সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ১৪

এমন সময় রমার পীষি এসে উঠোনে দাঁড়াল, দাড়িয়েই বলল ,ঃ রমা -- রমা কোথায় রে--?
 মা বললঃতিথি তুই এত সকালে ,,,?
ঃআর বলোনা বৌদি, তোমাগো বাঘিলে পূন্যদার কাছে, অনেকদিন হয়ে গেল গয়নাটা দেয়় না।

ঃবৌদি রমা কোথায়? 
ঃ ঘরে চল সব বলছি ওপড়তেছে
ঃচলো চলো-- এই রমা
পীষি ঘরে গিয়ে রমার  গলা জরিয়ে ধরল। কিন্তু রমা খুব করে কাঁদছে, 
ঃআরে আরে বোকা মেয়ে কাঁদছিস ক্যান।তোর পীষি সবসময় তোদের সাথেই আছে।

পীষি মাথায় হাত বোলাতে লাগল, পীষির শশুর বাড়ি গালা ইউনিয়নে পাল বাড়ি, পালবাড়ির বড় ছেলে সুকুমার কেরানির চাকুরী করে, সচ্ছল একটা পরিবার হলেও সুকুমার কোনদিন এ বাড়িতে আসেনা। তিথি সুকুমার কে ভালবাসতো কিন্তু সুকুমার পাল বংশ এটা রমার বাবা মেনে নিতেই পারেনি আজ অবধি।শেষমেষ তিথি পালিয়ে সুকুমারদের বাড়ি যায় ,বিয়ে হয়েছে প্রায় শতেরো বছর ,এই সতেরো বছরে রমার বাবা একবারও দেখতে যায়নি। তিথির একটা মেয়ে আছে নাম শকুন্তলা, সবাই শুকলা নামে ডাকে।শুকলার বয়স পনেরো, গালা হাই স্কুলে পড়ালেখা করে।তিথি বছরে এক আধবার আসে।  মা তিথিকে নিজের সন্তানের মতই মনে করে। মা জিগ্গেস করল,
ঃশুকলার শরীরটা ভালো আছে,? দেইখা রাখিস 
মাথা নেড়ে বললঃ হ -
ঃসুকুমার আমাগো কথা কয়.
ঃওসব থাক বৌদি,আমি দেরি করব না , বদরকে তো দেখছি না বৌদি
ঃ গতকাল বাড়ি গেছে
ঃছেলেটা মুসলমান, কিন্তু খুব ভাল তাই না বৌদি.
ঃতিথি - রমাকে সাথে নিয়ে খাবি, তার পর যাস 
মা ঘর থেকে বের হতেই তিথি রমাকে বলল,ঃবদর ছেলেটা এখন কেমন রে? 
রমা শুধু মিটিমিটি হাসল। 
তারপর, তিথির সাথে রমাও পুন্য কর্মকারের বাড়ি অবধি যায়।ফিরবার কালে রমাকে বলে যে,ঃবাড়িতে শুকলা একা, তুই কিছু বলবি?
ঃবদর,আমার উপর রাগ করেছে-
ঃ কেন রে? চল হাটতে হাটতে কথা বলি 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।