তাইজুদ্দিন সাহেব কথাটা বলা মাত্রই,হেড মাষ্টার মশাই থ-মেরে গেল।হেড মাষ্টার শিক্ষিত মানুষ, অথচ একজন ডাকাতের কথায় মারপ্যাঁচে ফেঁসে গেলেন।উপায়ান্তর না পেয়ে নারায়ন ঠাকুরের মুখের দিকে তাঁকালেন।ঠাকুর মশাই খুব দূর্ত ব্যাক্তি, তিনি তার তাঁকানো দেখেই বুঝতে পারলেন, কিছু একটা বলতে হবে। এবং চটজলদি বলেই ফেললেন,
ঃ আপনি যখন বলছেন তবে তাই হবে, বদর এখানেই থাকুক
ঃ বিপিন তুমার মায়রে ডাকো -আমার পোলাডা তোমগো কাছে থাকব!
বিপিন মায়ের কাছে যায়, তিনি সব কিছু আগে থেকেই বারান্দা থেকেই শুনতে ছিলো,রমারদির মা বুদ্ধিমতী মহিলা, সে জানে তাঁর এখন আর কিছুই করার নাই। যেহেতু ঠাকুর ও মাষ্টার মশাই কথা দিয়েছেন। তাইতো দরজার সামনে এগিয়েই বললেন,
ঃ বিপিনের বাবা তো ঢাকায় আছে তিনি আবার কি বলবে---
ঠাকুর মশাই বলল,
ঃ ওটা আমার উপরে ছেড়ে দিন,কোন অসুবিধে নাই। আজ থেকে আপনাগো সংসারে যা খরচ সব তাজ ভাইয়ের।তাহলে এই কথাই রইল বিপিনের মাও বদররে কিন্তু তোমার ছেলে মেয়ের মতই মানুষ করবা।তাজ ভাই খুব ভাল মানূষ।বছরে এক আধবার আইব কি না সন্দেহ ।
রমা মায়ের আঁচল ধরে দাঁড়িয়ে ছিল, হঠাৎ-ই বদরের বাবা রমাকে বলল,
ঃআহো তো মা আমার কাছে
রমা তখন ভয়ে জরসর হয়ে সামনে দাঁড়াল কিন্ত রমাদি যে বদরের বাবাকে দেখে ভয় পাইতেছিল তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্ত তাইজুদ্দিন ডাকাত অদ্ভুত এক কান্ড করলেন।তাহার গলায় একটা দরির মত সোনার চেইন ছিল ।তাহা খুলে রমার গলায় পড়াতে লাগলেন। বদর অবাক হয়ে মনে মনে ভাবছে,বাবায় এই চেইনটা তাকে দিল কেন?মনের মধ্যে তাহা লইয়া ঘুরপাক চলিতেছিল।বদরের বয়স এখন চোদ্দ বছর,আজকাল অনেক কিছুই বুঝতে পারে কিন্তু এই ব্যাপারটা মোটেও বুঝতে পারলো না।এবার বিপিনের মা বলল,
ঃ এইটা কি করতেছেন?
নারায়ন ঠাকুর কথা শেষ হওয়ার আগেই বলল,
ঃ তাজ ভাইর মনটা অনেক বড়, তোমরা অমত কইরো না
০৮
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন