সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ০৮

তাইজুদ্দিন সাহেব কথাটা বলা মাত্রই,হেড মাষ্টার মশাই থ-মেরে গেল।হেড মাষ্টার শিক্ষিত মানুষ, অথচ একজন ডাকাতের কথায় মারপ্যাঁচে ফেঁসে গেলেন।উপায়ান্তর না পেয়ে নারায়ন ঠাকুরের মুখের দিকে তাঁকালেন।ঠাকুর মশাই খুব দূর্ত ব্যাক্তি, তিনি তার তাঁকানো দেখেই বুঝতে পারলেন, কিছু একটা বলতে হবে। এবং চটজলদি বলেই ফেললেন,
ঃ আপনি যখন বলছেন তবে তাই হবে, বদর এখানেই থাকুক 
ঃ বিপিন তুমার মায়রে ডাকো -আমার পোলাডা তোমগো কাছে থাকব!

বিপিন মায়ের কাছে যায়, তিনি সব কিছু আগে থেকেই বারান্দা থেকেই শুনতে ছিলো,রমারদির মা বুদ্ধিমতী মহিলা, সে জানে তাঁর এখন আর কিছুই করার নাই। যেহেতু ঠাকুর ও মাষ্টার মশাই কথা দিয়েছেন। তাইতো দরজার সামনে এগিয়েই বললেন,
ঃ বিপিনের বাবা তো ঢাকায় আছে তিনি আবার কি বলবে---
ঠাকুর মশাই বলল,
ঃ ওটা আমার উপরে ছেড়ে দিন,কোন অসুবিধে নাই। আজ থেকে আপনাগো সংসারে যা খরচ সব তাজ ভাইয়ের।তাহলে এই কথাই রইল বিপিনের মাও বদররে কিন্তু তোমার ছেলে মেয়ের মতই মানুষ করবা।তাজ ভাই খুব ভাল মানূষ।বছরে এক আধবার আইব কি না সন্দেহ ।
রমা মায়ের আঁচল ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, হঠাৎ-ই বদরের বাবা রমাকে বলল,
ঃআহো তো মা আমার কাছে
রমা তখন ভয়ে জরসর হয়ে সামনে দাঁড়াল কিন্ত রমাদি যে বদরের বাবাকে দেখে ভয় পাইতেছিল তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্ত তাইজুদ্দিন ডাকাত অদ্ভুত এক কান্ড করলেন।তাহার গলায় একটা দরির মত সোনার চেইন ছিল ।তাহা খুলে রমার গলায় পড়াতে লাগলেন। বদর অবাক হয়ে মনে মনে ভাবছে,বাবায় এই চেইনটা তাকে দিল কেন?মনের মধ্যে তাহা লইয়া ঘুরপাক চলিতেছিল।বদরের বয়স এখন চোদ্দ বছর,আজকাল অনেক কিছুই বুঝতে পারে কিন্তু এই ব্যাপারটা মোটেও বুঝতে পারলো না।এবার বিপিনের মা বলল,
ঃ এইটা কি করতেছেন?
নারায়ন ঠাকুর কথা শেষ হওয়ার আগেই বলল,
ঃ তাজ ভাইর মনটা অনেক বড়, তোমরা অমত কইরো না
০৮

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রমাদি ০৪

স্কুল ছুটি হয়েছে অনেকক্ষন কিন্ত তবুও হেডমাষ্টার মশাই চেয়ারে হেলান দিয়ে চোঁখ বন্ধ করে বসে আছেন। দপ্তরী নীলু বাহিরে বসে অপেক্ষা করছে কখন স্যার বের হবে।শেষমেশ প্রতিক্ষার প্রহর কাটলো, মাষ্টার মশাই বের হলেন, দপ্তরী পাশে দাঁড়িয়ে অফিস কক্ষ তালাও দিলেন, চাবি হাতে দিতেই দেখলেন , চোঁখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরতেছে।দপ্তরী ভাবল কিছু একটা বলি, আবার ভাবল না থাক। তবু আগ বাড়িয়েই বলল, ঃ বিপিনকে পাঠাবেন স্যার?ওর বোন রমা আর বদর, একই ক্লাসে পড়ে!  বিপিনকে ডেকে আনবো?বিপিনের ছোট বোন রমা একটু ব্যতিক্রমী,কিন্ত ওই একমাত্র বদরের সাথে কথা বলে।  নীলুর ধারনা বিপিনকে বদরদের বাড়ি পাঠালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নীলুর বকবকানি শোনার পর হেড মাষ্টার সাব কি যেন ভাবল, তার পরই নিলুকে বলল, ঃযাও ডেকে নিয়ে আসো!  নিলু দেরী না করে দ্রুত চলে গেলেন বিপিনদের বাড়ি। মাষ্টার মশাই ততক্ষণ স্কুল বারান্দায় পা- চারি করছিল।যেহেতু স্কুল এর পাশেই বিপিনদের বাড়ি, সেহেতু নীলুর খুব বেশী দেরী হল না বিপিনকে ডেকে আনতে।  বিপিন, স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতেই স্যার বলল, ঃবদরদের বাড়ি চেন? ঃ স্যার, শুনেছি মাইল দশেক পশ্চিমে ঃতুমি কাল সকালে ওদের ওখানে একটু য