সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রুদ্র ম আল-আমিন এর ছোটগল্প (পর্ব-০১) “সতীর সতীত্ব ” মানব সভ্যতার প্রাক্কাল থেকে আমরা আমাদের অস্তিত্বের কথা বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে বলিয়া থাকি। কিন্তু সভ্যতার কথা বলিতে গেলে ধর্মের গুণকীর্তন আমাদের সন্মুখে আসিয়া দাড়ায়। ইহা আমাদের অস্বীকার করিবার লেশমাত্র নাই। আজকের মানব সমাজে সেই ধর্মকে অস্বীকার করে এমন মানুষকে খুজিয়া পাওয়া দুরহ্। কারন, যদি নাস্তিকতা নিয়ে কথা বলি, সেইখানেও দেখা যাইবে, সেই ব্যাক্তির নিজস্ব একটা ধর্ম রহিয়ছে। ঠিক সেইরুপ আদিকাল হইতে অধ্যবধি ঋৃষিদের একটা ধর্ম রহিয়ছে, কৃষ্ণ কুমার ঋৃষি পরিবারে বেড়ে উঠা একজন কিশোর, বয়স সবে মাত্র তের বছর। তাহার বাবা, তাহার জন্য বিবাহ ঠিক করিয়াছেন। প্রায় একশত মাইল দুরে আরেকটি ঋষি পরিবারে। কন্যা সম্পাদন করিবার জন্য, নিতাই কৃষ্ণদের বাড়ি আসিয়া দিন তারিখ ঠিক করিয়া গেছেন। নিতাই এর বয়স ত্রিশ, হাড্ডিসার এই মানুষটার কন্যার নাম সতী। সতীর বয়স এখুন কেবলমাত্র দশ বছর অতিবাহিত হইয়াছে। সতী স্কুল কি, তাহা তাহার জানা নাই। কারন,এই ঋৃষি পল্লীর কোন ছেলেমেয়ে অধ্যবধি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন নাই। কৃষ্ণ ও সতীদের দুই পল্লীতেই বাড়িঘর বলিতে সারের কাগজ (পলিথিন) দিয়া ঝুপড়ীতে বসবাস করিয়া থাকেন। ঋৃষিদের নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি রহিয়াছে, আর তাহা হইল, খুব অল্প বয়সেই ইহারা বিবাহ সম্পন্ন করিয়া থাকেন। সেই রীতি রেয়াজ থেকেই সতীর সহিত কৃষ্ণ কুমারের বিবাহ হইয়া গেল। গোপালের অভাবের সংসারে আরো একজন সদস্য যুক্ত হইল। গোপাল সারাদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরিয়া, ভিন্ন ধর্মালম্বীসহ বিভিন্ন স্বজাতীয় জাতকুলের জুতা সেলাই করিয়া কোনমতে সংসার চালাইয়া থাকেন। বন্যার সময় ঋৃষি পল্লীর লোকজনের তেমন একটা আহার জুটে না। কৃষ্ণ জানিত না বিবাহ কি? তাহার মতে বিবাহ অর্থ হইল একসংগে একঘরে তাহারা থাকিবে, কিন্তু বিবাহের রাতে সতীর পক্ষের একজন বয়স্ক লোক দারা শিখিয়েছিলেন। তাহার সহিত কি কি ধরনের আচরন করিতে হইবে। কিন্তু সতীর মধ্যে তখুনও যৌবনের লেশ মাত্র ঘটেনি বলিয়া ইহা লইয়া কেহ তর্কবিতর্ক করিল না। গোপাল, কৃষ্ণের জন্য আলাদা একখানি ঝুপড়ী তৈরি করিয়াছিল। সেই কলাগাছের ছাল দিয়া বেড়া দেয়া ঘরখানিতে সতী ও কৃষ্ণ, স্বামী স্ত্রী রুপে জীবন সংসার আরম্ব করিতে লাগিলেন। (চলবে)

https://rudromalamin.wordpress.com/2019/08/23/%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%ae-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%9b%e0%a7%8b%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-24/

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।