানজিয়া কে তার নিজের ভ্রুণ দিতে অশীকৃতি করে।
কেননা একটি ভ্রুনেই জন্ম হয় একটি সন্তানএর পিতৃপরিচয় এটা পথে বিলিয়ে দেবার বস্তু নয়
তারেক তানজিয়া সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যায়।
তারেক তার ভালবাসার সানুষ কে হারিয়ে
কদিনের জন্য বাড়ি চলে যায়।
তারেক কয়েক সপ্তাহ পর ফিরে আসে ভার্সিটি,,,
কলাভবনে দেখা হয় তানজিয়ার।সাথে
জানতে চায়,,
ঃ পিয়াস তুমি কেমন আছো /
ঃ তারেক ল্যাব থেকে,,   আই প্রেগন্যান্ট।
আমি জানি না এটা কার,,,,,,
(যবনিকা)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রমাদি ০৪

স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষন কিন্ত তবুও হেডমাষ্টার মশাই চেয়ারে হেলান দিয়ে চোঁখ বন্ধ করে বসে আছেন। দপ্তরী নীলু বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে কখন স্যার বের হবে।শেষমেশ প্রতিক্ষার প্রহর কাটলো, মাষ্টার মশাই বের হলেন, দপ্তরী পাশে দাঁড়িয়ে অফিস কক্ষ তালাও দিলেন, চাবি হাতে দিতেই দেখলেন , চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে।দপ্তরী ভাবল কিছু একটা বলি, আবার ভাবল না থাক। তবু আগ বাড়িয়েই বলল, ঃ বিপিনকে পাঠাবেন স্যার?ওর বোন রমা আর বদর, একই ক্লাসে পড়ে!  বিপিনকে ডেকে আনবো?বিপিনের ছোট বোন রমা একটু ব্যতিক্রমী,কিন্ত ওই একমাত্র বদরের সাথে কথা বলে।  নীলুর ধারনা বিপিনকে বদরদের বাড়ি পাঠালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নীলুর বকবকানি শোনার পর হেড মাষ্টার সাব কি যেন ভাবল, তার পরই নিলুকে বলল, ঃযাও ডেকে নিয়ে আসো!  নিলু দেরী না করে দ্রুত চলে গেলেন বিপিনদের বাড়ি। মাষ্টার মশাই ততক্ষণ স্কুল বারান্দায় পা- চারি করছিল।যেহেতু স্কুল এর পাশেই বিপিনদের বাড়ি, সেহেতু নীলুর খুব বেশী দেরী হল না বিপিনকে ডেকে আনতে।  বিপিন, স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতেই স্যার বলল, ঃবদরদের বাড়ি চেন? ঃ স্যার, শুনেছি মাইল দশেক পশ্চিমে ঃতুমি কাল সকালে ওদের ওখানে একটু য