বিষমাখা দেহ
রুদ্র ম আল-আমিন
গোপালের বউ সদ্য নতুন এসেছে বাড়ি
সাদা চামরায় হলদের ঘ্রাণে
গুবরের ঝাঁকা লয়ে তবুও ছুঁটেছে তাঁরি নিজ বাড়ি।
পাড়ার দুষ্টছেলেরা ইহা একনজর দেখিবার তরে
ঢু-মারিতেছে সকাল সন্ধা তাঁর ধারি।
এমনই করিয়া কাটিল বেশ ক’টা দিনমান ভবি।
হঠাৎ একদিন, মরন ব্যাধি বাসা বাধিল তাঁর দেহখানি জুড়ি।
পাড়ার ছেলেরা নিরুদ্দেশ হইল
এরপর নিরুদ্যোগ হইল পরিবার সমেত সারাগাঁর আবাল বৃদ্ধ স্ত্রীগণ সবই।
গোপাল উপায়ন্তর না পাইয়া এইবার ছুটিল ডাক্তারবাড়ি।
শুন্য হাতে বাড়ির বাহিরে ফিরিয়া দেখে
দুধারে প্রাচীরের মতোন বাঁশকাঠ দিয়া বেড়া দিয়েছে
শিক্ষিত ক’টা ছেলে তাঁর ধারি ।
গোপালকে দেখিয়া দৌড়ে পালালো কতক
একজন রাগান্বিত কন্ঠে কহিল,
এরপর বাড়ির বাহির হইলে পাথরমারিব তোর মাথাখানি জুড়ি।
হাউমাউ করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে বেঁড়া ডিঙ্গিয়ে গোপাল দেখিল,
তাহার বউ জ্বরে গিয়েছে পুড়ি।
এরপর অনাহারে অর্ধাহারে কাটিতে লাগিল তাহার সোনার প্রতিমার সংসারখানি।
মরনব্যাধি তুই কেন আসিয়াছিস আমাদের বাড়ি? তবে কি আমাদেরই দু’ভাগ করিবার লাগি।
April 25.2020
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন