সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ০৬

দুপুরবেলা বাবা আমি আর বিপিনদা খাবার খেতে বসেছি বিপিন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইল কারন এত মাছ একসাথে রান্না সে কখনো দেখেনি, বোয়াল মাছ, চিংড়ি,পাবদা,আইর মাছ সব রান্না করেছিল আমার মা। মাঝবয়সী এই মহিলা বাইরের লোকজনের সাথে খুব একটা কথা বলে না তাইতো বিপিনের সাথেও আমার মায়ের তেমন কোন কথা হল না। খাবার শেষে রুমে ফিরতেই বিপিনদা আমাকে বলল,,
ঃ বদর এত মাছ কিভাবে জোগার করল ?আমি জীবনে কখনো এত মাছ কাউকে রান্না করতে দেখিনি 
ঃ বাবা জলাদ্বার ,বুঝলেন বিপিন দা
ঃকাকাবাবু কোথাও যাবে কি, আমি তো আজই বাড়ি ফিরব
ঃ ঘোড়া সাজাইতেছে
ঃতার মানে?
ঃআমাদের দিয়ে আসবে, কিন্ত জানেন জায়গীরদারের বাড়ি আমার ভাল লাগে না।
ঃতোমাদের ঘোড়া আছে?
ঃআছে মানে,অনেক গুলা ঘোড়া
 কথা শেষ হওয়ার আগেই, তিনটে ঘোড়াসহ ঘোড়সোয়ারি ঊঠোনে হাজির। বাবা একজন ঘোড়সোয়ারিকে বলল,,
ঃতুই থাক,পোলাডারে আমিই দিয়া আহি, এই টুনি,তর মায়রে পাঞ্জাবিডা দিবার ক---

নদীতে যত রকম মাছ পাওয়া যায়,আমার বাবা সেই সমস্ত মাছ একটা ঘোড়ার পিঠে বাঁধল।এরপর, একটা ঘোড়ায় বিপিনকে উঠানো হল, আরেকটা তে বাবা একলাফে উঠে বসেই বলল,
ঃ বদর, তুই আমার এই খানে আয়।(বিপিন)বাবাজি শক্ত কইরা ধইরো,আর কাইন্ছা তুই হাইট্যা যাবি।

বিপিন এই প্রথম ঘোড়ার পীঠে চড়েছে, যদিও ঘোড়ায় যাতায়াত আমার নিকট ইহা পুরোনো প্রথা। প্রায় দশ মাইলের পথ। আমি দেখলাম বিপিন চোঁখ বন্ধ ক'রে,সোয়ারিকে শক্ত করে ধরে রইল।ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমরা স্কুলের কাছাকাছি পৌছেছি।চলন্ত ঘোড়া থেকেই বিপিনদাকে বাবা জিজ্ঞাসা করিল
ঃ বাবাজি তোমাগো বাড়ি কোন যায়গা
ঃ কাকা বাবু স্কুলের পাশেই
ঠিক তার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই বিপিনদের বাড়ির সামনেই ঘোড়া তিনটে দাঁড়িয়েই -চি-চি-চি- বলে স্বব্দ করল।

০৬

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,

" ভোট "      রুদ্র ম আল-আমিন লাঠি বন্দুক ঢাল তলোয়ার ঝনঝনানি বহুত তর বাঝে আমার ভোট কাইড়া নিলে ছাড়মু না যে তবে। গণতন্ত্র ধণতন্ত্র সমাজতন্ত্র বুঝিনারে ভাই এইবার আমি আমার ভোট টা দিবার চাই। দেখমু ব্যাটা বাপের ব্যাটা তুই যে শালা কোন শালা। হারামজাদা আমার টাকায় বাপের বাড়ি মায়রে মাইরা ঝিয়ের বাড়ি, বলিস কথা         "হেয় আমার আপন লাগি" লেন্দু মিয়ার গল্প শুনিঃ,, আমার কথা আমি বলিঃ আইবি শালা বিয়ানবাড়ি চিতায় দিমু প্রেম কাহিনী, আমি এখুন ভাতে মরি ; হায় হায় হায় নিপাতযাক হায় হায় হায় নিপাতযাক। October 17.2018