সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রমাদি ০৭

ঘোড়ার উচ্চস্বব্দে বাড়ির ভিতর থেকে বিপিনের মা ও রমা এগিয়ে এলো, কিন্ত বিপিনদাকে ঘোড়ার পীঠে দেখে রমাদির মায়ের মুখ অনেকটা ভীতসন্ত্রস্ত মনে হইল তবু আস্তে করে জিজ্ঞেস করল,
ঃ বিপেন তুই ওখানে কেন?
ঃ মা, উনি বদরের বাবা
ঃ নামতে ক- বাড়ির মধ্যে নিয়া আয়
বাবা ঘোড়ার উপর থেকেই বিপিনকে বলল,
ঃবাবাজি ওই মাইয়াডা ক্যাডা
ঃ আমার বোন,বদরের সাথে পড়ে
ঃএই মছল্লা,মাছ গুলা ভি,ত,রে দে
তাইজুদ্দিন ঘোড়া থেকে নামলেন,কিন্ত ততক্ষনে স্কুল মাঠে শত শত লোক জমা হয়ে গেছে। কেউ কোন কথা বলছে না। স্কুল এর হেড মাষ্টার ও সভাপতি নারায়ন ঠাকুর সামনে এসেই নমস্কার করলেন।এরপর মাষ্টার মশাই বিপিনদের বাড়ি নিয়ে গেল। সাধারনত মুসলমানদের এই গোঁরা সমাজে কেহ ঘরের মধ্য প্রবেশ করান না। কিন্তু নারায়ন ঠাকুর বিপিনদের থাকার ঘরে নিয়ে গিয়ে বসতে দিলো আর বললেন, 
ঃতাজভাই বিপিনের বাবায় ঢাকায় থাকে অসুবিধা নাই। আপনে যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে
ঃ আমি দেরি করুম না, অহনি যামু পোলাডারে দিয়াই যামু,ওই কাইন্ছা ডা হারামজাদা, ওর কল্লা-ডা কাডবার চাইছিলাম, পোলাডারে দেই হা রাহে না।
মাষ্টার মশাই বললঃ আমি দেখে রাখব চিন্তা করবেন না।
ঃ বিপেন বাবাজি,বদরে তোমার এই খাইনেই থা'ক?

তাইজ্জাকে লোকজন সিংহপুরুষ মনে কে । শোনা যায়,একবার আসাম প্রদেশের একটা গ্রামের সমস্ত মালামাল লুট করেছিল এবং ঐদিন তিনি গ্রামের সমস্ত মা ও মেয়েদের পরনের কাপড় পর্যন্তও খুলে এনেছিল।ঐ সময় কলকাতার উগ্রপন্থী হিন্দু পত্রিকা আনন্দ বাজার,তাইজ্জা ডাকাতের লোমহর্ষক কাহিনী, পত্রিকাটিতে বেশ কয়েকদিন শিরোনাম করেছিল।সে'সময় পুরো ভারতবর্ষ কেঁপে উঠেছিল, তার নামে একাধিক মামলা থাকা সত্যেও পশ্চিমারাও তাঁকে ধরার সাহস পায়নি।তাইতো তার কথার অবাধ্য হওয়ার সাধ্য কারো নেই।
০৭

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

রমাদি ১০

স্কুলে নিয়মিত এই পোশাকই পরে।বিপিন রীতিনীতিও সব শিখিয়ে দিল।বিপিনের বোন রমাও পাঠ্যে হিন্দুধর্ম শিক্ষা-র যেকোন বিষয় না বুঝলে, তা আলোচনার মাধ্যমে সহযোগীতা করতে থাকে আজকাল বদর, বিপিনের কাজ কর্মেও সহযোগীতা করে। রমার মা,বদরের এই আচার ব্যাবহারে নিজেও গর্বিত। শুরু থেকেই বিপিনের মাকে, বদর মা বলেই ডাকে।গোঁরা সমাজের লোকগুলোও তার আচার ব্যাবহারে সব কিছু ভুলে যায়।অল্পদিনেই স্কুলেও শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার প্রিয় পাত্রে পরিনত হলএই ছেলেটি।প্রতিদিন বিকেলে বদর এখন স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে হিন্দু ছেলেদের সাথে। রমার বান্ধবী বিথী প্রায় প্রতিদিনই দুই একবার রমাদের বাড়িতে আসে। আজও বদর এই সময় মাঠে ফটবল খেলিতেছে, এই ফাঁকে বিথী বদরের রুমে যায়, গিয়েই রমাকে বলে ঃএই রমা আমি বদরদার ঘরে রমা তখন ওদের বড় ঘরখানাতে ছিল, একদৌড়ে এসেই দেখে বদরের রুমে বিথী শুয়ে আছে ঃ বিথী তুই বদর দার বিছানায়! ঃ বদর নাই তাই ঃ দাদা দেখলে বকবে ঃ দাদাও নাই হি-হি-হি—হি অনেকক্ষন হাসাহাসি করে দুজনে।এক পর্যায় বিথী বলল, ঃবদরের বাবা,তোকে অনেক ভারি একটা মালা দিছে--তাই না? ঃ ওইটা মায়ের কাছে-যদি হারিয়ে যায়।চল তোকে দে্খাব এরপর,দুজনেই বদরের রুম থেকে বের হল, রম

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা,, কতদিন দেখিনি তোমায়

" কতদিন দেখিনি তোমায়  " রুদ্র ম আল আমিন রিতা ; কতদিন দেখিনি তোমায় ,,, আমার বিভেকের কাছে,, নিজের মধ্যে, আপন ব'লে , কিছুই   তো দেখিনা আমি।। খুব ভোর বেলা স্নান করতে,,,,, দু' একবার, নিয়েছো আপন করে, আমি নাকি আগের মতোই ভালবাসি তোমাকে। চুল গুলো সিল্ক করেছিলে,,,,, আমায় করেছিলে ব্রাউন,,,, বাউনডৃলে হ'য়ে  গেছি আজ ।। নীলখাম গুলো  যতনো করে রেখেছি, ওগুলো চিতায়  দিতে চাই,,,, দাউ দাউ করে জলবে,  ভেবেছি একবার।। আমি তো আর আপন নই তোমার,,,, যে আছে, সেও তো না,,,,, কবে ফিরবে রিতা, আবারও ভোর বেলা। কতদিন  দেখিনা,, আর কি হবে না দেখা? কতদিন দেখিনি তোমায় ,, ।।

রুদ্র ম আল-আমিন এর কবিতা, যন্ত্রণা

               " যন্ত্রণা "           রুদ্র ম আল-আমিন নিজেকে  নিজের মতন              বিসর্জন দিয়ে।                        আজি বেচে আছি                 এ -ওর ধার দেনা দিয়ে। কন্ঠনালী ছিদ্র আমার                               রপ্ত করেছি           ঝোড়ো হাওয়া উরতে চলা। আর্যছিলাম পালছেড়েছি              থাকতে দিসনি তোদের সাথে, তাই বলে কি হারিয়ে গেছি                সবার থেকে। বলছি কথা মোদের তরে বলছি নাকো ভুলে যেতে                                   যাচ্ছি তবে যাই। রাখবি মনে,, সকল যাতন রইবে প্রানে কাঁদবি তবে                 দিচ্ছি তোরে বর হাসবো আমি কাঁদবে তর, আপন যত, কার বা আপন কে করিল? বলতে পারিস?         নিখিল ভারত, রইল পরে কার বা তরে।