সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ১৩

মা ঘরে ফিরে রমাকে দেখতে পেল না , অবশেষে বদরের রুমের দিকে পা বাড়াতেই দেখল রমা বদরের বিছানায় ওখানে ওকে 
দেখেই হতভম্ব হয়ে যায।এক নজর দেখেই না দেখার ভান করে চলে এলো়। মা অনুমান করল যে, রমা হয়তো বদরকে কিছু একটা বলেছে, আর সে জন্যই বদর বাড়ি চলে গেছে।
রাতে খাবর খেতে বসে মা দেখল রমা খাবার ঠিকমতো খাইতেছে না।কি যেন মনে মনে ভাবছে।রমার মা খুব বুদ্ধিমতী মহিলা, বদর আজ নেই,মায়ের মনও খুব খারাপ।কিন্ত কি করে রমাকে জিজ্ঞেস করবে ভেবে পাইতেছিল না।তাইতো একটু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলল ,
ঃমায়ের কথা মনে পরছিল মনে হয়.তরে কিছু একটা কইছে?
রমা মাথা নেড়ে বোঝাল যে, না।এবং একটা দীর্ঘনিশ্বাস নিল। রমা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে, মায়ের সাথে কথা বলতে মন চাইছে না। কি বলবে মাকে. মাকে কি এটা বলা যায় যে,
মা, বদর আমার কারনেই----

সকালে ঘুম থেকে উঠেই রমা মন্দিরে গেল়. বাড়ির পাশেই কালী মন্দির, ঠাকুরের কাছে মনে মনে কি চাইল তা জানা গেল না. প্রনাম করে চোঁখের জল মুছতেই দেখল,তার পাশেই দাঁড়িয়ে ঠাকুরকে প্রনাম করছে বিথী।,মনে মনে খুব হিংসে হচ্ছিলো। পা বাড়াতেই বিথী বলল ,
ঃ বদর চলে গেছে-না?
ঃ তোর কারনেই
ঃ ঠাকুরের দিব্যি, ওকে না পেলেও
ঃ: কি করবি?
ঃতোকেও পেতে দেব না। 
ঃ বিথী ও আমার দাদার মত
ঃ হ্যা, স-ব বুঝি,তোর সাখে কথা বলতেই মন চায় না.

বিথীর কাছ থেকে অপমানিত হয়ে ঘরে ফিরতেই মা বলল,
ঃ রাতে পড়লেখা করলি না,নে পড়তে বস.
মায়ের কথার কোন প্রকার জবাব না দিয়েই চলে গেল পড়ার টেবিলে।সারারাত ঘুমায়নি, বই খুলতেই চোঁখে ঝাপসা লাগছিল মা সবে রান্না শেষ করে ঘরে ফিরেছে,  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।