দুপুরবেলা বাবা আমি আর বিপিনদা খাবার খেতে বসেছি বিপিন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে রইল কারন এত মাছ একসাথে রান্না সে কখনো দেখেনি, বোয়াল মাছ, চিংড়ি,পাবদা,আইর মাছ সব রান্না করেছিল আমার মা। মাঝবয়সী এই মহিলা বাইরের লোকজনের সাথে খুব একটা কথা বলে না তাইতো বিপিনের সাথেও আমার মায়ের তেমন কোন কথা হল না। খাবার শেষে রুমে ফিরতেই বিপিনদা আমাকে বলল,,
ঃ বদর এত মাছ কিভাবে জোগার করল ?আমি জীবনে কখনো এত মাছ কাউকে রান্না করতে দেখিনি
ঃ বাবা জলাদ্বার ,বুঝলেন বিপিন দা
ঃকাকাবাবু কোথাও যাবে কি, আমি তো আজই বাড়ি ফিরব
ঃ ঘোড়া সাজাইতেছে
ঃতার মানে?
ঃআমাদের দিয়ে আসবে, কিন্ত জানেন জায়গীরদারের বাড়ি আমার ভাল লাগে না।
ঃতোমাদের ঘোড়া আছে?
ঃআছে মানে,অনেক গুলা ঘোড়া
কথা শেষ হওয়ার আগেই, তিনটে ঘোড়াসহ ঘোড়সোয়ারি ঊঠোনে হাজির। বাবা একজন ঘোড়সোয়ারিকে বলল,,
ঃতুই থাক,পোলাডারে আমিই দিয়া আহি, এই টুনি,তর মায়রে পাঞ্জাবিডা দিবার ক---
নদীতে যত রকম মাছ পাওয়া যায়,আমার বাবা সেই সমস্ত মাছ একটা ঘোড়ার পিঠে বাঁধল।এরপর, একটা ঘোড়ায় বিপিনকে উঠানো হল, আরেকটা তে বাবা একলাফে উঠে বসেই বলল,
ঃ বদর, তুই আমার এই খানে আয়।(বিপিন)বাবাজি শক্ত কইরা ধইরো,আর কাইন্ছা তুই হাইট্যা যাবি।
বিপিন এই প্রথম ঘোড়ার পীঠে চড়েছে, যদিও ঘোড়ায় যাতায়াত আমার নিকট ইহা পুরোনো প্রথা। প্রায় দশ মাইলের পথ। আমি দেখলাম বিপিন চোঁখ বন্ধ ক'রে,সোয়ারিকে শক্ত করে ধরে রইল।ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমরা স্কুলের কাছাকাছি পৌছেছি।চলন্ত ঘোড়া থেকেই বিপিনদাকে বাবা জিজ্ঞাসা করিল
ঃ বাবাজি তোমাগো বাড়ি কোন যায়গা
ঃ কাকা বাবু স্কুলের পাশেই
ঠিক তার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই বিপিনদের বাড়ির সামনেই ঘোড়া তিনটে দাঁড়িয়েই -চি-চি-চি- বলে স্বব্দ করল।
০৬
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন