সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ১৫

ঃবিথী বদরকে ডিস্টার্ব করে
ঃ তুই কি করছিস
ঃআমি রাগ করে কথা বলি না.
ঃ মা জানে?
ঃ না 
ঃ মাকে ব'লো না তুমি
ঃ কি করবি
ঃতুমি বলে দাও আমার কি করা উচিত
ঃও আসলে ক্ষমা চাইবি, ও তোর বড়-দার মতন
ঃ আর যদি কখুনো না আসে?
ঃআসবে রে আসবে, অনেকদিন হলো আছে, মানুষ সব কিছু ভুলে যায় না
কয়দিন পর আবার আসতেছি,গয়নার জন্য, এই কয়টা দিন দেখ,
ঃপীষি---মাকে কিন্তু বলো না
ঃ আচ্ছা বাবা তুই যা--- যা স্কুলের সময় হয়ে গেল।
রমা বাড়ি ফিরতেই মা বলল,
ঃস্কুলে কাল যাস  ঘরদ্বোর পরিষ্কার করতে হবে,

 রমা সোজা বদরের রুমে গেল।চেয়ারটাতে বসতে ইচ্ছে করছিল,পরক্ষনে ভাবল যে, না থাক এটায় বদরকেই মানায়।ঘরটা গোছাতে লাগল, সব কিছু এলোমেলো, জুতো, মোজা, ধুতি, পাজামা, পান্জাবি, বই, খাতা, কলম ইত্যাদি, বিছানার চাদরে সব জমা করল,বই খাতা গুলো টেবিলে সাজালো. জুতো মোজা রেকের নিচে রাখল, ধুতিটা হাতে নিতেই মনে হলো, বদরের শরীরে গন্ধ।হঠাৎ-ই ধুতিটা বুকে চেপে ধরেই কেঁদে ফেলল, চোঁখ দিয়ে জরজর করে জল গড়িয়ে পড়লো কয়েক ফোঁটা। তারপর রুমের দরজা বন্ধ করল

রমার মা উঠোনেই ছিল, দরজা বন্ধ করতে দেখেই বলে উঠল ,
ঃকি করতেছিস ওখানে
প্রথমে কোন সারাশব্দ করল না, তার পর আবার বলল ,,ঃরমা----
এবার উত্তর দিল,ঃরুম পরিষ্কার করছি মা--
 মা তেমন কিছু বলল না।রমা, রুমের ভিতরে ধুতিটা গায়ে পেচিয়েই খাটের উপর বসে মনে মনে হাসতে লাগল।ঘন্টা খানেক পর দরজা খুলল, বিছানার চাদরে মোড়ানো ধুতি, পায়জামা, পাঞ্জাবি নিয়ে। এরপর মাকে বলল
ঃমা আমি কাপড় গুলো দুইবো?
  ঃ রোদে মেলে দিস


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।